ইউরোপের অন্যতম ফুল টিউলিপ,যা দেখতে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক পাড়ি জমান ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।সেই দৃষ্টিনন্দন ফুল টিউলিপ এখন বাংলাদেশেই চাষ হচ্ছে।
শীত প্রধান দেশের ফুল টিউলিপ।ইউরোপের প্রায় সব দেশেই কম বেশি এই ফুলের চাষ হয়।তবে নেদারল্যান্ডস-এ এই ফুল সবথেকে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীতে প্রায় ১৫০ প্রজাতির টিউলিপ ফুল রয়েছে।তবে লাল,সাদা,বেগুনি,হলুদ আর পিঙ্ক কালার এর টিউলিপ সবথেকে বেশি দেখতে পাওয়া যায়।এই ফুল মূলত শীতে ফোটে,৫-৯ ডিগ্রী তাপমাত্রা এই ফুল ফোটার জন্য উপযুক্ত।
বাংলাদেশের মত ৬ ঋতুর দেশে টিউলিপ ফুল ফোটানো কষ্টসাধ্য হলেও এবার সেই কাজটিই করে দেখিয়েছেন
গাজীপুরের ফুলচাষী দেলোয়ার হোসেন। গাজীপুরের কেওয়া গ্রামে দেলোয়ার হোসেন তার নিজস্ব ‘মৌমিতা ফ্লাওয়ারস’ নামক বাগনে পরীক্ষামূলক ভাবে ১ হাজার টিউলিপ ফুলের চারা রোপণ করেন।তার নিবির পরিচরযা আর কঠোর পরিশ্রমে জানুয়ারির শেষের দিকে এসে একই প্রজাতির ৪ রঙের ফুল ফুটতে শুরু করে।দেলোয়ার জানান যে ২০-২২ দিনের মধ্যেই এই ফুল ফুটতে শুরু করে তবে আবহাওয়ার কারনে কম বেশি দিন লাগতে পারে।
ইতোমধ্যে অন্যোন্য সুন্দর এই ফুল দেখতে দেলোয়ারের বাগানে ভির করছে অনেক মানুশ।বাংলাদেশের বিভিন্ন জাইগা থেকে প্রচুর দর্শনার্থী ও উদ্যোক্তারা আসছেন দেলোয়ারের বাগানে। দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন জে-কেউ যদি বাণিজ্যিক ভাবে এই ফুল চাষ করতে চান তাহলে তিনি তাদের সকল সাহায্য করবেন।
দেলোয়ার হোসেন তার বাগানে বিদেশি ফুলের পাশাপাশি বিদেশি বিভিন্ন সবজি ও চাষ করেন।লিলিয়াম,স্ট্রবেরি,রঙ্গিন ক্যপ্সিক্যাম এর মধ্যে অন্যতম।দেলোয়ার হোসেন তার ফুলচাষি হিসেবে ২০১৭ সালে ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক’ লাভ করেন।
বাংলাদেশে এই ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।তাই বাণিজ্যিক ভাবে এই ফুল চাষ করলে বাংলাদেশের পাশাপাশি অনান্য দেশে ও রপ্তানি করা সম্ভব হবে হলে মত দিয়েছেন কৃষিবিদরা । শীতের ফুল হওয়াতে বাংলাদেশের শীত প্রধান জেলাগুলোতে এই ফুল চাষ করা সহজ হবে।