ursolic syrup 250mg এর কাজ কি? খাবার নিয়ম কি? ursolic syrup 250mg এর দাম কত?

Spread the love

ursolic syrup 250mg -উরসোলিক সিরাপ ২৫০ মি.গ্রা. (Ursolic Syrup 250 mg) মূলত Ursodeoxycholic Acid নামক সক্রিয় উপাদান সমৃদ্ধ একটি ওষুধ, যা বিভিন্ন লিভার ও গলব্লাডার সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

🩺 ওষুধের কাজ (ursolic syrup 250mg)

উরসোলিক সিরাপ সাধারণত নিম্নলিখিত অবস্থায় ব্যবহৃত হয়:

– গলস্টোন (পিত্তথলিতে পাথর): উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত গলস্টোন গলিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।

– প্রাইমারি বিলিয়ারি সিরোসিস (Primary Biliary Cirrhosis): লিভারের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেখানে এটি পিত্ত প্রবাহ উন্নত করে।

– অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার এবং নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়াটো হেপাটাইটিস (NASH): লিভারের ফ্যাটি অবস্থা উন্নত করতে সহায়তা করে।

– অ্যাকিউট ভাইরাল হেপাটাইটিস: লিভারের প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়।

– প্রাইমারি স্ক্লেরোসিং কোলাঙ্গাইটিস: একটি বিরল লিভার রোগ, যেখানে এটি পিত্তনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন :: স্বপ্নে জান্নাত ও জাহান্নাম দেখলে কি হয়?

💊 সেবনের নিয়ম (ursolic syrup 250mg)

সেবনের মাত্রা রোগের ধরন ও রোগীর ওজন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত:

– গলস্টোন গলানোর জন্য: দৈনিক ৮–১২ মি.গ্রা./কেজি ওজন অনুযায়ী, একবারে বা বিভক্ত করে সেবন।

– প্রাইমারি বিলিয়ারি সিরোসিস: দৈনিক ১০–১৫ মি.গ্রা./কেজি ওজন অনুযায়ী, ২–৪ ভাগে বিভক্ত করে সেবন।

– অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার: দৈনিক ৩০০ মি.গ্রা.।

– অ্যাকিউট ভাইরাল হেপাটাইটিস: দৈনিক ৬০০ মি.গ্রা.।

– প্রাইমারি স্ক্লেরোসিং কোলাঙ্গাইটিস: দৈনিক ২৫–৩০ মি.গ্রা./কেজি ওজন অনুযায়ী।

এই ওষুধটি সাধারণত খাবারের পর সেবন করা হয়। তবে সঠিক মাত্রা ও সেবনের সময় নির্ধারণের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

ursolic syrup 250mg

Google News বিস্তারিত জানতে Google News অনুসরণ করুন

💵 দাম (ursolic syrup 250mg)

উরসোলিক সিরাপ ২৫০ মি.গ্রা./৫ মি.লি. ( Ursolic 250 mg/5 ml Suspension) বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়। এর দাম ব্র্যান্ড ও ফার্মেসি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। সুনির্দিষ্ট দাম জানতে স্থানীয় ফার্মেসিতে যোগাযোগ করুন।

আনুমানিক দাম : 50 ml bottle: ৳ 180.00

⚠️ সতর্কতা

– এই ওষুধটি গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী নারীদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করা উচিত।

– ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য এই ওষুধের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত নয়।

– যদি আপনি লিভার বা গলব্লাডারের গুরুতর সমস্যা বা ক্যালসিফাইড গলস্টোন এ আক্রান্ত হন, তবে এই ওষুধ সেবন এড়িয়ে চলুন।

– সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে থাকতে পারে: পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, চুলকানি ইত্যাদি।

যেকোনো ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

Check Also

পেটকে সুস্থ্য

পেটকে সুস্থ্য সুন্দর রাখার 10 টি উপায়

Spread the loveপেটকে সুস্থ্য সুন্দর রাখার 10 টি উপায় – পেট এর সমস্যায় অনেকেই ভুগে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *