স্যামসাং এর অন্যতম ফ্লাগশিপ ফোন Samsung Galaxy Note 10+ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে।
সাউথ কোরিয়ান টেক জায়ান্ট স্যামসাং আরও কম মুল্যে বাংলাদেশে তাদের পণ্য সাধারন
মানুষের হাতে তুলে দিতে বাংলাদেশের নরসিংদীতে একটি ম্যানুফেকচারিং প্ল্যান্ট তৈরি করেছে।
স্যামসাং আশা করছে এই প্ল্যান্ট থেকে প্রতি বছর ২ মিলিয়ন হ্যান্ড সেট তৈরি হবে।যার ফলে
বাংলাদেশের সাধারন মানুষের হাতে আরও কম ও সাশ্রয়ী মুল্যে মোবাইল ফোন পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে
বলে জানিয়েছে স্যামসাং কর্পোরেশন। তারই ধারাবাহিকতাতে স্যামসাং তাদের অন্যতম ফ্লাগশিপ ফোন
Samsung Galaxy note 10+ বাংলাদেশে ম্যানুফেকচার করার সিধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন >> ট্রাস্ট ব্যাংক বাড়ী নির্মানের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিচ্ছে
স্যামসাং জানায় প্রথম ধাপে ম্যানুফেকচার করা Samsung Galaxy note 10+ এর ১৫০০ ইউনিট ইতোমধ্যে
বাংলাদেশ এর বাজারে বিক্রি হয়ে গেছে।
বর্তমান বাজারে স্যামসাং এর এই ফ্লাগশিপ ফোন টির বিক্রয় মূল্য ১৪৪৩০০ টাকা। বাংলাদেশে ম্যানুফেকচার
করার কারণে ফোনটির মূল্য ৩১৩০০ টাকা কমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগে ১১৩০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
‘স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশ’এর হেড জনাব মুয়্যিদুর রহমান জানান-বাংলাদেশে লোকালই প্রস্তুত করা
ডিভাইস গুলো বাইরে থেকে আনা(Imported) ডিভাইস গুলো থেকে গুনে মানে অনেক ভাল।
স্যামসাং এর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে-স্যামসাং এর সকল ডিভাইস গুলো ধিরে ধিরে
বাংলাদেশে তৈরি করা হবে এবং স্যামসাং ডিভাইস গুলো’মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগে বাংলাদেশের
বাজার এর পাশাপাশি অন্য দেশ এও রপ্তানি করা হবে।
স্যামসাং তাদের এই ম্যানুফেকচারিং প্ল্যান্ট এ মোবাইল ফোন এর পাশাপাশি বছরে ৪০০০০০ রেফ্রিজেরেটর,
250000 মাইক্রো অভেন, ১২০০০০ এয়ার কন্ডিসনার, ২০০০০০ টেলিভিশন, ও ৫০০০০ ওয়াশিং মেশিং তৈরি
করার পরিকল্পনা করছে।