বাংলা ব্যাকরণে বহুল ব্যাবহিত কিছু প্রবাদ প্রবচন। প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন পরিক্ষার পাশাপাশি আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও এইসকল প্রবাদ প্রবচন কথায় কথায় ব্যাবহার হয়ে থাকে। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও বহুল ব্যাবহিত ৫০ টি প্রবাদ প্রবচন নিচে দেখানো হয়েছে।
প্রবাদ প্রবচনঃ
১। অতি চালাকের গলায় দড়ি- অতি চালাক লোক/মানুষ বিপদে পড়ে।
২। আঙ্গুর ফল টক- যা সম্ভব নয় ,তাকে ভাল না বলা
৩। ওস্তাদের মার শেষ রাতে-দক্ষ ব্যাক্তি শেষেও সফল হয়ে থাকে।
৪। এক মাঘে শীত যায় না-বিপদ একবারেই শেষ হয়ে যায় না।
৫। এক ঢিলে দুই পাখি মারা-একসাথে দুটি উদ্দেশ্য সফল করা।
৬। অভাগা যেদিকেই চায় সাগর শুকায়ে যায়- হতভাগা ব্যাক্তির সব দিকে নিরাশা।
৭। অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী-সামান্য বিদ্যা অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে।
৮। কথায় চিড়া ভিজে না- শুধু ফঁকা আওয়াজেই কোনাে কাজ হয় না।
৯। কয়লা ধুলে ময়লা যায় না- খারাপ লােকের স্বভাব পরিবর্তন হয় না।
১০। কুকুরের পেটে ঘি সয় না- ভালাে জিনিস অধমের জন্য নহে।
১১। কড়িতে বাঘের দুধ মিলে- টাকায় সবকিছু হয়।
১২। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা- কষ্টের ওপর কষ্ট দেওয়া।
১৩। খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি –আয়ের চেয়ে আঁকজমক বেশি।
১৪। খাল কেটে কুমির আনা- বাহিরের বিপদ ঘরে আনা।
১৫। গরিবের কথা বাসি হলে ফলে –সামান্য ব্যক্তির উপদেশ শেষে কাজে
১৬। গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল- কোনােকিছু পাওয়ার আগেই ভােগের আC
১৭। খোঁটার জোরে ভেড়া নাচে- শক্তিমানের সাহায্যে শক্তি বৃদ্ধি হয়।
১৮। চকচক করলেই সােনা হয় না-বাহিরের রং দ্বারা সবকিছু চেনা যায়।
১৯। চোর না শনে ধর্মের কাহিনী- অসৎ ব্যক্তি ভালাে উপদেশ গ্রহণ করে।
২০। চাচা আপন প্রাণ বাঁচা- সবার আগে নিজকে রক্ষা করা।
২১। কপালের লিখন না যায় খন্ডন- ভাগ্যে যা আছে তা ঘটবেই।
২২। কাকের মাংস কাকে খায় না- স্বজাতির কেউ ক্ষতি করে না।
২৩। গাঁয়ে মানে না আপনি মােড়ল- কেউ না মানলেও নিজেই মাতব্বরী
২৪। গরু মেরে জুতা দান- বেশি ক্ষতি করে সামান্য কিছু দিয়ে খুশি করার
২৫। চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে- বিপদ কেটে গেলে সমাধান খুঁজে পাওয়া ।
২৬। ছেড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা- আকাশ কুসুম কল্পনা করা।
২৭। জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ- উভয়দিক থেকেই বিপদ।
২৮। জলে না নামলে সাঁতার শেখা যায় না- চেষ্টা না করলে সফলতা পাওয়া যায় না।
২৯। জুতা সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ- ছােট বড় সব কাজ একাই করা।
৩০। জোর যার মুল্লক তার- শক্তির কাছে সকলেই নত।
৩১। ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে- অভ্যাস পরিবর্তন হয় না।
৩২। ঝড়ে বক মরে, ফকিরের কেরামতি বাড়ে- অপরের কর্মের ফল নিজের বলে জানি
৩৩। ডােবা দেখলেই ব্যাঙ লাফায়- প্রিয় বস্তু দেখে আনন্দ পাওয়া।
৩৪। দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গােয়াল ভালাে- অপ্রাসঙ্গিক বেশি কথা বলা।
৩৫। নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা- নিজের দোষ অন্যের উপর চাপানাে।
৩৬। ধান ভানতে শিবের গীত- অপ্রাসঙ্গিক বেশি কথা বলা।
৩৭। নদীর মুখে বালির বাঁধ- প্রতিরােধের সামান্য চেষ্টা।
৩৮। ধর্মের কল বাতাসে নড়ে- সত্য কোনােদিন গােপন থাকে না।
৩৯। হিসাবের গরু বাঘে খায় না- লিখিত হিসাব ভুল হয় না।
৪০। হক কথার মার নেই- সত্যের ভয় নেই।
৪১। সবুরে মেওয়া ফলে- ধৈর্য্যের সাথে কাজ করলে সুফল পাওয়া যায়।
৪২। সাবধানের মার নেই- সতর্কতার বিপদ নেই।
৪৩। সুখে থাকলে ভূতে কিলায়- আরামে থেকে কষ্ট আনার মতাে কাজ করা।
৪৩। রথ দেখা কলা বেচা- একসঙ্গে দু’টি কাজ করা।
৪৪। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা- কোনােকিছু গােপন করার জন্য চেষ্টা।
৪৫। যত গর্জে তত বর্ষে না- আয়ােজন অনুযায়ী কাজ কম হওয়া।
৪৬। মশা মারতে কামান দাগা -সামান্য কাজের জন্য বিরাট আয়ােজন করা।
৪৭। মরা হাতি লাখ টাকা -দামী ব্যক্তির কদর সব জায়গায়।
৪৮। পুরানাে চাল ভাতে বাড়ে- পুরাতন জিনিস ভালাে।
৪৯। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ- অপরের ক্ষতির জন্য নিজের ক্ষতি করা।
৫০। বানরের গলায় মুক্তার মালা- অযােগ্যের হাতে ভালাে জিনিসের দুর্দশা।