রাজশাহীতে করোনাভাইরাস সনাক্ত করার কোন সরঞ্জাম বা কিটস নেই।কেউ যদি করোনা আক্রান্ত হয় সেটা জানার বা পরিক্ষা করার মত কোন ব্যাবস্থাও নেই বাংলাদেশের এই বিভাগীয় শহরে।এমনকি শরীরের তাপমাত্রা পরিক্ষা করার থার্মাল স্ক্যানার ও নেই রাজশাহীতে।স্বতন্ত্র করোনা ইউনিট চালু ও কমিটি গঠন ছাড়া তেমন কোন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমও নেই প্রশাসনের।এই পরিস্থিতিতে অনেকটা আতংকের মদ্ধেই আছে নগরবাসী।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল(রামেক) থেকে জানানো হয়েছে যে,এরই মধ্যে সংক্রামণ ও বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ৩৩ শয্যার ওয়ার্ড প্রস্তুত করা আছে।এবং করোনা যদি মহামারি আকার ধারন করে তাহলে নগরীর তিনটি স্টেডিয়ামে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন >> ট্রাস্ট ব্যাংক বাড়ী নির্মানের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিচ্ছে সহজেই
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জনাব সাইফুল ফেরদৌস বলেছেন-আমরা থার্মাল স্ক্যানার ও কিটস এর জন্য আবেদন করেছি,আশা করছি খুব তারাতারি আমরা সেগুলো পেয়ে যাব।
রাজশাহীর দুই-একটি রাজনৈতিক সংগঠন বেশ কিছু ছিন্নমুল ও দুস্থ মানুষদের মাঝে বিনামুল্যে মাস্ক বিতরন করেছে,এছারাও তাদের পক্ষ থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়েও তাদের সচেতন করে।রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এইসব বিষয়ে কোন পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।এছারাও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উপজেলা পর্যায়ে আলাদা একটি কমিটি সংকট উত্তরনে কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক জনাব হামিদুল হক বলেছেন-বিদেশি ও দেশের বাইরে থেকে আসা মানুষদের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে,বিদেশ ফেরতদের মধ্যে প্রাথমিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে যদি কাউকে আইসোলেশনে রাখতে হয় তাহলে সেই ব্যাবস্থাও করা হবে।
করোনাভাইরাস এখন বিশ্বের এক বড় আতংকের নাম।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসকে বিশ্বের জন্য মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে।যেখানে চিন,ইটালি,স্পেনের মত আধুনিক ও শক্তিশালী দেশ ও এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে পুরোপুরি ভাবে অকৃতকার্য হয়েছে সেখানে বাংলাদেশের মত দেশে এই ভাইরাসের আক্রমণ যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা এখন সবারই জানা। তাই এখন বাড়তি সতর্কতাই পারে এই রোগ থেকে বাঁচতে।