শিরক থেকে বাঁচার উপায় । শিরক এর ভয়াবহতা

Spread the love

শিরক থেকে বাঁচার উপায়। শিরক এর ভয়াবহতা

কেউ আল্লাহ সাথে শরীক করলে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাত অবশ্যই হারাম করবেন এবং তার আবাস হবে জাহান্নাম। শিরক থেকে বাঁচার উপায় – অতএব শিরক থেকে সবইকে সাবধান থাকতে হবে।

শিরক কি?
শিরক মানে শরীক করা বা অংশীবাদিত্ব। বস্তুত শিরক দু’প্রকার
১. শিরকে আকবার । একে শিরকে জলীও বলা হয়;
২. শিবুকে আসগর। একে শিরকে খফীও বলা হয়।

শিরকে আকবার হল আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক সাব্যস্ত করা। এই শিরক চার প্রকার হতে পারে :
১. আল্লাহ্র যাত বা সত্তায় কাউকে শরীক করা;
২. তার গুণাবলীতে কাউকে শরীক করা;
৩. সৃষ্টি জগতের পরিচালনায় কাউকে আল্লাহর সাথে শরীক করা;
৪. ইবাদতের মধ্যে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা।

শিরকে আসগর হচ্ছে, ইবাদতের মধ্যে কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য শামিল রাখা। অথবা কোন বিষয়ে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কিছুর প্রত্যেক্ষ প্রভাবের ধারণা রাখা। আর লোক দেখানো ইবাদত (রিয়া) করাও এই প্রকারের অন্তর্ভুক্ত।

আরও পড়ুন >> নবীজির সহি ৩০টি হাদিস বাংলা অনুবাদ সহি দলিল সহ

এই কথা ইমাম রাগিব ইস্পাহানী (র) বর্ণনা করেছেন:
মহান আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক সাব্যস্ত করা যেমন জায়িয নেই, অনুরূপভাবে কাউকে তাঁর সমগুণসম্পন্ন মনে করাও জায়িয নেই। বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ্র সমতুল্য বা সমগুণসম্পন্ন ও সমশক্তিসম্পন্ন কাউকে মনে করা আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের শামিল। শিরক গুরুতর অপরাধ এবং এটা চরম যুলুম।

কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে :

ان الشرك لظلم عظيم .

নিশ্চয়ই শিরক চরম যুলম। (সূরা লুন, ৩১ : ১৩)

বান্দা আল্লাহর সাথে শিরক করলে এবং আল্লাহর নিরংকুশ কর্তৃত্ব ও আধিপত্যের মধ্যে কাউকে শরীক করলে আল্লাহ্ তা ক্ষমা করেন না।

ইরশাদ হয়েছে :

ان الله لا يغفر أن يشرك به ويغفر ما دون ذلك لمن يشاء ومن يشرك بالله فقد ضل ضل بعيدا .

নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না, এ ছাড়া সব কিছু যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করলে সে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়। (সূরা নিসা, ৪:১১৬)। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে তার ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম।

এ প্রসঙ্গে কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে :

انه من يشرك بالله فقد حرم الله عليه الجنة ومأواه الثار وما للظلمين من أنصار

কেউ আল্লাহ্র সাথে শরীক করলে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাত অবশ্যই হারাম করবেন এবং তার আবাস হবে জাহান্নাম। যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। (সূরা মায়িদা, ৫: ৭২)

আরও পড়ুন >> প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় । নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি । Job Circular 2022

আরো ইরশাদ হয়েছে :

من السماء تخطئه الطب ارتفوی به الريح
ومن يشرك بالله فگائما فنی مگان سحيق .

আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে যেন আকাশ হতে পড়ল, এরপর পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল কিংবা বায়ু তাকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে এক দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল। (সূরা হাজ্জ, ২২: ৩১)।

শিরক সম্পর্কে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেন :

لا تشرك بالله شيئا وان قتلت وحرقت .

যদি তোমাকে হত্যা করা হয় এবং জ্বালিয়েও দেওয়া হয়, তারপরও আল্লাহর সাথে তুমি কাউকে শরীক করবে না।

তিনি আরো ইরশাদ করেন : আল্লাহর সাথে শরীক করা, মাতাপিতার নাফরমানী করা, কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা এবং অতীত কাজের উপর মিথ্যা শপথ করা কবীরা গুনাহ্সমূহের মধ্য অন্যতম।

New Product >>  Lenovo IdeaPad Flex 5 Touch Laptop AMD 14″ FHD

ভিডিও >>  মাঝি ভাই || O Majhi Vai || দরদ মাখা নাতে রাসুল

 

Check Also

তাকদীরের প্রতি ঈমান আনার গুরুত্ব

তাকদীরের প্রতি ঈমান আনার গুরুত্ব

Spread the loveতাকদীরের প্রতি ঈমান আনার গুরুত্ব তাকদীরের প্রতি ঈমান আনার গুরুত্ব – মানুষ ভবিষ্যতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *