সালাতুল মারীয বা অসুস্থ ব্যক্তির নামায 10 টি হাসিদ

Spread the love

সালাতুল মারীয বা অসুস্থ ব্যক্তির নামায পড়ার জন্য বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। তা হাদিস কোরআন অনুযায়ী আলোচনা করা হলোঃ

* অসুস্থ থাকার কারণে দাঁড়িয়ে নামায পড়তে সক্ষম না হলে বসে নামায পড়বে, বসে রুকু করবে এবং উভয় সাজদা করবে। রুকুর জন্য এতটুকু ঝুঁকবে যেন কপাল হাঁটুর কিনারা বরাবর হয়ে যায়।

* রুকু সাজদা করার ক্ষমতা না থাকলে মাথার ইশারায় রুকূ সাজদা করবে। রুকুর তুলনায় সাজদার জন্য মাথা বেশী ঝুকাবে। সাজদার জন্য বালিশ ইত্যাদির প্রয়ােজন নেই বরং বালিশ ইত্যাদি উঁচু বস্তুর উপর সাজদা করা ভাল নয়।

* দাঁড়িয়ে নামায পড়তে অনেক কষ্ট হলে বা রােগ বেড়ে যাওয়ার প্রবল আশংকা থাকলে বসে নামায পড়া দুরস্ত আছে।। (সালাতুল মারীয)

* যদি কেউ দাঁড়াতে সক্ষম কিন্তু রুকূ সাজদা করতে সক্ষম নয় তাহলে সে দাড়িয়ে নামায পড়তে এবং রুকূ সাজদার জন্য ইশারা করতে পারে, তবে তার জন্য বসে নামায পড়া উত্তম। রুকূ সাজদার জন্য ইশারা করবে । (সালাতুল মারীয)

* যদি নিজ ক্ষমতায় বসতে সক্ষম না হয় কিছুতে হেলান দিয়ে বা টেক দিয়ে বসতে সক্ষম হয়, তাহলে হেলান দিয়ে বসে নামায পড়বে । হাঁটু খাড়া রাখতে পারলে খাড়া রাখবে নতুবা হাঁটুর তলে বালিশ দিয়ে হাঁটু উচু করে রাখবে যেন যথা সম্ভব কেবলার দিক থেকে পা ফিরে থাকে।

* যদি হেলান দিয়েও বসতে সক্ষম না হয় তাহলে মাথার নীচে বালিশ ইত্যাদি দিয়ে মাথা উঁচু করে কেবলামুখী করে দিয়ে নামায পড়বে। এরূপ অবস্থায় মাথা উত্তর দিকে দিয়ে ডান কাতে শুয়ে বা মাথা দক্ষিণ দিকে দিয়ে বাম কাতে শুয়ে কেবলার দিকে মুখ করেও নামায পড়া দুরস্ত আছে। এ সব অবস্থায়ই মাথার ইশারায় রুকূ সাজদা করবে।

New Gadget >> Smart Wifi 6 Quart Multi-use Electric Pressure

* যদি মাথা দ্বারা রুকূ সাজদার জন্য ইশারা করার ক্ষমতা না থাকে তাহলে চক্ষুর দ্বারা ইশারায় নামায আদায় হবে না। এরূপ অবস্থায় নামায ফরযও থাকে। এরূপ অবস্থা পাঁচ ওয়াক্ত নামায পর্যন্ত থাকলে ঐ নামাযগুলাের কাযা করতে হবে। আর পাঁচ ওয়াক্তের বেশী স্থায়ী হলে তার কাযাও করতে হবে না।

* কারও বেহুশ থাকা অবস্থায় পাঁচ ওয়াক্তের বেশী নামায ছুটে গেলে তার কাযা করতে হবে না।

* দাড়িয়ে নামায শুরু করার পর যদি এমন হয়ে যায় যে, দাড়ানাের শক্তি রইল না, তাহলে অবশিষ্ট নামায বসে পড়বে। রুকূ সাজদা করতে পারলে করবে নতুবা মাথার ইশারায় রুকূ সাজদা করবে। এমনকি বসতে না পারলে শুয়ে শুয়ে অবশিষ্ট নামায আদায় করে নিবে।

* কেউ বসে নামায শুরু করার পর নামাযের মধ্যেই দাঁড়ানাের শক্তি এসে গেছে, তাহলে অবশিষ্ট নামায দাঁড়িয়ে পূর্ণ করবে।

* যদি কেউ মাথার ইশারায় নামায পড়া শুরু করার পর বসে বা দাঁড়িয়ে রুকু সাজদা করার মত শক্তি পায় তাহলে নতুন নিয়ত বেঁধে নতুন করে পূর্ণ নামায আদায় করতে হবে- পূর্বের নামাযের নিয়ত বাতিল হয়ে যাবে।

* রােগী পেশাব পায়খানার পর পানি দ্বারা এস্তেঞ্জা করতে সক্ষম না হলে পুরুষ হলে তার স্ত্রী কিম্বা স্ত্রী হলে তার স্বামী পানির দ্বারা এস্তেঞ্জা করিয়ে দিলে ভাল । নতুবা নেকড়ার দ্বারা মুছে ঐ অবস্থায়ই নামায পড়ে নিবে। যদি নেকড়ার দ্বারা মুছবার মত শক্তি না থাকে এবং পুরুষের স্ত্রী বা স্ত্রীর স্বামী না থাকে) তাহলেও ঐ অবস্থায় নামায পড়ে নিবে।

* রােগীর বিছানা যদি নাপাক হয় এবং বিছানা বদলাতে যদি রােগীর অতিশয় কষ্ট হয় বা ক্ষতি হয়, তাহলে ঐ বিছানাতেই নামায পড়ে নিবে।

* ডাক্তার চক্ষু অপারেশনের পর নড়াচড়া করতে নিষেধ করলে এমতাবস্থায় শুয়ে শুয়ে হলেও নামায পড়ে নিবে।

আরও পড়ুন >> স্বপ্নে বাড়ী ঘর দেখলে আপনার কি হতে পারে

Check Also

পবিত্র রমজানে

পবিত্র রমজানে আল্লাহর নৈকট্য লাভের 10 আমল

Spread the loveপবিত্র রমজানে আল্লাহর নৈকট্য ও পুণ্য লাভের সর্বোত্তম সময়। কেননা রমজান মাসে আল্লাহ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *