নামাজের মধ্যে এমন কিছু কাণ্ড ঘটাল যার কারণে আপনার নামাজ ভেঙে যাবে।
তাই নামাজ ভঙ্গ হওয়ার কারণগুলো কী কী সেই বিষয়গুলো অবশ্যই জানতে হবে।
নামাজ ভঙ্গ হওয়ার মোট কারণ হচ্ছে ১৯টি। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো-
১. নামাজে কিরাত ভূল পড়া, কিরাতে যদি এমন পরিবর্তন হয়, যার ফলে কোরআনের অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ পাল্টে যায়।
২. নামাজের ভিতর কথা বলা, নামাজের ভেতর যে কোন কথা বললেই নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
৩. নামাজ পড়া অবস্থায় কোনো লোককে সালাম দিলে নামাজ ভেঙে যায়।
৪. নামাজ পড়া অবস্থায় সালামের উত্তর দেওয়া যাবে না।
৫. ঊহ-আহ শব্দ করা, কোনো ব্যথা কিংবা দুঃখের কারণে উহ্-আহ্ শব্দ করলে নামাজ ভেঙে যাবে।
https://youtu.be/76Oz9SU2Ejg
৬. বিনা ওজরে কাশি দেওয়া। কোনো প্রকার প্রয়োজন ছাড়া কাশি দেওয়ার মাধ্যমেও নামাজ ভেঙে যায়।
৭. আমলে কাছীড় করা যেমন- মোবাইল বন্ধ করা বা দীর্ঘ সময় নিয়ে শরীর চুলকানো, ইত্যাদি, তবে এক হাত দিয়ে মোবাইল সাইলেন্ট করা যাবে
৮. আমলে কাসির করা। এমন কাজে লিপ্ত হওয়া, যার কারণে দূর থেকে কেউ দেখলে তার মনে প্রবল ধারণা জন্মে যে- ওই ব্যক্তি নামাজ পড়ছে না। তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে।
৯. বিপদে অথবা বেদনায় শব্দ করে কাঁদালে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
১০. তিন তাসবিহ পরিমাণ সতর খোলা থাকা। নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত শরীরের কোনো স্থান যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় অনাবৃত থাকে, তাহলে তার নামাজ হবে না।
আরও পড়ুন >> ১০০/- টাকার প্রাইজবন্ড ড্র ।। Prize Bonds Result
১১. মূকতাদী ছাড়া অন্য কারো থেকে নামাজ সম্পর্কিত কোন শব্দ গ্রহণ করা
১২. নাপাক জায়গায় সিজদাহ করা, সর্বদা নামাজের জায়গা পবিত্র হওয়া জরুরি।
১৩. কিবলার দিক হতে সিনা ঘুরে যাওয়া বা অন্য দিকে মুখ ঘুরে গেলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
১৪. নামাজ পড়া অবস্থায় কোরআন শরিফ দেখে দেখে পড়লে নামাজ ভেঙে যায়, কোন অবস্থায় কুরআন শরীফ দেখে পড়া যাবে না।
১৫. নামাজে শব্দ করে হাসা, নামাজে শব্দ করে অট্টহাসি দিলে ওজুসহ ভেঙে যায়।
১৬. নামাজে দুনিয়াবি কিছু প্রার্থনা করা, সাংসারিক কোনো বিষয় প্রার্থনা করা যাবে না।
১৭. নামাজরত অবস্থায় কারো হাচির উত্তর দেওয়া ও নেওয়া যাবে না।
১৮. নামাজে খাওয়া অথবা পানি পযন্ত পান করা যাবে না।
১৯. ইমামের আগে দাঁড়ানো বা সমান সমান দাঁড়ানো যাবে না।