বাংলাদেশে এখন করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারন করতে সুরু করেছে।প্রতিদিন এ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা।তবে দেশের অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে সরকার সারা দেশের যোগাযোগ ব্যাবস্থা চালু করতে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ মে থেকে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, কালনী, পঞ্চগড়, লালমনি, বণলতা, উদয়ন ও চিত্রা এক্সপ্রেস এই ৮ টি ট্রেন দিয়ে যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচল শুরু।
আগামী ৩ জুন থেকে চালু হবে তিস্তা, বেনাপোল, নীলসাগর, রূপসা, কপোতাক্ষ, মধুমতি, মেঘনা, কিশোরগঞ্জ, উপকূল, ব্রহ্মপুত্র ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এই ১১ টি ট্রেন। ৩ তারিখ থেকে মোট ১৯ টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। বন্ধ থাকবে সকল মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেন।
আরও পড়ুন >> লালপুরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত
তবে ১০০% টিকিট অনলাইনে কাটতে হবে,কাউন্টারে কোন টিকিট বিক্রি হবে না। স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রিও বন্ধ। মোট আসনের অর্ধেক টিকিট বিক্রি হবে।এক সীট পর পর যাত্রী বসবে। টিকিটের দাম বাড়ছে না। প্রতিটি ট্রেনের সময়সূচী আগের মতই থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ছাড়া স্টপেজ স্টেশন রাখা হবে না।বিমানবন্দর, টঙ্গী ও গাজীপুর রেলস্টেশনে ট্রেন থামবেনা, সবাইকে কমলাপুর স্টেশন থেকেই ট্রেনে উঠতে হবে।
শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য ট্রেন ছাড়ার ১ ঘন্টা আগে স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে, অন্যথায় ট্রেনে উঠতে দেয়া হবেনা। মাস্ক ব্যাবহার ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।ট্রেনে উঠার সময় জীবানুনাশক পানি থাকবে, সেখানে পা চুবিয়ে ট্রেনে উঠতে হবে।
কোন অসুস্থ রোগী ট্রেনে ভ্রমন করতে পারবে না। ট্রেনে হকার,ভিক্ষুক প্রবেশ করবে না। টিকিট চেকার ও এটেন্ডেন্টদের পর্যাপ্ত পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করা হয়েছে।এবং ট্রেনে খাবার বিক্রিও বন্ধ থাকছে।