পবিত্র মাহে রমজানের বৈশিষ্ট ও ফজিলত

Spread the love

Table of Contents

মাহে রমজানকে সবরের মাস বলা হইয়া থাকে। আমাদের প্রিয় নবী মােহাম্মদ মােস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন, রমজান মাস ধৈর্য্যের মাস আর ধৈর্যের প্রতিদান হইতেছে জান্নাত। রমজান মাসকে আত্মশুদ্ধির মাসও বলা হয়। এই মাস হইল রহমত, বরকত, মাগফেরাত, নাজাত সর্বপরি ফজিলতের মাস। এই মাস কোরআন নাজিলের মাস।
পবিত্র রমজানের মত সম্মানিত মাস আর হইতে পারে না। এই মাসের প্রথম অংশের দশদিন হইল রহমতের, মধ্যম অংশ দশদিন হইল ক্ষমা ও মাগফিরাতের এবং শেষ দশদিন হইল নাজাতের মাস অর্থাৎ জাহান্নাম হইতে মুক্তির । রমজান মাসে যাহারা রােজা রাখে তাহাদের জন্য রহিয়াছে আল্লাহতায়ালার বিশেষ রহমত, করুণা, মাগফিরাত, নাজাত ও মহা পুরস্কার। রমজানের মধ্য দিয়া উম্মতে
মােহাম্মদি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহর পক্ষ হইতে অসংখ্য নেয়ামত দান করা হইয়াছে যাহা নিম্নে বর্ণিত হইল।

আরও পড়ুন >> সূরা ইখলাস ও সূরা কাহাফ পাঠের ফজিলতসমুহ

রমজানের বৈশিষ্ট ও ফজিলত:
১। রােজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহ তায়ালার নিকট মৃগনাভীর সুগন্ধের চেয়েও বেশী পছন্দনীয়।
২। ফেরেস্তাগণ রােজাদাররা ইফতার না করা পর্যন্ত তাহাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া থাকেন।
৩। রমজান মাসে আল্লাহতায়ালা শয়তানকে বন্দি করিয়া রাখেন।
৪। রমজান মাসে জান্নাতকে সুসজ্জিত করা হয়।
৫। রমজান মাসে আল্লাহপাক লক্ষ লক্ষ বান্দাকে গুনাহ হইতে মুক্তি পাওয়ার এবং নেকী অনেক পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার সুযােগ করিয়া দেন।
৬। রােজার মাসের মানুষের আত্মশুদ্ধি হইয়া থাকে। ইহা আত্মশুদ্ধির মাস।
৭। রােজা গুনাহ হইতে বাচিবার ঢাল স্বরূপ।
৮। রােজার বিনিময়ে কেবল জান্নাতই নহে বরং আল্লাহর দিদারও হইয়া থাকে। |
৯। রােজা মানুষকে মােত্তাকী বানায়। ইহা মানুষের কুপ্রবৃত্তিগুলি নিয়ন্ত্রনের শিক্ষা দেয়।
১০। রমজানের রােজা আল্লাহপাকের বিশেষ দান। যাহা উম্মতে মােহাম্মদী ব্যতিত অন্য কোন উম্মতকে দেওয়া হয় নাই।
১১। রােজাদারের জন্য ইফতার পর্যন্ত সমুদ্রের মাছসমূহ দোয়া করিতে থাকে।
১২। রমজান মাসের রাত্রির শেষভাগে আল্লাহপাক রােজদারগণকে ক্ষমা করিয়া দেন।
১৩। যে ব্যক্তি রােজার মাসে চাকর চাকরানীর শ্রম লাঘব করিয়া দিবে আল্লাহপাক তাহাকে ক্ষমা করিবেন ও জাহান্নাম হইতে মুক্তি দিবেন।
১৪। রােজাদার ব্যক্তির মােনাজাত অবশ্যই কবুল হয়।
১৫। রােজার মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করা যায় ।
১৬। রােজাদারের খাওয়া পড়া কাজকর্ম সব কিছুই ইবাদতের মধ্যে শামিল
১৭। রােজাদারের রুজি আল্লাহ বৃদ্ধি করিয়া দেন।
১৮। রমজানের রােজাদারের পাপ সমূহ অবশ্যই ধ্বংস করিয়া দেয়।
১৯। রােজাদার অন্তরের কুমন্ত্রনা হইতে পবিত্র হইয়া যায়।
২০। রাসুলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন যদি কোন ব্যক্তি রােজাদারকে ইফতার করায় তবে তাহার গুনাহ রাশি মাফ করিয়া দেওয়া হয় এবং জাহান্নাম হইতে মুক্তি পাইবে।
পরিশেষে বলা যাই রমজানের রোজার সওয়াব ও ফজিলত নির্ণয় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ইহার সওয়াব অন্য কোন ইবাদতেও নেই। আমিন

আরও পড়ুন >>  ১০০/- টাকার প্রাইজবন্ড ড্র ।। Prize Bonds Result

Check Also

রোজা ও ইফতারের দোয়া

রোজা ও ইফতারের দোয়া এবং ইফতারের আগে ও পরের দোয়া

Spread the loveরোজা ও ইফতারের দোয়া রোজা ও ইফতারের দোয়া আমাদের সকলকে সঠিক ও সুন্দর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *