উযূর সব অঙ্গ ধোয়ার সহি মাসায়েলি-ইসলাম

Spread the love

উযূর সব অঙ্গ ধোয়ার সহি মাসায়েলি – উযূর অঙ্গগুলো ধোয়ার সময় জোড়া ও ভাজগুলোতে বিশেষ যত্ন সহকারে পানি পৌঁছাতে হবে ।
উযূর মাঝে মাঝে নিম্নোক্ত দুআ পড়া উত্তম-

اللهم اغفرلي ذنبي ووسعُ لِى فِي دَارِى وَبَارِكْ لِي فِي رِزْقِى .

অর্থ : হে আল্লাহ, আমার পাপ ক্ষমা কর, আমার ঘরে প্রাচুর্য্য দান কর এবং আমার রিযিকে বরকত দাও।

১) উযূর প্রয়োজন মোতাবেক পানি ব্যবহার করবে- কম বা বেশী করবে না।
২) উযূর মধ্যে কোন জাগতিক কথা-বার্তা না বলা আদব।
৩) প্রত্যেক অঙ্গকে ফরয পরিমাণের চেয়ে কিছু বেশী ধৌত করা উত্তম । যেমন কনুইর উপরেও কিছুটা ধৌত করা। এটাকে না, আমড়া (অর্থাৎ, উজ্জ্বলতা ও চমক বৃদ্ধি করা) বলে। কেননা, কেয়ামতের দিন উযূর অঙ্গগুলো উজ্জ্বল হবে ।

উযূ শেষ হওয়ার পর করণীয় কয়েকটি আমল

রোযাদার না হলে উযূর অবশিষ্ট পানি বা তার কিয়দংশ পান করা মোস্তাহাব। এ পানি পান করা অনেক রোগের শেফা। এ পানি কেবলামুখী হয়ে পান করা উত্তম । দাঁড়িয়ে এবং বসে উভয়ভাবে পান করা যায়।

এ পানি পান করার দুআ-

( ملحطاوي ونور الايضاح )
اللهُمَّ اشْفِنِى بِشِفَائِكَ وَدَاوِنِي بِدَوَائِكَ وَاعْصِمُنِي مِنْ الْوَهْنِ وَالْأَمْراضِ وَالْأَوْجَاعِ

অর্থঃ হে আল্লাহ, আমাকে শেফা দান কর তোমার শেফা দ্বারা, আমার চিকিৎসা করাও তোমার দাওয়াই দ্বারা এবং আমাকে রক্ষা কর দুর্বলতা, রোগব্যাধি ও ব্যথা-বেদনা থেকে ।

আরও পড়ুন >> ভয়াবহ ৬০টি কবীরা গুনাহ ।। প্রচলিত কিছু কবীরা গুনাহ

 

উযূর শেষে কালেমায়ে শাহাদাত পড়া মোস্তাহাব এবং এটা দাঁড়িয়ে, কেবলামুখী হয়ে, আকাশের দিকে নজর করে পড়া মোস্তাহাব। (উযূর সব অঙ্গ)

(طحطاوی واحسن الفتاوى ج / ٢ )

তারপর নিম্নোক্ত দুআটি পড়া মোস্তাহাব (দাঁড়িয়ে, কেবলামুখী হয়ে এবং আকাশের দিকে নজর করে)।

اللهمَّ اجْعَلْنِى مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ وَاجْعَلْنِي مِنْ عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الَّذِينَ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُم
يحزنون .

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর, পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর, তোমার নেক বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং ঐসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত কর যাদের থাকবে না কোন ভয় এবং যারা হবে না দুঃখীত । * নিম্নোক্ত দুআটি পড়াও উত্তম (দাঁড়িয়ে কেবলামুখী হয়ে এবং আকাশের দিকে নজর দিয়ে)

لا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ اسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ سُبحَانَكَ اللَّهُم وَبِحَمْدِكَ أَشْهد

অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার স্বপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করছি, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন মা’বূদ (ইবাদতের যোগ্য) নেই। তোমার নিকট আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার সামনে তওবা করছি।

১) সূরা কদর পড়াও উত্তম । উযূর পর সূরা কদর একবার পড়লে সে সিদ্দীকিনদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
২) দুইবার পড়লে তাকে শহীদের তালিকাভুক্ত করা হবে। আর তিনবার পড়লে নবীদের সঙ্গে তার হাশর হবে।
৩) উযূর পর রুমাল, তোয়ালিয়া, গামছা ইত্যাদি দ্বারা উযূর পানি অঙ্গ থেকে মুছে নেয়ায় ক্ষতি নেই। তবে খুব মর্দন করে নয় বরং উত্তম হল হালকাভাবে মুছে নেয়া।
৪) উযূর পর মাকরূহ ওয়াক্ত না হলে দুই রাকআত তাহিয়্যাতুল উযূ নামায পড়ে নেয়া উত্তম ।

More Gadgets >> Walton WSI-INVERNA 1 Ton 12C Smart AC

 

বিঃ দ্রঃ উযূর মধ্যে প্রত্যেকটা অঙ্গের আমলের শুরুতে কালেমায়ে শাহাদাত পড়া, বিসমিল্লাহ পড়া এবং শেষে দুরূদ শরীফ পড়া মোস্তাহাব। কোন কোন ফকীহ এর যে কোন একটি পড়লেও চলবে বলে মত প্রকাশ করেছেন। (উযূর সব অঙ্গ)

 

Check Also

পবিত্র রমজানে

পবিত্র রমজানে আল্লাহর নৈকট্য লাভের 10 আমল

Spread the loveপবিত্র রমজানে আল্লাহর নৈকট্য ও পুণ্য লাভের সর্বোত্তম সময়। কেননা রমজান মাসে আল্লাহ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *