উপসর্গ কাকে বলে?
যেসব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে তাদেরকে উপসর্গ বলে।
যেমন – সু + বিচার = সুবিচার। এখানে ‘সু’ উপসর্গটি ‘বিচার’ শব্দের পূর্বে যুক্ত হয়ে সুবিচার’ শব্দটি গঠিত হয়েছে।
বাংলা উপসর্গ কয় ভাগে বিভক্ত? উদাহরণসহ আলােচনা কর।
বাংলা উপসর্গ তিন ভাগে বিভক্ত।
১. তৎসম উপসর্গ
২. খাটি বাংলা উপসর্গ
৩. বিদেশি উপসর্গ।
আরও পড়ুন >> ট্রাস্ট ব্যাংক বাড়ী নির্মানের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিচ্ছে
১. তৎসম উপসর্গ : যেসব সংস্কৃত উপসর্গ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয় তাদেরকে তৎসম উপসর্গ বলা হয়।
যেমন- প্র, পরা, অপ, সম ইত্যাদি।
২. খাটি বাংলা উপসর্গ : বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গকে খাটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়।
যেমন- অনা, দাঁড় , পাতি, রাম ইত্যাদি।
৩. বিদেশি উপসর্গ : অন্য ভাষার যেসব উপসর্গ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয় তাদেরকে বিদেশি উপসর্গ বলে।
যেমন-বে, গর, নিম, হাফ, ফুল, হেড প্রভৃতি।
উপসর্গ যোগে গঠিত দশটি বাক্য রচনা:
১. প্র+কাশ = প্রকাশ = গোপন কথা প্রকাশ পাবে না।
২. অধি+কার =অধিকার = আমার অধিকার আমি ছাড়ব না।
৩. অভি+মান = অভিমান = অভিমান করলে ঠকতে হবে।
৪. সু+ফল = সুফল = পরিশ্রম করলে সুফল পাবে।
৫. অনু+তাপ = অনুতাপ = ভুল করে এখন অনুতাপ হচ্ছে।
৬. আড়+চোখ = আড়চোখ = আড়চোখে তাকিও না।
৭. ইতি+হাস = ইতিহাস = ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।
৮. অজ+পুকুর = অজপুকুর = অজপুকুরে গোসল করো না।
৯. পাতি+হাঁস = পাতিহাঁস = আমাদের কয়েকটি পাতিহাঁস আছে।
১০. দাঁড়+কাক = দাঁড়কাক = দাঁড়কাক কা-কা ডাকছে।