হিলি পথে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হতে পারে 15 March (government decided to not issue) থেকে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। কয়েক দিন পরেই পবিত্র রমজান মাস। কিন্তু তার আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি (আইপি) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে রমজানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরে আমদানিকারকরা।
আরও পড়ুন >> বাকী এবং কিস্তিতে ক্রয়-বিক্রয় ইসলামে জায়েজ কিনা?
হিলি পথে স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলেন, সরকার কৃষকদের উত্পাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে 15 March এর পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে নতুন করে কোনো অনুমতি দেবে না। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আসন্ন রমজানে দেশে পেঁয়াজের সংকট সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বেড়ে গেলে ভোক্তাদের বেশি দামে কিনতে হবে বলে মনে করেন।
গতকাল সোমবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সিনিয়র সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম জানান, রমজান এলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। যার প্রভাব পড়ে ভোক্তাদের ওপর। কিন্তু এবার রমজানে দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ ভারতে এবার পেঁয়াজের ফলন বেশি হওয়ায় সেখানে দাম তুলনামূলক অনেক কম। আবার দেশের উত্পাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসতে এখনো ১৫-২০ দিন সময় লাগবে এবং দেশি পেঁয়াজ দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়।
বিস্তারিত জানতে Google News অনুসরণ করুন
রমজানে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রমজানে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে আমদানিকারকদের ভারতে ১০ হাজার পেঁয়াজের এলসি করা আছে। 15 March এর পর আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশের ভোক্তাদের কথা বিবেচনায় রমজান মাসে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা দরকার। আর যদি আমদানির অনুমতি বন্ধ করতে হয় ঈদের পর বন্ধ করা যেতে পারে। তাহলে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতি থেকে রেহাই পাবেন।
হিলি পথে স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানির জন্য যেসব অনুমতি পত্র (আইপি) দিয়েছে এবং যেসব আইপি দেওয়া হচ্ছে সেগুলোর মেয়াদ ১৫ মার্চ পর্যন্ত। যদি নতুন করে আইপি সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা না আসে তাহলে এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বন্দরের মোকামে প্রতি কেজি ভালোমানের হিলি পথে পেঁয়াজ আমদানি করা পেঁয়াজ ২৪ টাকা আর দেশি পেঁয়াজ ২৬ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে।