মুমিন কাকে বলে:
ক)মুমিন কেবল তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপর সন্দেহ পোষণ করেনি। আর নিজদের সম্পদ ও নিজদের জীবন দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে। এরাই সত্যনিষ্ঠ। (হুজরা-১৫)
খ)মুমিন তো তারা, যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে উঠে যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। আর যখন তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং যারা তাদের রবের উপরই ভরসা করে।(আনফাল-২)
গ)যারা সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি, তা হতে ব্যয় করে। তারাই প্রকৃত মুমিন।(আনফাল-৩)
ঘ) তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের নিকট উচ্চ মর্যাদাসমূহ এবং ক্ষমা ও সম্মানজনক রিজিক। (আনফাল-৪)
ঙ) আর যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে এবং যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে, তারাই প্রকৃত মুমিন, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিজিক। (আনফাল-৭৪)
সমাজে সকল মানুষই মুমিন নয়। মুমিনের পরিচয় পাওয়া যাবে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে। সমাজে অনেকেই আছে যারা ইসলামের মুখোশ পরে অন্যায় অবিচার করে থাকে। সময়মত নামাজ আদায় করে, হজ্জ করে, লোক দেখানো যাকাত দিয়ে থাকে। তবে তারা উক্ত কাজ করলেও তাদের মুমিন ব্যক্তি বলা যাবে না।
আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা পবিত্র কোরআনের সূরা আল বাকারার মধ্যে ঘোষণা করেছেন- ওই কিতাবটি প্রকৃত কিতাব, এতে কোনো প্রকার সন্দেহ নেই। যা মুত্তাকিদের জন্য পথপ্রদর্শক। যারা অদৃশ্য বিষয়ের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে, যথাযথভাবে নামাজ প্রতিষ্ঠা রাখে, আমি তাদের যে রিজিক দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে, যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এই কিতাবকে যা আপনার ওপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেই কিতাবের ওপর যা আপনার পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছে এবং তারা আখেরাতের ওপর নিশ্চিত বিশ্বাস রাখে।
আরও পড়ুন >> ১০০/- টাকার প্রাইজবন্ড ড্র ।। Prize Bonds Result
১। মুমিনের প্রথম গুণ হলো তারা ‘ঈমান বিল গায়েব’ তথা অদৃশ্য বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে। যেমন কবরের আজাব, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি।
২। মুমিনের দ্বিতীয় গুণ হলো তারা যথাযথভাবে নামাজ কায়েম রাখে। কোনো অবস্থাতেই নামাজ ছাড়ে না।
৩। মুমিনের তৃতীয় গুণ হলো, তারা সামর্থ্য অনুযায়ী আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে। তারা কৃপণ কিংবা লোভী নয়। আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা।
৪। তারা কোরআনের প্রতি ইমান আনার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ববর্তী আসমানি কিতাবসমূহের প্রতিও ইমান আনে।
৫। মুমিনের পঞ্চম গুণ হলো, তারা পরকালের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে। বস্তুত পরকালের প্রতি বিশ্বাস থেকেই সৃষ্টি হয় নেক আমলের অনুপ্রেরণা এবং গুনাহের কাজ থেকে নিজেকে ও অন্যকে বিরত রাখা।
মুমিনের গুনাবলী:
নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ ও নারী, মুমিন পুরুষ ও নারী, অনুগত পুরুষ ও নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও নারী, বিনয়াবনত পুরুষ ও নারী, দানশীল পুরুষ ও নারী, সিয়ামপালনকারী পুরুষ ও নারী, নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী পুরুষ ও নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও নারী, তাদের জন্য আল্লাহ মাগফিরাত ও মহান প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন। (আহযাব-৩৫)
মুমিনের ১৪টি গুণাবলী সংক্ষেপে দেয়া হলো:
০১। সুদৃঢ় ঈমান
০২। দ্বীনের ইলম অর্জন করা
০৩। রাগ নিয়ন্ত্রন
০৪। সবর বা ধৈর্য ধারণ
০৫। উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকা
০৬। উদ্যমী হওয়া
০৭। মানুষের উপকার করা
০৮। নিজের সংশোধনের পাশাপাশি অন্যের সংশোধনের প্রচেষ্টা থাকা
০৯। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে নির্ভীক
১০। মজবুত চিন্তাভাবনা ও সুনিপুণ পরিকল্পনা
১১। সুস্বাস্থ্য
১২। আত্মমর্যাদা ওপরিচ্ছন্ন অন্তর
১৩। শক্তিশালী মুমিনের হৃদয় হয় ভালবাসা, দয়া ও মায়া–মমতায় পূর্ণ
১৪। ভুল স্বীকার