নাটোরের লালপুরে ঢেড়ঁশের দাম না থাকায় বিপাকে পড়েছেন ঢেঁড়শ চাষীরা।বৈষ্মিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে চলতি মৌসুমে লালপুর উপজেলায় ঢেড়ঁশের বাম্পার ফলন হলেও বর্তমানে পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়শ বিক্রয় হচ্ছে ৩ টাকা করে যার প্রতি মন ১২০ টাকা দরে। এতে ঢেঁড়শ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার চাষীরা।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, ‘চলতি মৌসুমে লালপুর উপজেলায় ১৫০ হেক্টার জমিতে ঢেঁড়শের চাষ হয়েছে। এবছর এই উপজেলায় ঢেঁড়শের বাম্পার ফলন হয়েছে।
সরেজমিনে লালপুর উপজেলার কদিমচিলান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়া ঢেঁড়শের দাম না থাকায় আব্দুস সালাম নামের এজন চাষী মাথায় হাতদিয়ে ঢেঁড়শের ক্ষেতের পাশে বসে আছেন। তিনি জানান, ‘প্রতি বছর এই সময় ৬০০-৮০০ টাকা মন ঢেঁড়শ বিক্রয় হয়। কিছুদিন আগেও ৫০০টাকা দরে প্রতি মন ঢেঁড়শ বিক্রয় হয়েছিলো। কিন্তু এখন প্রতিমন ঢেঁড়শ ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। এতে যে টাকা খরচ করে ঢেঁড়শ চাষ করেছেন তার খরচও উঠবেনা। তাই চিন্তাই জমির পাশে তিনি বসে আছেন।’
আরও পড়ুন >> যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ
লালপুর উপজেলার চাঁদপুর বাজারে পাইকারী ঢেঁড়শের আড়তে গিয়ে দেখা যায় ঢেঁড়শ বাজারজাত করনের কাজ চলছে। এসময় কথা মাহাববুর রহমান নামের এক পাইকারী আড়ৎদারের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ প্রতিদিন ৬০-৭০ মন ঢেঁড়শ কৃষকদের নিকট থেকে ক্রয় করে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করেন। প্রতি কেজি ঢেঁড়শ এখন ৩টাকা দরে পাইকারী কিনছেন আর খুচরা প্রতি কেজি ৫-৭ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘এবছর ঢেঁড়শের উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজারে ঢেঁড়শের আমাদানিও বেশি। করোনা ভাইরসের কারনে পরিবহন না থাকায় ঢেঁড়শ ঢাকা, গাজিপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে পাড়ছেন না। এলাকায় রমজানের কারনে তেমন চাহিদা না থাকায় ঢেঁড়শের দাম কমে গেছে।’ঢেঁড়শেরে দাম এবার কম হওয়ায় কৃষকের লোকসান হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
কথা হয় আবেদমোড়এর আড়ৎদার বাবু হোসেনের সঙ্গে তিনি জানান, ‘আজ বাজারে ঢেঁড়শের কেজি ৩টাকা দরে প্রতিমন ১২০টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। বাজারে ঢেঁড়শের আমদানি বেশি হওয়ায় চাহিদা কমে গেছে তার পরেও করোনার কারনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঢেঁড়শ পাঠাতে সমস্যা হচ্ছে।
New Product >>
Asus Vivo AiO V161GART All in One PC
রমজানের কারনে মানুষ তেমন ঢেঁড়শ কিনছেন না। তবে রমজান চলে গেলে ঢেঁড়শের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করছেন।’ তিনি আরো জানান, ‘তারা প্রতিদিন এখান থেকে ৪-৫ ট্রাক ঢেঁড়শ কৃষকের নিকট থেকে কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করেন।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান,‘লালপুর উপজেলায় ঢেঁড়শের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিবছর রমজানের সময় ঢেঁড়শের দাম একটু কমই হয়। তবে এবছর করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঢেঁড়শ পাঠাতে না পারায় ঢেঁড়শের দাম কম পাচ্ছে কৃষক। তবে রমজান চলে গেলে ঢেঁড়শের দাম বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।
মো. আশিকুর রহমান টুটুল