শবে কদরে খুব সহজ সাওয়াব অর্জন
শেষ দশরাত্রিতে লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করা বুদ্ধিমানের কাজ। বিজোড় দিনগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারন এই রাত হাজার মাস ইবাদত করার চেয়েও উত্তম। যদি লাইলাতুল কদর পেয়ে যান তবে সে রাত্রের আমল হবে টানা ৮৩ বছর ৪ মাসের চেয়ে উত্তম.
১) আবু উমামা বাহেলি (রা:) বর্ণনা করেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে শঙ্কাবোধ করে রাত জাগতে পারবে না, অথবা খরচ না করে সম্পদ জমা করে রাখে, অথবা শত্রুর সাথে যুদ্ধ না করে ভীরুতা প্রদর্শন করে, সে যেন (সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি) অধিক পাঠ করে, কারণ তা আল্লাহর রাস্তায় পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ ব্যয় করার চেয়ে অধিক প্রিয়”। (তাবরানি ফিল কাবির: (৭৭৯৫)
২) উম্মু হানি (রা) রাসূল (সাঃ) এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি বৃদ্ধ ও দুর্বল হয়ে গিয়েছি, আমাকে এমন একটি আমল শিখিয়ে দিন যা আমি বসে বসে পালন করতে পারবো। তিনি বলেনঃ ” তুমি ১০০ বার “সুব’হা-নাল্লাহ” বলবে তাহলে ১০০টি ক্রীতদাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।
আল হামদু লিল্লাহ
তুমি ১০০ বার “আল হামদু লিল্লাহ” বলবে, তাহলে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য ১০০ টি সাজানো ঘোড়ায় মুজাহিদ প্রেরণের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে। তুমি ১০০ বার “আল্লাহু আকবার” বলবে, তাহলে ১০০টি মাকবুল উট কুরবানির সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।তুমি ১০০ বার “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলবে, তাহলে তোমার সাওয়াবে আসমান ও জমীন পূর্ণ হয়ে যাবে (এবং তোমার কোন পাপই বাকি থাকবেনা)
(মুসনাদে আহমাদ ৬/৩৪৪, সুনানু ইবনু মাজাহ ২/১২৫২)
৩) যেকোনসময় জিকিরটি ৩ বার বললে ৩-৪ ঘন্টা টানা জিকির করার চেয়েও বেশি সওয়াব।
উম্মুল মুমিনীন জুআইরিয়্যার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ফজরের সালাতের পরে তাঁকে তাঁর সালাতের স্থানে যিকর রত অবস্থায় দেখে বেরিয়ে যান। এরপর তিনি অনেক বেলা হলে দুপুরের আগে ফিরে এসে দেখেন তিনি তখনও ঐ অবস্থায় তাসবিহ তাহলীলে রত রয়েছেন। তিনি বলেন, “তুমি কি আমার যাওয়ার সময় থেকে এই পর্যন্ত এভাবেই যিকরে রত রয়েছ?” তিনি বললেন: “হ্যাঁ।”
রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেনঃ “আমি তোমার কাছ থেকে বেরিয়ে চারটি বাক্য তিন বার করে বলেছি
উচ্চারণঃ সুব‘হা-নাল্লা-হি ওয়াবি‘হামদিহী, ‘আদাদা খালক্বিহী, ওয়ারিদ্বা-নাফসীহী, ওয়া যিনাতা ‘আরশিহী ওয়া মিদা-দা কালিমাতিহ
অর্থ: “পবিত্রতা আল্লাহর এবং প্রশংসা তাঁরই, তাঁর সৃষ্টির সম সংখ্যক, তার নিজের সন্তুষ্টি পরিমাণে, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণে এবং তাঁর বাক্যের কালির সমপরিমাণ।”
তুমি সকাল থেকে এই পর্যন্ত যত কিছু বলেছ সবকিছু একত্রে যে সাওয়াব হবে, এই বাক্যগুলির সাওয়াব সেই একই পরিমাণ হবে।” (মুসলিম- ৬৮০৬)
সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি
৪) নবী (সাঃ) বলেন: “সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি” ”সুবহানাল্লিল আযীম” এই কালীমা গুলি জিহ্বায় উচ্চারনে সহজ মিজানের পাল্লায় ভারী,দয়াময় আল্লাহরর নিকট।
[সহীহ আল বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭২]
৫) যে ব্যাক্তি সুবহানাল্লাহিল আযিমী ওয়াবিহামদীহি পাঠ করবে প্রতিবার তার জন্য জান্নাতে একটি জান্নাতি খেজুর গাছ রোপন করা হবে।
[আত তিরমিযী-৫/৫১১,আল হাকীম-১/৫০১,সহীহ আল জামে-৫/৫৩১,সহীহ আত তিরমিযী-৩/১৬০]