স্টাফ রিপোর্টার:
নাটোরের লালপুর উপজেলায় দুই-তিন ফসলী কৃষি জমিতে চলছে অবাধে পুকুর খনন। পুকুর খনন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেও থামনো যাচ্ছেনা পুকুর খনন। পুকুর খননের এমন ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে এই উপজেলায় খাদ্য শস্য আবাদের জমি থাকবে না বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
সরেজমিনে উপজেলার কদিমচিলান ও দুয়ারিয়া এলাকা ঘুরে ৪টাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এস্কেবেটর (মাটি কাটার মেশিন) দিয়ে দুই-তিন ফসলী জমির মাটি কেটে ট্রাক্টর ট্রলি ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে পাঠানো হচ্ছে সরাসরি ইটভাটায়ও বসত বাড়িতে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ‘বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এস্কেবেটর দিয়ে অবৈধভাবে পুকুর খনন করছে। তারা গ্রামের কৃষকদের জমি চড়ামুল্যে অথবা দীর্ঘমেয়াদী ইজারা নিয়ে পুকুর খনন করে।
আরও পড়ুন >> ট্রাস্ট ব্যাংক বাড়ী নির্মানের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিচ্ছে সহজেই
পুকুরের মাটি ইটভাটা মালিকদের কাছে বিক্রি করছে। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোক এসে জরিমান করে গেলেও পরেই আবার পুকুর খনন শুরু হচ্ছে। মাটি বাহি ট্রাক অধিক পরিমানে চলাচলের ফলে গ্রামীন কাঁচা, আধাপাকা ও পাকা-সড়ক মহাসড়ক, কালভার্ট ভেঙ্গে ছোট বড় গর্ত আর খনাখন্দে পরিনত হচ্ছে। অপরদিকে অপরিকল্পিত পুকুর খননের ফলে মাঠের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় দীর্ঘ মেয়াদী জলবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, ‘অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে। আইন অমান্য করে তিন ফসলি জমিতে কাউকে পুকুর খনন করতে দেয়া হবেনা বলেও জানান তিনি।