যেসব ছোটো আমল পূর্বের সমস্ত গুনাহ মিটিয়ে দেয়

Spread the love

খাবার শেষে দু‘আ পাঠ করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে-ব্যক্তি খাবার শেষে বলল, ‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানী হাযাত্ত্ব‘আমা ওয়া রযাক্বানীহি মিন গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়া লা- কুওওয়াতিন’ তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” (তিরমিযি, হা. ৩৪৫৮; হাসান )

রমাযানের সিয়াম পালন করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে-ব্যক্তি ঈমানের সাথে নেকীর আশায় রমাযানের সিয়াম পালন করে, তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” ( সহহুল বুখারী, হা. ২০১৪ ; সহীহ মুসলিম, হা. ৭৫৯)

লাইলাতুল ক্বদরে ইবাদত করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে-ব্যক্তি ঈমানের সাথে নেকীর আশায় লাইলাতুল ক্বদরে ইবাদত করে, তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” ( সহহুল বুখারী, হা. ২০১৪ ; সহীহ মুসলিম, হা. ৭৫৯)

রমাযানে ক্বিয়াম তথা তারাবীর সালাত আদায় করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে-ব্যক্তি ঈমানের সাথে নেকীর আশায় রমাযানে ক্বিয়াম তথা তারাবীর সালাত আদায় করে, তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” ( বুখারী, হা.২০১৪ ; সহীহ মুসলিম, হা. ৭৫৯ )

আযানের দু‘আ পাঠ করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে-ব্যক্তি আযানের সময় বলে, ‘ওয়া আনা আশহাদু আন লা- ইলাহা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহ, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়া রাসূলুহ, রযীতু বিল্লা-হি রব্বা-, ওয়া বি মুহাম্মাদি রসূলা-, ওয়া বিল ইসলা-মি দ্বীনা-’ তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” (সহীহ মুসলিম, হা. ৩৮৬ )

ইস্তিগফার পাঠ করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে-ব্যক্তি ‘আস্তাগ্ফিরুল্লাহাল আ‘যীমাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা- হুয়াল হায়য়ুল ক্বয়্য়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি’ পাঠ করে, আল্লাহ তা‘য়ালা তাকে মাফ করে দেন। যদিও সে যুদ্ধের মাঠ থেকে পলায়ন করার মত জঘন্য পাপ করে।” (তিরমিযি হা. ৩৫৭৭, সহীহ )

পরিপূর্ণভাবে ওযু করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে-ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে ওযু করে, তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। ফলে তার সালত এবং মাসজিদে গমন, নফল হিসেবে বিবেচিত হয়।” (সহীহ মুসলিম, হা. ২২৯)

রুকু থেকে দাঁড়িয়ে দু‘আ পাঠ। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ইমাম যখন ‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদা’ বলে, তখন তোমরা ‘আল্লাহম্মা রব্বানা- লাকাল হামদ’ বলো। কেননা যার বলা ফেরেশতাদের বলার সাথে মিলে যায়, তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” (তিরমিযি, হা. ২৬৭; সহীহ)

সূরা ফাতিহা শেষে ‘আমীন’ বলা। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ইমাম যখন আমীন বলে, তখন তোমরা আমীন বলো। কেননা যার আমিন ফেরেশতার আমিন সাথে মিলে যায়, তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” ( বুখারী, হা. ৭৮০ ; সহীহ মুসলিম, হা. ৪১০)

পরস্পর সাক্ষাতে সালাম দিয়ে মুসাফাহা করা। রাসূল (সা) বলেছেন, “দুজন মুসলমান পরস্পর মিলিত হয়ে মুসাফাহা করলে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়।” (আবূ দাউদ, হা. ৫২১২, সহীহ)

বিছানায় দু‘আ পাঠ করা। রাসূল (সা) বলেছেন, “যে-ব্যক্তি বিছানায় ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ, ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহ, লাহূল মুলকু ওয়া লাহূল হামদু , ওয়া হূওয়া ‘আলা কুল্লি শায়্য়িন ক্বদীর, লা- হাওলা ওয়া লা- কুওওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহ, সুবহা-নাল্লা-হ, ওয়াল হামদুলিল্লা-হ, ওয়া লা- ইলা-হা ইল্লাল লাহূ, ওয়াল্লাহু আকবার’ পাঠ করে, তাঁর সমস্ত গুনাহ মাফ করা দেওয়া হয়। যদিও তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনার চেয়েও বেশি হয়।” (ইবনু হিব্বান, হা. ৫৫২৮, সহীহ)

আরো জানুন : মানুষের যেসকল কাজ আল্লাহ্‌র নিকট সব থেকে অধিক পছন্দনীয়

Check Also

Mufti Amir Hamza

Mufti Amir Hamza (মুফতি আমির হামজা) ইসলামী স্কলার

Spread the loveMufti Amir Hamza (মুফতি আমির হামজা) একজন বাংলাদেশী ইসলামী স্কলার। তিনি বিভিন্ন ওয়াজ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *