গ্রামীণফোনের কাছে বাংলাদেশ সরকার পেত ১২ হাজার কোটি টাকা!!বাংলাদেশের অন্যতম মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন লিঃ।বর্তমানে কোম্পানিটির ৫৫.৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক নরওয়েজিয়ান কোম্পানি টেলিনর।
১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণফোন।বাংলাদেশের সবথেকে পুরনো এই অপারেটরটি বাংলাদেশে তাদের ব্যাবসা সফল্ভাবে পরিচালনা করলেও বাংলাদেশের নিয়ম কানুন মেনে ঠিকভাবে পাওনা মেটায়নি।যার ফলে আদালতে পর্যন্ত যেতে হয়েছে বৃহৎ এই কোম্পানিকে। ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোনের উপর অডিট নিরিক্ষা করা হয়।২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তরঙ্গ ব্যাবহারের চার্জসহ ২৭টি খাতে গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির পাওনা দাড়ায় ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। যার মধ্যে বিটিআরসির পাওনা ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা ও এনবিআরের অংশ ৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন >> ট্রাস্ট ব্যাংক বাড়ী নির্মানের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিচ্ছে সহজেই
বিটিআরসির পাওনা টাকার মধ্যে মুল টাকা হল ২ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা বাকি ৬ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা হল বিলম্ব ফি,মুল টাকার সাথে যা চক্রবৃদ্ধি হারে হিসাব করা হয়েছে।
বিটিআরসির এই অডিট রিপোর্টের ওপর গ্রামীণফোন উচ্চ আদালতে আপিল করে।আদালত রায় দিলেও গ্রামীণফোন নানা ভাবে এই অর্থ কমানোর চেষ্টা করে এবং গ্রামীণফোন আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করে। রিভিউ আবেদনে অপারেটরটি ৫৭৫ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করে।
আদালত এই আবেদনটিকে আমলে না নিয়ে খারিজ করে দেয়।আপিল বিভাগের রায়ে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গ্রামীণফোনকে ২ হাজার কোটি টাকা দেয়ার নির্দেশ দেয়।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবারে আপিল বিভাগের রায়ে গ্রামীণফোনকে ১ হাজার কোটি টাকা দেয়ার নিরদেশ দেয়। আজ রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণফোন বিটিআরসির কাছে ১ হাজার কোটি টাকা জমা দেয়।
টাকা জমা দেয়ার বিষয়ে গ্রামীণফোন এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে – গ্রামীণফোন বাংলাদেশে আইন ও সুপ্রিম কোটের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে যে-বিটিআরসি গ্রামীণফোন ও এর করতিপক্ষের উপর যেসব চাপ প্রয়োগ করত সেখানেও তারা আদালতের কাছে সুরক্ষার জন্য আবেদন করে।
গ্রামীণফোনের বিবৃতেতে বলা হয় যে- এনওসি বন্ধ,নতুন নম্বর সিরিজ না দেউয়া,লাইসেন্স বাতিলের কারন দর্শানোর নোটিস,এবং প্রশাসক বসানোর হুমকির মত বিধিনিষেধ ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকে বিটিআরসি।যা তাদের ব্যাবসায়িক পরিবেশে প্রভাব ফেলেছে এবং বিনিয়োগকারিরদের মধ্যে খারাপ প্রভাব ফেলেছে।