বাংলা ব্যাকরণে প্রকৃতি ও প্রত্যয়

Spread the love

প্রত্যয় কাকে বলে?
ধাতু বা মূল শব্দের সাথে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলা হয়। শব্দের মূলকে শব্দ প্রকৃতি এবং ধাতুর মূলকে ধাতু প্রকৃতি বলা হয়।
যেমন : ঢাকা + আই = ঢাকাই; Vচল + অন্ত = চলন্ত ।
এখানে ‘ঢাকা’ শব্দ প্রকৃতি ও ‘চ’ ধাতু প্রকৃতি এবং ‘আই’ ও ‘অন্ত’ প্রত্যয়।

প্রত্যয় কয় প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা কর।
প্রত্যয় দুই প্রকার:
ক. কৃৎ প্রত্যয়
খ. তদ্ধিত প্রত্যয়

আরও পড়ুন >> নামাজের ভুল সমুহ । জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম

আরও পড়ুন >> ট্রাস্ট ব্যাংক বাড়ী নির্মানের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিচ্ছে

কৃৎ প্রত্যয় : ধাতু বা ধাতু প্রকৃতির সাথে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলা হয়।
যেমন : Vকৃ+তব্য = কর্তব্য, Vদৃশ + অনীয় = দর্শনীয় ।
Vডাক্+উ = ডাকু, Vহাঁচ্+ই = হাঁচি
Vগা + ইয়ে = গাইয়ে, Vপড়ু + ইয়া = পড়ুয়া
Vবাট্+না = বাটনা, Vজ্বল্+অন্ত = জ্বলন্ত
Vশাস্+অক = শাসক, Vপা+অনীয় = পানীয়

তদ্ধিত প্রত্যয় : মূল শব্দ বা শব্দ প্রকৃতির সাথে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলা হয়।
যেমন : পাগল + আ = পাগলা, মনু + ষ্ণ = মানব
হাত+আ = হাতা, কোট+আল = কোটাল
ভাটি+আল = ভাটিয়াল, বেগুন+ঈ = বেগুনী
সূতা+আলী = সূতালী, ঢাকা+আই +ঢাকাই
ঘাম+আচি = ঘামাচি, পাকা+আমি =পাকামি

কৃৎ প্রত্যয় নিম্পন্ন পদকে কৃদন্ত পদ এবং তদ্ধিত প্রত্যয় নিষ্পন্ন পদকে তদ্ধিতান্ত পদ বলা হয়। উপরের উদাহরণগুলােতে ‘চলন্ত, কর্তব্য’, ‘দর্শনীয় প্রভৃতি কৃদন্ত পদ এবং ‘ঢাকাই’, ‘পাগলা’, ‘মানব’ প্রভৃতি তদ্ধিতান্ত পদ।

প্রত্যয় ভাষায় অজস্র নতুন পদ সৃষ্টি করে। বাংলা ভাষায় সংস্কৃত প্রত্যয়ের প্রভাব অত্যন্ত বেশি। এছাড়া বিদেশি প্রত্যয়ও বাংলা ভাষায় বর্তমান।

আরো পড়ুন : বাংলা ব্যাকরণে শব্দ ও শব্দগঠন কাকে বলে?

Check Also

একটি ঝড়ের রাত বাংলা রচনা ক্লাস 10

Spread the loveএকটি ঝড়ের রাত – বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে মানুষ বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *