লালপুরে যেন করোনা নেই
দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বৈস্মিক মহামারি করোনা ভাইরাসেরে সংক্রামন। দেশ ব্যাপী ১০ মে থেকে লোকডাউন শিথিলের ফলে নাটোরের লালপুর উপজেলার প্রতিটি বিপনী বিতান ও রাস্তা ঘাটে বৃদ্ধি পেয়েছে জনসমাগম কোথাও মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব দৃশ্যপট দেখে মনে হচ্ছে লালপুর যেন করোনা মুক্ত।
সরকারী নির্দেশনা মেনে গত ১০ তারিখ থেকে লালপুর উপজেলায় স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে সিমিত পরিসরে ব্যবসা প্রতিষ্টান চালুর সিদ্ধান্ত দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
তবে সিমিত পরিসরে দোকান পাট খোলার কথা বললেও উপজেলার প্রতিটি বাজারে খুলতে শুরু করেছে সকল প্রকার দোকান পাট। আর সেই সাথে প্রতিনিয়োত বিপনী বিতান ও রাস্তাঘাটে বেড়ে চলেছে জনসমাগম কোথাও নেই করোনা ভীতি।
লালপুর উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে, ‘সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে সিমিত পরিসরে ব্যবসা প্রতিষ্টান চালুর সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। আর কেউ যদি তা না মানে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষনা দেওয়া হয়েছে।
লালপুর ও গোপালপুর বাজার
শনিবার (১৬ মে) সকাল থেকে উপজেলার লালপুর ও গোপালপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ১০টা থেকে প্রায় সকল প্রকার দোকান গুলি খুলতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। আর দোকানে ভীরজমাতে শুরু করেছে ক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের অধিকাংশই ছিলো মহিলা। কোন কোন দোকানে বড় আকারে লিখা রয়েছে ‘নো মাক্স, নো সেল’ তবে শুধু লেখাই রয়েছে কাজে নেই।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার আমিনুল ইসলাম জানান, ‘স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব না মানার ফলে লালপুরে ব্যাপক হারে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হতে পারে।’ তিনি আরো জানান, ‘ইতি মধ্যে লালপুর উপজেলায় ৩জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ও ১৭১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আজও নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে।
লালপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মাহামুদুল হক মুকুল বলেন,‘ কোন কিছু করে বাজারে মানুষের সমাগম রোধ করা যাচ্ছেনা। কেউ স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব মানছেন না। করোনা প্রাদুভাব রোধে অতিদ্রত বাজারের দোকান বন্ধ করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
গোপালপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি বদিউর রহমান বদর বলেন,‘দোকান পাঠ খোলার জন্য যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা খুব সিমিত হওয়ার জন্য মানুষের ভীড় বেড়েছে। অনেক বলেও মানুষ শুনছেন না। সচেতন না হওয়ার জন্য কেউ স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব তেমন মানছেন না।
লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন,‘সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়োত উপজেলা প্রতিটি সড়কের গুরুত্বপৃর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট। প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘর থেকে বের না হতে প্রতিনিয়োত মাইকিং করা হচ্ছে। তার পরেও মানুষ বের হচ্ছে বলে জানান তিনি।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান,‘উপজেলার ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে স্বাস্থ বিধি ও সামাজিক দুরত্ব মানার অঙ্গিকার করে সিমিত পরিসরে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে প্রতিটি বাজর মনিটরিং করবে উপজেলা প্রশাসন। যদি কেউ স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব না মানে তার বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।