আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন “অমা খলাক্বতুল জিংনা ওয়াল ইংছা ইল্লা লি ইয়াবুদুন” অর্থাৎ আমি মানুষ এবং জ্বিন জাতিকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য।অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন কুল্লু নাফসিন যায়িকাতুল মাউত অর্থাৎ প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যু বরনশীল” আল্লাহপাকের এই দুনিয়াতে আসার ধারাবাহিকতা আছে কিন্তু আমরা পরপারে কোনদিন চলেযাব তার কোন ধারাবাহিকতা নেই।
আর এই মৃত্যুযণ্ত্রনা এত কঠিন যে জিন্দা মানুষের শরীর থেকে চামড়া টেনে টেনে খুলতে যতটা না কষ্ট হবে তারচেয়েও কয়েকশত কোটি বেশি হবে মৃত্যু যণ্ত্রনা । তাই আসুন পরকালের কথা ভেবে ,মৃত্যুর কথা ভেবে ,পরকালের অনাবিল শান্তির কথাভেবে ইহকালিন শান্তিএবং পরকালিন শান্তি কিভাবে অর্জন করতে পারি সেটা ভেবে সেভাবে আমরা বাকী জীবন টুকু যেন পরিচালানা করার চেষ্টা করতে পারি।
আমরা আমলের দিকদিয়ে কে কতটুকু সে বিষয়ে আল্লাহ পাক অবগত আছেন আল্লাহপাক ইরশাদ করেন “আল্লাজি খলাকল মাওতা ওয়াল হায়াতা লি ইয়াবলুয়াকুম……আযিযুল গফুর”অথৃৎ তিনিই মৃত্যু ও জীবন উদ্ভাবন করেছেন যেন তোমাদেরকে পরখ করে দেখতে পারেন যে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক দিয়ে সর্বোত্তম ব্যাক্তি কে? তিনি যেমন সর্বজয়ী শক্তিমান তেমনি ক্ষমাশীল ও,তাই মৃত্যুর পর আমাদের আমলের ধারা বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু এমন কিছু আমল আছে যা করলে মৃত্যুর পরও সে আমল জারীথাকবে আল্লাহপাক সে আমল করার তওফীক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন
৭টি নেক আমল মৃত্যুর পর জারী থাকে
১। যে ব্যাক্তি ইলমে দ্বীন শিক্ষা দিয়েছে ।
২। মৃত ব্যাক্তির নেক সন্তান যার জন্য দোয়া করবে ।
৩। মৃত ব্যাক্তি কোরআন শরীফ রেখে গেলে ।
৪। মৃত ব্যাক্তি মসজিদ নির্মাণ করলে সেটা ছোট হোক অথবা বড় হোক ।
৫। পথিকের আরামের জন্য মোসাফির খানানির্মান করে গেলে ।
৬। মৃত ব্যাক্তি কোন পুকুর অথবা কুপ নির্মাণকরে গেলে।
৭। মৃত ব্যাক্তি জীবিত অবস্থায় দানসদকা করে গেলে ।