Army Wife | ডাঃ সৈয়দা মার্জিয়া নেওয়াজ

Spread the love

Army Wife | ডাঃ সৈয়দা মার্জিয়া নেওয়াজ

Army Wife – কর্ম ব্যস্ততায় বাস্তবতার বেড়াজালের নিষ্ঠুর সময়ের ফ্রেমে বন্দি আমরা । ছকে বাঁধা জীবনের হিসাব মিলানো খুব একটা কঠিন কাজ হয়তো নয়। কিন্তু বিশ্বজয়ের সফলতার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে যখন সামনা-সামনি হয় নিজেরই কোন প্রতিচ্ছিবির সাথে, তখন আড়ালে দাড়িয়ে মুচকি হেসে অতীতের ধুলা মাখা কোন এক স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় আজকের এই আমার সাথে অতীতের সেই আমার কি বিস্তর তফাত। সময়ের হাত ধরে কতটাই না বদলে গেছি জীবনের ছন্দে ছন্দ মিলিয়ে।

নিঝুম রাতের নিরবতা ভেঙ্গে আকাশের চাঁদ এসে ছড়িয়ে দেয় আলাে চারপাশটায়, হঠাৎ মনে পড়ে যায় পুরনো দিনের ভুলে যাওয়া কোন গান নতুন করে, মানুষ এভাবেই এগিয়ে যায় সামনের দিকে, নতুন কোন পথের সন্ধানে, নতুন লেখা কোন কবিতায় নতুন করে এক সুর ঢেলে, অতি পরিচিত কোন এক পথে খুব কাছের কোন এক মানুষের হাত ধরে।

বদলে যায় সবকিছু প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মেই

অসংখ্য লোকের ভিড়ে কখনও কখনও নিজেকে খুবই একা লাগে, বিষন্ন কোন এক দিনের শেষে ক্লান্তিমাখা এলোমেলো চিন্তার এক সমাপ্তি টেনে দেয় কখনও এক কাপ গরম চা কিংবা কফি । জমে উঠে জম-জমাট আচ্ছা, হাসি ঠাট্টা আর ভাল লাগা না লাগা ছোট খাট পারিবারিব তর্ক-বিতর্কের মাঝেও অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছে বারবারই নীলা, চার/পাঁচ ঘন্টা আগেই আকাশের চলে আসার কথা, উফ! অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না।

অপেক্ষা, কাছের কোন এক মনের মানুষের জন্য। কষ্টের হলেও ব্যাপারটা অনেক মধুর, আজ নীলাদের বিবাহ-বার্ষিকী, নীলা অপেক্ষা করছে তার স্বামীর, বাসা ভর্তি মেহমান, এতলোক, আত্নীয়-স্বজন চারপাশটায় কিন্তু মন যাকে বার বার খুঁজচ্ছে সেই মানুষটার এখনও সময় হয়নি বাড়ি ফেরার । কিছুটা অভিমান, কিছুটা অভিযােগ আর বুকভরা ভালবাসা নিয়ে ঘড়ির কাটার সঙ্গে লড়াই করছে মনে মনে নীলা।

আরও পড়ুন >> প্রতিটি মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা । আসাদুজ্জামান জিহাদী

বাংলাদেশ আর্মিতে কর্মরত স্বামীর অপেক্ষা, অপেক্ষাটা তাই কখনও কষ্টের, কখনও গর্বের কখনও আনন্দের মিশ্র এক অনুভুতির সুর। ছোট বেলা থেকেইে আর্মি পরিবেশে বেষ্টিত ছিল নীলা, বাবা ভাই সবাই আর্মি পরিবারেরই সদস্য তাই খাপ খাই নিতে কোন সমস্যা হয়নি নীলার কখনই, কিন্তু অপেক্ষা ? অপেক্ষাটা মধুর যদি সেটা হয় মনের মানুষের।

আর্মি অফিসার বাবাকে ছোট বেলা থেকে দেখে বড় হয়েছে নীলা, দুচোখে স্বপ্ন নিয়ে তার মনের মানুষের ছবি একেঁছে ভালবাসার ফ্রেমে, তেমন-ই করে সব মেয়েরাই তার প্রেমিককে বাবার আদর্শে রাঙিয়ে তুলতে চায় কারণ ছোট বেলা থেকেই জীবন নাটকের শ্রেষ্ঠ নায়ক চরিত্রে বাবাকেই বসিয়ে চলে। মা থাকেন সুন্দরী মায়াবী মমতাময়ী নায়িকা চরিত্রে।

নীলা ! চিৎকার করে ডাকছে বড় ভাই, কি ভাবচ্ছিস ? মুচকি হেসে মাথা নাড়ায় নীলা। যদিও পারিবারিক ভাবেই হয়েছে তাদের বিয়েটা তবুও সবাই জানে ভালবাসার বিরল সম্পর্ক আকাশ নীলার।

Duty শেষে বাড়ি ফেরার পথে আবার Unit-এ যেতে হয়েছে আকাশকে সামনে রেজিমেন্টের কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজিত Conference-এ অংশগ্রহণ করবে, তাই অগত্যা অপেক্ষা। অপেক্ষা কষ্টের হলেও মধুর যখন সেটা ভালবাসার জন্য হয়, যখন স্ত্রী অপেক্ষায় থাকে তার ভালবাসার মানুষটার জন্যে।

আরও পড়ুন >> এইতো আমি–তানসেন হিমেলের কবিতা

কয়েকবার Mobille-এ ফোন করে এখন বিরক্ত নীলা । ভাবছে এভাবে আর কতক্ষন, SMS পাঠিয়ে জানিয়েছে আকাশ তার ফিরতে দেরী হবে Pls Dinner করে ফেল, Guest-রা আপেক্ষা করছেন, Massage-টা পেয়ে সেই একই রকম মিশ্র অনুভুতি নীলার……..স্বামী Office এর কাজে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও ভেবেছে স্ত্রী বাসায় অপেক্ষায় আছে, বাড়ি ফেরার তীব্র ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কর্তব্যের কাছে নত স্বীকার করে নিশ্ৰুপ দায়িত্ব পালন করছে। এ ভেবে গর্বে মনটা খুশীতে ভরে গেল নীলার কিন্তু………. তাতে কি অপেক্ষা তো চলছেই।

হয়তাে আকাশ বলতে পারতো Senior কে …….Permission নিয়ে আসতে পারতো অন্তত আজকের এই বিশেষ দিনটায় বাসায় তাড়াতাড়ি………. কিন্তু ভাই আর বাবার মুখে শুনেছে নীলা For an army person duty always comes first then Family……. আর নীলার স্বামী তার ব্যতিক্রম নয়।

Dinner serve করা হলো সবাই খাওয়া শুরু করলো, প্রচন্ড কান্না পাচ্ছে নীলার, ইচ্ছে হচ্ছে………থাক কিছু কিছু ইচ্ছের কথা মনের ভিতরে লুকিয়ে রাখতে হয়, ছোট বোন দুষ্টমী করছে বার বার, আকাশকে নিয়ে। আকাশ আর্মি অফিসার হওয়ায় একেক সময় একেক জায়গায় Posting হয়েছে। এখন আছে PGR’ এ, Cousinরা অনেকেই জানে না PGR মানে কি তাদের কাজ কি? নীলা তাদের শুধু বলছে সরকার প্রধান এবং রাষ্ট্র প্রধানের দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান করাই PGR এর প্রধান কাজ।

হঠাৎ অট্ট হাসিতে হেসে উঠলো নীলার ছোট বোন……….আপু আমি বুঝেছি PGR মানে P= প্রেমিকহীন, G= ঘরে, R=রই অথাৎ PGR=প্রেমিকহীন ঘরে রই…….(স্ত্রীদের জন্য) হা হা হা ……সবাই হাসছে নীলা রাগ করবে না হাসবে বুঝতে পারছে না। …….শেষে হেসেই ফেললো, সত্যিই তো তাই………

অপেক্ষা প্রহর শেষে বাড়ি ফিরে আসলো আকাশ খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, হাসি গান শেষে সমাপ্তি হল বিশেষ দিনের বিশেষ অপেক্ষা। যদিও দিনটিকে ঘিরে আর অন্য স্ত্রীদের মত নীলারও ইচ্ছে ছিল অনেক কিছু করার, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠলো না। পরের দিনের অফিসের ছক বাঁধা সময়ের কথা মনে করেই ক্লান্ত নীলা আর আকাশ ঘুমানোর প্রস্তুতি নিল । টুকটাক দুই একটা কথা বলতে বলতেই ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেল আকাশ ………নীলার খুবই মায়া লাগছিল আকাশের জন্য; ক্লান্ত, অবশান্ত শরীরে গভীর ঘোরে ঘুমোচ্ছে আকাশ। মনে মনে ভাবছে নীলা, হয়তো কখনও বলা হয়নি যে কথা আকাশ কে ………অপলোক দৃষ্টিতে তাকিয়ে নিজের মনে মনেই ভাবতে লাগল নীলা……

আরও পড়ুন >> ছোট কবিতা “আষাঢ়”-জাহাঙ্গীর আলম সুমন

I walk with you
I feel proud
You made me proud of myself & who I am
You gave me a name
And people call me your “better half”
I get all the respect for being your wife
What a perfect word they use for me
They call me an “Army wife”.
I wear no uniforms, no blues or army greens.
But I am in the army in the ranks, rarely seen.
I have no rank upon my shoulders-salutes I do not give.
But the military word is the place where I live.
I’m not in the chain of command, orders I do not get.
But my husband is the one who does, this I can not forget.
I’m not the one who fires the weapon, who puts my life on the line.

But my job is just as tough, I’m the one that’s left behind.
My husband is a patriot, a brave & prideful man and
The call to serve his country not all can understand.
Behind the lines I see the things needed to keep this country free.

My husband makes the sacrifice, but so do I.
I love the man I married, soldiering is his life.
But I stand among the silent ranks known as the Army wife.

I feel proud people call me an “Army wife”.

ডাঃ সৈয়দা মার্জিয়া নেওয়াজ পেশায় একজন ডাক্তার। তিনি ‘উইমেন মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটাল’ উত্তরা থেকে এম বি বি এস সম্পন্ন করেন । তিনি মেজর মোঃ নাহিদ নেওয়াজ, পিএসসি, (বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টে কর্মরত) এর সহধর্মীনি।

Check Also

ফুটানী মেরে বিয়ে

ফুটানী মেরে বিয়ে। মজার জীবন কাহিনী

Spread the loveফুটানী মেরে বিয়ে। মজার জীবন কাহিনী আমরা অনেকেই যখন ১৮/২০ হাজার টাকা বেতন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *