দেশ ব্যাপী বৈস্মিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে চলছে লকডাউন। দেশের এই ক্রান্তিকালে মানুষের খাদ্যের চাহিদা মিটাতে উত্তরাঞ্চলের অন্যতম পদ্মাবিধৌত নাটোরের লালপুর উপজেলায় থেমে নেই কৃষি কাজ।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জায়গার ব্যবহার নিশ্চিত করতে করোনা ঝুঁকি উপেক্ষা করে প্রতিদিন বিভিন্ন সমস্য ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কৃষি বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সমস্যার কথা শুনতে ও পরামর্শ দিতে প্রতিনিয়োত উপজেলার প্রতিটি এলাকার কৃষকদের নিকট ছুটে চলেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, ‘চলতি মৌসুমে লালপুর উপজেলায় ২১৮০ হেক্টর জমিতে মুগ, ৫০৫ হেক্টর জমিতে তিল, ৫৮৮০ হেক্টর জমিতে পাট, ৯০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা, ১০০ হেক্টর জমিতে কলা, ৪৫ হেক্টর জমিতে মরিচ, ৯০০ হেক্টর জমিতে সবজি, ৭ হেক্টর জমিতে আউশ বীজতলা ও ২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন, ১২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন ও ২০০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ চলামান রয়েছে।’
আরও পড়ুন >> লালপুরে তীব্র খরতাপ ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট জনজীবন
সরেজমিনে দেখা যায়, জ্যৈষ্ঠর এই কাকফাটা রোদ্দুর ও ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে উপজেলার কদিমচিলান এলাকায় কৃষকরে নিকট গিয়ে তাদের সমস্যা, সম্ভাবনা ও প্রদর্শনী ক্ষেত পরিদর্শন ও পরামর্শ দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম।
এসময় কথা হয় লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তিনি বলেন,‘লালপুর উপজেলার প্রায় ৭০ ভাগ মানুষের উপর্যনের একমাত্র পেশো কৃষি।দেশের এই ক্রাস্তিকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে লালপুর উপজেলার প্রতিটি মাঠে সঠিকভাবে ফসলের চাষ নিশ্চিত করতে ও বেশি বেশি ফসল উৎপাদন করতে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শণী ও প্রান্তি কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা প্রদন করা হচ্ছে। সেই সাথে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সমস্যা ও বিভিন্ন পরামর্শ প্রদানে প্রতিনিয়োত কাজ করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। চলতি মৌসুমে প্রতিটি ফসলের আশনুরুপ ফলন হয়েছে।
এছাড়াও এই উপজেলায় ইতি মধ্যে নিরাপদ বিশমুক্ত ফসল উৎপাদন শুরু করেছে কৃষকরা। তাছাড়াও কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক দাম নিশ্চিত করতে কৃষকের পাশে থেকে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। বোরো মৌসুমে চলনবিল সহ বিভিন্ন এলাকায় ধানকাটার শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় কৃষি অফিসের মাধ্যমে মাঠ পর্যায় থেকে শ্রমিক নির্বাচন করে শ্রমিকদের বিভিন্ন এলাকায় ধানকাটার কাজে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘আমরা জানি এই ঝুঁকির মধ্যে কাজ করা বেশ কষ্টকর তবুও দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষের জন্যে কাজ করে যাচ্ছি যাতে করে দেশ এবং মানুষের জন্য খাদ্যের সংকট না হয়। উপজেলার যে সকল কৃষক ভাইয়েরা করোনার মধ্যেও দেশের খাদ্যের যোগন দিয়ে আমাদের বাঁচিযে রাখতে প্রতিনিয়োত আপ্রান চেষ্ট করে যাচ্ছে আমরা কৃষি বিভাগ সর্বোচ্ছ আন্তরিকতা দিয়ে তাদের পাশে আছি এবং থাকব বলেও তিনি জানান।’
মো. আশিকুর রহমান টুটুল,