রমজানের ৪০টি আমল আবশ্যক
রমজানের ৪০টি আমল – বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে ২১ তম রাত শুরু হবে। আমরা জানি যে, লাইলাতুল কদরের জন্য শুধু ১টা দুয়া স্পেসিফিক করে বর্নিত হয়েছে, এর বাইরে অন্য কোন ইবাদত নির্ধারিত করে দেওয়া হয় নি। শরিয়ত অনুমোদিত ইবাদতগুলো দ্বারাই আমাদেরকে সারা রাত জেগে ইবাদতের চেষ্টা করতে হবে। এখন আমরা দেখবো সন্ধ্যা থেকে ফজর পর্যন্ত আমরা কি কি ইবাদতের মধ্য দিয়ে সারা রাত কাটাতে পারি-
১- সন্ধ্যায় ইফতারের সময় হলে বিসমিল্লাহ বলে ইফতার করা।
২- মাগরিবের ফরজ সলাত আদায় করা।
৩- ফরজ সলাতের পর পঠনীয় দোয়া ও জিকিরগুলো পড়া।
৪- মাগরিবের ২ রাকাত সুন্নাত সলাত আদায় করা।
৫- সন্ধ্যার দুয়া জিকিরগুলো পড়া।
৬- এরপর ইশার সলাতের আগ পর্যন্ত বিশ্রাম বা হালকা কিছু খেয়ে নেওয়া যেতে পারে যাতে সারা রাত ইবাদত করতে শরীরে শক্তি পাওয়া যায়।
৭- ইশার সলাত মসজিদে জামাতেও পড়তে পারেন যেহেতু ইমামের সাথে পুরো সলাত পড়ে আসলে সারা রাত ধরে সলাত আদায়ের সওয়াব দেওয়া হয় আর এখন যেহেতু বাইরে বের হতে কিছুটা ভয় রয়েছে সেক্ষেত্রে কেউ বাড়িতে পড়লে ৪ রাকাত ফরজ সলাত আদায় করা।
আরো পড়ুন: যাকাতের গুরুত্ব ও ফজিলত | ইসলামে যাকাত দেওয়ার নিয়ম
৮- ইশার ফরজ সলাতের পর পঠনীয় দোয়া ও জিকিরগুলো পাঠ করা।
৯– ইশার ২ রাকাত সুন্নাত সলাত আদায় করা।
১০- এরপর রুকু সিজদাতে অনেক অনেক তাসবিহ পাঠ করে, দাড়িয়ে অনেক আয়াত বা ছোট অনেকগুলো সুরা পাঠ করে ২ রাকাত তারাবি সলাত আদায় করা।
১১- এরপর ১ ঘন্টা এর মত কুরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে।
১২- ১০০ বারের মত বা তারচেয়ে কম বেশি সুরা ইখলাস পড়া যেতে পারে যেহেতু প্রতি ৩ বার সুরা ইখলাস পড়াতে ১ বার কুরআন খতমের সওয়াব হয়।
১৩- ১০০ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ্, লাহুল মুলকু অলাহুলহামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর পড়া যেতে পারে-
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক ১০০বার এ দু‘আটি পড়বেঃ
উচ্চারণ:- “ লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ্, লাহুল মুলকু অলাহুলহামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।
অর্থ:- আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই, তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব, তাঁরই সমস্ত প্রশংসা এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।
তাহলে ১০টি গোলাম আযাদ করার সমান সাওয়াব তার হবে। তার জন্য ১০০টি সাওয়াব লেখা হবে এবং আর ১০০টি গুনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে। ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান হতে মাহফুজ থাকবে। কোন লোক তার চেয়ে উত্তম সাওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে ঐ দু‘আটির ‘আমল বেশি পরিমাণ করবে।(বুখারি- ৬৪০৩)
আরো জানতে : জুমার দিন ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়ে বেশী মর্যাদাবান
১৪- ১০০ বার সুব্হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী পড়া যেতে পারে-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে,
(সুব্হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী)
‘আমি আল্লাহর প্রশংসা পবিত্রতা ঘোষণা করছি’, তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে।”(বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৫, মুসলিম ৪/২০৭১, নং ২৬৯১)
১৫- ১০০ বারের মত বা তারচেয়ে কম বেশি সুব্হানাল্লা-হিল ‘আযীম ওয়াবিহামদিহী পড়া যেতে পারে যেহেতু প্রতিবার পড়াতে জান্নাতে একটি খেজুর গাছ লাগান হয় তার জন্য।
জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যদি “সুবহানাল্লাহিল আযীম ওয়া বিহামদিহী” পাঠ করে তবে তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর চারা লাগান হয়। (তিরমিজি- ৩৪৬৪)
১৬- সুব’হা-নাল্লাহ, আল হামদু লিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাহ এই ৪টি বাক্য ১০০ বার করে পড়া যেতে পারে-
উম্মু হানি (রা) রাসূল (সাঃ) এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি বৃদ্ধ ও দুর্বল হয়ে গিয়েছি, আমাকে এমন একটি আমল শিখিয়ে দিন যা আমি বসে বসে পালন করতে পারবো। তিনি বলেনঃ
*তুমি ১০০ বার “সুব’হা-নাল্লাহ” বলবে তাহলে ১০০টি ক্রীতদাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।
*তুমি ১০০ বার “আল হামদু লিল্লাহ” বলবে, তাহলে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য ১০০ টি সাজানো ঘোড়ায় মুজাহিদ প্রেরণের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে।
১০০ বার “আল্লাহু আকবার” বলবে, তাহলে ১০০টি মাকবুল উট কুরবানির সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।
তুমি ১০০ বার “লা-ইলাহা ইল্লাহ” বলবে, তাহলে তোমার সাওয়াবে আসমান ও জমীন পূর্ণ হয়ে যাবে।
(সুনান ইবনু মাজাহ ৩৮১০- হাসান)
১৭- লা হাউলা ওয়ালা কূওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ ১০০ বারের মত বা তারচেয়ে কম বেশি পড়া যেতে পারে-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “ওহে আব্দুল্লাহ ইবন কায়েস! আমি কি জান্নাতের এক রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব না?” আমি বললাম, নিশ্চয়ই হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন, “তুমি বল,
(লা হাউলা ওয়ালা কূওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ)।
“আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই।”
(বুখারী, ফাতহুল বারীসহ ১১/২১৩, নং ৪২০৬, মুসলিম ৪/২০৭৬, নং ২৭০৪)
১৮- ১০০ বারের মত বা তারচেয়ে কম বেশি দরুদ পড়া যেতে পারে-
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশবার রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি শুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে এবং তাঁর জন্য দশটি মর্যাদা উন্নীত করা হবে।
(সুনান নাসাঈ- ১৩০০, হাদিস সহিহ)
#হাদিসে বর্নিত ছোট্ট ১টা দরুদ যা অল্প সময়েই অধিকবার পড়ে ফেলা সম্ভব-
যায়দ ইবনু খারিজা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, তোমরা আমার উপর দরুদ পাঠ কর এবং বেশি বেশি দোয়া কর আর-তোমরা বলঃ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সল্লি আ’লা মুহাম্মাদ, ওয়া আ’লা আ-লি মুহাম্মাদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ ও তাঁর বংশধরের উপর রহ্মত বর্ষণ করো।
(সুনান নাসাঈ- ১২৯৫, হাদিস সহিহ)
১৯-কুরআন তেলোয়াত করা।
২০- ১০০ বারের মত বা তারচেয়ে কম বেশি আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি পড়া যেতে পারে-
নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “ওহে মানুষেরা, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবাহ করো, কেননা আমি দিনে ১০০ বার তাঁর নিকটে তাওবাহ করি।” (মুসলিম- ২৭০২)
অন্য বর্ননাতে এসেছে,
“নিশ্চয়ই আমি দিনে ১০০ বার আল্লাহর কাছে ইসতিগফার (ক্ষমা প্রার্থণা) ও তাওবাহ (ফিরে আসা) করি।” (ইবনু মাজাহ- ৩৮১৫)
২১- সুরা মুলক পাঠ করা-
রাসূল (সাঃ) বলেন : “যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সুরাহ মূলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন (সহিহ নাসাই, সহিহ তারগিব, হাকিম-৩৮৩৯, সিলসিলাহ সহিহাহ-১১৪০, শায়খ আলবানী রঃ হাদীছটি হাসান সহিহ বলেহেন, দ্র: সহীহ তারগীব ও তারহীব, হা/ ১৪৭৫ ও ১৪৭৬)
#মুখস্ত বা দেখে দেখে উভয় ভাবেই পড়া যাবে আর এটা ঘুমের আগে পড়াও শর্ত নয় বরং মাগ্রিবের পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত রাতের যে কোন সময় পড়লেই হবে]
২২- সুরা কাফিরুন পাঠ করা-
নবী (সাঃ) বলেছেন, রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সূরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শির্ক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী। (সহীহ তারগীব-৬০২)
২৩- সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত পাঠ করা-
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (আ-মানার রাসূলু–) তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে ”। (বুখারি- ৪০০৮)
২৪- এরপর আল্লাহর কাছে ২ হাত তুলে কান্নাকাটি করতেই থাকা, দুয়া করতে থাকা, ক্ষমা চাইতে থাকা, এমন ভাবে দুনিয়া আখিরাতের সবকিছু চাইতেই থাকা যে, আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’লা যেন আমাদের এমন একনিষ্ঠ চাওয়াতে খালি হাত ফিরিয়ে না দেন কোন মতেই। এই সময়ে কদরের বিশেষ দুয়া বারবার করা যেতে পারে আর তা হচ্ছে-
আয়েশা রা. জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি যদি কদরের রাত সম্পর্কে জানতে পারি তাহলে তাতে কী বলব? তিনি বললেন: বল,
উচ্চারণ:‘‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আ’ফওয়া, ফা’ফুআন্নী।’’
‘‘হে আল্লাহ, নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল। অত:এব আমাকে ক্ষমা করে দিন।’’’
(তিরমিযী, ৫/৫৩৪ হাসান, ইবনে মাজাহ ২/১২৬৫, সহীহ)
২৫- সম্ভব হলে কিছু দান সদকা করা আর কাউকে দেওয়ার না পেলে সেই পরিমাণ সদাকার জিনিস দানের নিয়তে রেখে দেওয়া যেতে পারে, পরে সুযোগ হলে দিয়ে দিলেও রাতের সওয়াবই পাওয়া যাবে আশা করা যায় ইন শা আল্লাহ্।
২৬- নিজের যাকাত দেওয়া বাকি আছে কিনা, বা কোথাও ঋণী কিনা এগুলোও কিছু সময় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা যেতে পারে কেননা এগুলো এমন বিপদজনক বিষয় যে, এগুলো বাকি রেখে মারা গেলে নাজাতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
২৭- নিজে এবং নিজের পরিবার সারারাত ইবাদত করার পাশাপাশি আপন আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবদের ফোন দিয়ে খোঁজখবর নেওয়া যেতে পারে এবং তাদের ইবাদতের দিকে দাওয়াত দেওয়া যেতে পারে তবে অবশ্যই সেটা সংক্ষিপ্ত সময়ে সারতে হবে, খোশগল্প করে এত মূল্যবান সময় নষ্ট করা যাবে না কোন মতেই।
২৭- এভাবে ২ রাকাত তারাবি সলাত আদায়ের পর কুরআন তিলাওয়াত, জিকীর আজকার, তাসবিহ, তাহলিল, দোয়া, দরুদ, ইস্তেগফার করার পর আবার ২ রাকাত রুকু সিজদাতে অনেক অনেক তাসবিহ পাঠ করে, দাড়িয়ে অনেক সুরা পাঠ করে ২ রাকাত তারাবি সলাত আদায় করা।
২৮- অতঃপর পূর্বের আমলগুলো আবার করা যেতে পারে।
২৯- অতঃপর আবার ২ রাকাত সলাত আদায় করা।
৩০- এরপর পূর্বে বর্নিত আমলগুলো করা যেতে পারে।
৩১- এরপর ২ রাকাত সলাত আদায় করে রাতের ৮ রাকাত তারাবি শেষ করা।
৩২- সেহেরী এখনো দেরি থাকলে পূর্বের আমলগুলো আবার করা যেতে পারে আর বেশি দেরি না থাকলে বিতির পড়ে নেওয়া।
৩৩- রমজানের ৪০টি আমল – সেহেরী খাওয়া।
৩৪- সেহেরীর সময় কিছু খেজুরও খাওয়া যেহেতু এটা সুন্নাহ।
৩৫- ফজরের আজান হয়ে গেলে ২ রাকাত সুন্নাত সলাত আদায় করা।
৩৬- ফজরের ফরজ সলাত আদায় করা।
৩৭- ফরজ সলাতের পর পঠনীয় দোয়া ও জিকীর পাঠ করা।
৩৮- রমজানের ৪০টি আমল – সকালের দুয়াগুলো পড়া।
৩৯- এরপর সম্ভব হলে যায়গায় বসে থেকেই জিকীর আজকার করতে করতে সূর্য স্পষ্ট উঠে গেলে ২ রাকাত ইশরাকের সলাত আদায় করা, এতে করে একটা কবুল হজ ও উমরার সওয়াব পাওয়া যায় তবে সারা রাত জেগে ইবাদত করাতে সুর্য উঠা পর্যন্ত বসে থাকা কষ্টকর হলে সকালের দুয়া জিকীর পড়ে ঘুমিয়ে যাওয়া।
৪০- নারীদের যদি হায়েজ নেফাস চলতে থাকে তাহলে শুধু কুরআন তিলাওয়াত আর সলাত আদায় বাদে উপরে বর্নিত সকল আমল করতে পারবে, কুরআন তিলাওয়াত আর সলাত আদায়ের সময়টা তারা অন্যান্য উপরে বর্নিত আমলগুলো বেশি করে করতে পারবে। রমজানের ৪০টি আমল – এতে করে তারাও এই রাতগুলোর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে না ইন শা আল্লাহ্।