নামাযের ওয়াজিব বলতে ঐসব করণীয় বিষয় বোঝায়, যার কোন একটিও ছুটে গেলে ‘সিদায়ে সাহু’ করলে নামায বিশুদ্ধ হয়ে যায় ৷ ভুলবশত বা স্বেচ্ছায় সিদায়ে সাহু না করা হলে পুনরায় নামায আদায় করা ওয়াজিব। সিদায়ে সাহুর নিয়ম হচ্ছে, শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ পড়ার পর ডানদিকে সালাম ফিরিয়ে আরো দু’টি সিজদা আদায় করতে হয় ।
নামাযের ওয়াজিব সমূহ নিম্নরূপ :
১. সূরা ফাতিহা পড়া। অর্থাৎ ফরয নামাযে এবং বিত্র, সুন্নাত ও নফল নামাযের প্রত্যেক রাকা’আতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা ।
২. ফরয নামাযের প্রথম দু’রাকা’আতে এবং ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল নামাযের সব রাকা’আতে সূরা ফাতিহার পর অন্য কোন সূরা বা বড় এক আয়াত অথবা ছোট তিন আয়াত পড়া
ভিডিও >> সুরাতুল আসর তাফসীর ।। সুন্দর বর্ণনা ।। হাফেজ মোহাম্মদ আলী
৩. প্রথমে সূরা ফাতিহা তারপর অন্য সূরা পড়া। অন্য কোন সূরা পড়ার পর সূরা ফাতিহা পড়লে ওয়াজিব আদায় হবে না। এজন্য ‘সিদায়ে সাহু’ অত্যাবশ্যক ।
বিস্তারিত জানতে Google News অনুসরণ করুন
৪. ফরয নামাযের প্রথম দু’রাকা’আতে এবং অন্যান্য নামাযের সব রাকা’আতে কিরা’আত পড়া ওয়াজিব। যদি কেউ ভুলবশত চার রাকা’আত বিশিষ্ট ফরয নামাযের প্রথম দু’রাকা’আতে কিরা’আত না পড়ে শেষ দু’রাকা’আতে পড়ে বা প্রথম দু’রাকা’আতের এক রাকা’আতে এবং শেষ দু’রাকা’আতের এক রাকা’আতে পড়ে তবে ‘সাহু সিজদা’ আদায় করা ওয়াজিব।
৫. কিরা’আত, রুকূ— ও সিজদার মধ্যে ক্রমধারা ঠিক রাখা।
৬. কাওমা করা । অর্থাৎ রুকূ’ থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো ।
৭. জলসা করা অর্থাৎ দু’ সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা ।
৮. তা দীলে আরকান অর্থাৎ রুকূ’, সিজদা, কাওয়া ও জলসায় কমপক্ষে এক তাসবীহ্ পরিমাণ স্থির থাকা যাতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ যথাস্থানে পৌঁছে যায়।
৯. কা’দায়ে উলা অর্থাৎ তিন বা চার রাকা’আত বিশিষ্ট নামাযে দু’রাকা’আতের পর আত্তাহিয়্যাতু পড়া বা পড়ার পরিমাণ সময় বসা ।
ভিডিও দেখুন >> হয় হাসিনা খালা নয় খালেদা খালা ।। মিজানুর রহমান নাটোরী
১০. প্রথম ও শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া।
নামাযের ওয়াজিব সমূহ প্রতিটি মুসলমানের মানা অতিব জরুরী। নামাযের ওয়াজিব কখনো তরফ করা উচিত নয়। তাই ওয়াজিব জানাও দরকার।