হঠাৎ যদি ঘুম ভেঙ্গে যায়-“ইসলামি চিন্তাধারা”

Spread the love

হঠাৎ যদি ঘুম ভেঙ্গে যায়

আপনার কখনো কি এমন হয়েছে? (প্রয়োজন ছাড়াই) হঠাৎ করে গভীর রাতে আপনার ঘুম ভেঙ্গে যায়। অতঃপর আর আপনার চোখে ঘুম আসে না? একটু চিন্তা করে দেখুন। কখনো কি এমনটা হয়েছে?

যদি আপনার সাথে এমনটা হয়ে থাকে। (প্রয়োজন ছাড়াই) হঠাৎ করে গভীর রাতে আপনার ঘুম ভেঙ্গে যায়। অতঃপর আর আপনার চোখে ঘুম আসে না। তাহলে আপনি আল্লাহর পক্ষ থেকে (সুসংবাদ) গ্রহন করুন। তিনি (আল্লাহ) গভীর রাতে আপনার সাথে কথা বলতে চান। রাতের নামাজ ‘কিয়ামুল লাইল'(তাহাজ্জুদ) রত অবস্থায়।

কিয়ামুল লাইল তাহাজ্জুদ

প্রয়োজনে আপনার একটু কষ্ট করতে হবে। আরামের বিছানা ত্যাগ করতে হবে। একটু কষ্ট করে অযু করতে হবে। অতঃপর রাতের নামাজ ‘কিয়ামুল লাইল'(তাহাজ্জুদ) আদায় করতে হবে। আর রাতের নামাজ ‘কিয়ামুল লাইল’ (তাহাজ্জুদ) আদায় করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

আপনার অন্তরে প্রশ্ন জাগ্রত হতে পারে। রাতের নামাজ ‘কিয়ামুল লাইল’ (তাহাজ্জুদ) আদায় করলে। আপনি আল্লাহর পক্ষ থেকে কি কি সুসংবাদ গুলো পাবেন? (আপনার প্রশ্নের উত্তর) নিচে উল্লেখ করা হল…

০১. তাহাজ্জুদ এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারবেন। আপনি গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন। আপনি আপনার গুনাহ গুলো কে মোচন করতে পারবেন। আপনার শরীর থেকে সকল রোগ দূর করতে পারবেন।
“বিলাল (রা) হতে বর্ণিত। রাসূল (সা) বলেছেন, তোমরা তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ে অভ্যাসী হও। কারণ তা তোমাদের পূর্ববর্তী নেক বান্দাদের অভ্যাস এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায়। আর তা পাপ থেকে বাঁধা দেয়, গুনাহ মোচন করে এবং শরীর থেকে রোগ তাড়িয়ে দেয়।”

০২. তাহাজ্জুদ এর মাধ্যমে আপনি জান্নাতের বালাখানার মালিক হতে পারবেন। যার বাহির থেকে ভিতর আর ভেতর থেকে বাহির দেখা যায়।
“আব্দুলাহ ইবনে আমর (রা) হতে বর্ণিত। রাসূল (সা) বলেছেন, নিশ্চয় জান্নাতের মধ্যে কতগুলো বালাখানা রয়েছে। যার বাহির থেকে ভিতর ও ভিতর থেকে বাহির দেখা যায়। আবূ মূসা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তা কাদের জন্য? তিনি বললেন, যারা নম্র ভাষায় কথা বলে, খানা খাওয়ায় এবং রাতে লোকেরা যখন ঘুমিয়ে থাকে। তখন সে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে দন্ডায়মান থাকে (সালাত আদায় করে)।”

০৩. তাহাজ্জুদ এর মাধ্যমে আপনি নিজের প্রবৃত্তি দমন করতে পারবেন। আর এই প্রবৃত্তির দমন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে। রাতের বেলা তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা। মহান আল্লাহ বলেন…
“নিশ্চয় রাত্রি জাগরণ প্রবৃত্তি দমনে প্রবল এবং স্পষ্ট বলার জন্য অধিকতর উপযোগী।”

অতএব হঠাৎ করে যদি গভীর রাতে আপনার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তাহলে রাতের নামা (তাহাজ্জুদ) আদায় করুন। আর ইচ্ছা মত রবের সাথে কথা বলুন।

রোজা রাখার দলিল ও ফজিলত সমুহ

Check Also

এক অজুতে একাধিক নামাজ

এক অজুতে একাধিক নামাজ পড়া নিয়ম

Spread the loveএক অজুতে একাধিক নামাজ পড়া নিয়ম – অজু থাকলেও প্রত্যেক সালাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *