ইসলামী ব্যাংকের লোনের আদ্যোপান্ত – ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন নেয়ার জন্য সর্বপ্রথম আমাদের ব্যাংকে নিয়ম কানুন এবং এই ব্যাংকে কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তা জানা অবশ্যই প্রয়োজন। আর সকল কিছু জানতে মনোযোগ দিয়ে এই লেখাটি পড়তে হবে।
লোন নেওয়া কোন ব্যাংকেই সহজ সাধ্য নয়। তবে নিয়ম মেনে সকল কিছুই পাওয়া যায়। লোন নেয়ার ব্যাপারটা সহজ না কঠিন হবে সেটা পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার আয়ের উপর। যত বেশি আয় ততো বেশি লোনের সুবিধা। এটা সকল ব্যাংকে জন্য প্রযোজ্য।
লোন পাওয়ার প্রয়োজন বা শর্তঃ
কোন কোন খাতে লোন বা বিনিয়োগ দিয়ে থাকেঃ
১। হাউস হোল্ড বিনিয়োগ স্কিম
২। গাড়ী বিনিয়োগ স্কিম (CIS)
৩। ছোট ব্যবসা বিনিয়োগ স্কিম (SBIS)
৪। কৃষি বাস্তবায়ন বিনিয়োগ স্কিম (AIIS)
৫। ট্রান্সপোর্ট বিনিয়োগ স্কিম (TIS)
৬। মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রিজ বিনিয়োগ স্কিম (MIIS)
৭। ডাক্তারদের জন্য বিনিয়োগ স্কিম (ISD)
৮। রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ প্রোগ্রাম (REIP)
৯। রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ
১০। ইসলামী ব্যাংক কৃষি বিনিয়োগ
১১। উদ্যোক্তা বিনিয়োগ স্কিম (NEIS)
১২। মহিলা উদ্যোক্তা বিনিয়োগ স্কিম (WEIS)
ভিডিও >> সুরাতুল আসর তাফসীর ।। সুন্দর বর্ণনা ।। হাফেজ মোহাম্মদ আলী
লোন ঋণ প্রাপ্তির জন্য যে সকল ডকুমেন্ট দিতে হবেঃ
১। নিজস্ব মালিকানার জমি থাকতে হবে কিংবা আপনার পিতার নামে জমি থাকলেই হবে। জমির মূল দলিল প্রয়োজন কোন ভাবেই সার্টিফাইড দলির বা কপি গ্রহণযোগ্য হবে না।
২। জমির মালিকানা দলিল, বায়া দলিল।
৩। সিএস, এসএ, আরএস ও বিএস খতিয়ান এর জাবেদা নকল।
৪। ডিসিআর খাজনা রশিদ ও নামজারি খতিয়ান।
৫। জেলা/সাব-রেজিস্ট্রি অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত ১২ (বার) বছরের নির্দয় সনদ।
৬। সরকারি প্লটের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্লটের বরাদ্দ পত্র এবং দখল হস্তান্তর পত্র।
৭। মূল লিজ দলিল ও বায়া দলিল।
৮। দাতা প্রতিষ্ঠান হতে অনুমতি পত্র।
৯। স্থানান্তর মালিক হলে স্থানান্তর অনুমতি পত্র ও নামজারি, ডিসিআর ও খাজনা রশিদ।
বিস্তারিত জানতে Google News অনুসরণ করুন
ব্যক্তিগত যে সকল কাগজ পত্র দিতে হবেঃ
১। আপনার বেতন স্টেটমেন্ট।
২। বর্তমান আর্থিক অবস্থা।
৩। জাতীয় পরিচয় পত্র (ভোটার আইডি কার্ড)
৪। পার্সপোট সাইজের ছবি।
৫। ব্যবসার ক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন পত্র (ট্রেড লাইসেন্স)।
৬। আপনার বাসা শহর বা পৌরসভার মধ্যে থাকলে সহজে লোন পেয়ে যাবেন।
৭। আপনার সাথে একজন গ্যারান্টি বা সাক্ষী থাকা আবশ্যক (তারও ছবি ও এনআইডি কার্ডের ফটোকপি)।
৮। আপনার বয়স ২১ থেকে ৬৫ এর মধ্য হতে হবে।
ইসলামী ব্যাংকের হোম বা বাড়ি লোন পদ্ধতিঃ
ইসলামী ব্যাংকে বাড়ি তৈরীর জন্য ঋণ নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিচের শর্তগুলো মেনে চলতে হবেঃ
১। উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হতে হবে।
২। ঋণ নিয়ে পরিশোধের সক্ষমতা থাকতে হবে
৩। ঋণ নিয়ে বাড়ি ক্রয়ের মোট খরচের ৬০% লোন দিবে। যার পরিমাণ সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা।
৫। বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে মোট খরচের ৬০% লোন দিবে । যার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা।
ইসলামী ব্যাংকের ছাত্র-ছাত্রী লোন পদ্ধতিঃ
ইসলামি ব্যাংকে স্টুডেন্ট লোন পদ্ধতি চালু রয়েছে। যাতে অর্থাভাবে ছাত্র-ছাত্রী অকালে ঝড়ে না পড়ে, সে জন্যই এ ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। নতুন নতুন আপডেট পেতে নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করুন।
ইসলামী ব্যাংকের কৃষি লোন পদ্ধতিঃ
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কৃষি লোনের সুবিধা দিয়ে থাকে। কৃষির উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংক প্রান্তিক কৃষকদের লোন দিচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকের এ লোন বেশ জনপ্রিয়।
ইসলামী ব্যাংকের ফিলান্সিং লোন পদ্ধতিঃ
ইসলামি ব্যাংক সবার দিকে দৃষ্টি রেখে কাজ করে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ফিলান্সিং এর প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকায় তাদের প্রতি গুরুত্বারোপ করছে ইসলামি ব্যাংক এ লোন চালু করেছে। একজন ফিলান্সার হওয়ার জন্য যে সকল জিনিসপত্র লাগে, ইসলামি ব্যাংক তা কেনার ব্যবস্থা করে থাকে।
আরো পড়ুন >> বাংলাদেশর সেরা 5টি মোবাইল ব্যাংকিং। Mobile Banking
ইসলামী ব্যাংকের গাড়ি বা কার লোন পদ্ধতিঃ
আপনি যদি গাড়ি বা কার কিনতে চান, তাহলে আপনি ইসলামি ব্যাংকের মাধ্যমে অতি সহজে ক্রয় করতে পারেন গাড়ি। এক্ষেত্রে ২ ক্যাটাগরি রয়েছে
১। নতুন গাড়ির জন্য ৫ বছর মেয়াদি লোন।
২। পুরাতন গাড়ির জন্য ৪ বছর মেয়োদি লোন।
ব্যাংকে সকল তথ্য অথবা আদ্যোপান্ত জানতে সরাসরি ব্যাংকে অথবা ব্যাংকে ওয়েব সাইটে ভিডিট করুন প্রয়োজনে হেল্পলাইন নম্বরে কল করুন।
ইসলামী ব্যাংক হেল্পলাইন নম্বর হল
16259 বা 09611016259