অশ্লীল উপন্যাস, কবিতা ও নভেল নাটক পাঠ
অশ্লীল সিনেমা নাটক উপন্যাস পড়া ও দেখা হারাম – অনেক যুবক-যুবতী অশ্লীল উপন্যাস, নভেল, নাটক, পেশাদার-অপরাধীদের কাহিনী অথবা অশ্লীল কবিতা পাঠের বদ অভ্যাসে অভ্যস্ত এসব বিষয়ও নিষিদ্ধ। এ সবের বদ অভ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পূর্ববর্তী পরিচ্ছেদে বর্ণিত পন্থাসমূহ গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ, ইচ্ছাকৃতভাবে মনের চাওয়ার বিরুদ্ধে তা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং এসবের উপকরণ থেকে দূরে থাকবে। কিছু দিন এরূপ করলেই মন থেকে এসবের চাহিদা দুর্বল হয়ে যাবে ।
সিনেমা, বাইস্কোফ ও অশ্লীল ছায়াছবি দর্শন
এগুলাের মধ্যে পাঁচ রকমের পাপ রয়েছে।
(১) সময় নষ্ট
(২) সম্পদ নষ্ট
(৩) স্বভাব-চরিত্র নষ্ট
(৪) স্বাস্থ্য নষ্ট
(৫) ঈমান ও আমল নষ্ট ।
যদি নারী চরিত্র ও অশ্লীলতাকে বাদ দিয়ে শিক্ষামূলক ফিল্ম তৈরি করা হয়, তাহলে তার মধ্যে এতগুলাে পাপ থাকবে না শুধু জীবের ছবি তােলার পাপ থাকবে। আর জীবের ছবিও বাদ দিয়ে শুধু সু-শিক্ষামূলক ফিল্ম তৈরি করা হলে তাতে কোন পাপ থাকবেনা। সিনেমার পার্ট ও প্লে করা, এর ব্যবসা করা এবং এডভারটাইজ করা সবই কাবীরা গুনাহ। সিনেমা বাইস্কোপ দেখার বদ অভ্যাস থেকে পরিত্রাণের জন্য পূর্ববর্তী পরিচ্ছেদে বর্ণিত পন্থাসমূহ গ্রহণ করতে হবে।
মদ, গাজা, ভাং, আফিম, হেরােইন প্রভৃতি নেশা
শরীয়তে এসব নেশাকর দ্রব্য সম্পূর্ণ হারাম, অল্প হােক চাই বেশী হােক। এ সবের শারীরিক, আত্মিক, নৈতিক, আর্থিক ও জাগতিক বিভিন্ন প্রকারের ক্ষতির কারণেই শরীয়ত এগুলােকে নিষিদ্ধ করেছে। এ সবের বদ-অভ্যাসে কেউ জড়িত হয়ে পড়লে তা ছাড়ানাে কঠিন ও কষ্টকর। তবে নিম্নোক্ত পদ্ধতি সমূহ গ্রহণ করলে ফল পাওয়া যাবে।
(১) প্রথমতঃ এসব নেশার মন্দ ও ক্ষতিকর দিকগুলাে নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির মনে বদ্ধমূল করাতে হবে এবং তার মনে এর প্রতি ভয়, আতংক ও ঘণা জাগিয়ে তুলতে হবে।
(২) যে কোন নেশাজনিত অভ্যাস হঠাৎ ত্যাগ করা মানুষের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর, তাই ধীর মন্থর গতিতে অল্প অল্প করে তাকে ছাড়াতে হবে।
(৩) তার কাছ থেকে নেশার উপকরণ এবং পাত্র, তৈজস পত্র ইত্যাদি দুরে সরিয়ে দিতে হবে বা তাকে নেশাটির উপকরণ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে, যত দিন পর্যন্ত তার মন থেকে নেশার ঘাের সম্পূর্ণ কেটে না যায়।
(৪) সবচেয়ে বড় কথা না ইচ্ছা ও সাহস করলে অনেক কঠিন কিছুও করে ফেলতে পারে- নেশাখোর ব্যক্তির মনে এরূপ ইচ্ছা ও সাহস জাগিয়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন >> বাকী এবং কিস্তিতে ক্রয়-বিক্রয় ইসলামে জায়েজ কিনা?
বিস্তারিত জানতে Google News অনুসরণ করুন |
বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা ও তামাক সেবন
বিড়ি, সিগরেট, হুক্কা ইত্যাদি ধুপান ও তামাক সেবন মাকরূহ তানযীহী। আর এগুলাের দুর্গন্ধ মুখে থাকা অবস্থায় মসজিদে গমন করা হারাম। ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ৫ম খাতে বলা হয়েছে, তামাক যদি নেশা! যুক্ত হয় তাহলে নিষিদ্ধ, দুর্গন্ধযুক্ত হলে মাকরূহ, অন্যথায় জায়ে। বিড়ি সিগারেট প্রভৃতির বদ অভ্যাস পরিত্যাগ করার জন্য পূর্ববর্তী পরিচ্ছেদে বর্ণিত নিয়মাবলী প্রযােজ্য। যথাঃ
(১) প্রথমতঃ এ সব নেশার মন্দ ও ক্ষতিকর দিকগুলাে নেশাখাের ব্যক্তির মনে বদ্ধমূল করাতে হবে এবং মনে এর প্রতি ভয়, আতংক ও ঘৃণা জাগিয়ে তুলতে হবে ।
(২) যে কোন নেশজনিত অভ্যাস হঠাৎ ত্যাগ কর! মানুষের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর, তাই ধীর মন্থর গতিতে অল্প অল্প করে তাকে দ্বাড়াতে হবে।
(৩) তার কাছ থেকে নেশার উপকরণ এবং পাত্র, তৈজসপত্র ইত্যাদি দূর করে দিতে হবে বা তাকে নেশ’র উপহণ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে, যত দিন তার মন থেকে নেশার ঘাের সম্পূর্ণ কেটে না যায়।
(৪) সবচেয়ে বড় কথা মানুষ ইচ্ছা ও সাহস করলে অনেক কঠিন কিছুও করে ফেলতে পারে- নেশাখাের ব্যক্তির মনে এরূপ ইচ্ছা ও সাহস জাগিয়ে তুলতে অপব্যয় শরীয়তের আলােকে যে ক্ষেত্রে ব্যয় করা নিষেধ সে ক্ষেত্রে ব্যয় করাকে বলা হয় তাবযীর বা অপব্যয়। কুরআন অপবয়কারীকে ‘শয়তানের ভাই’ লাল আখ্যায়িত করেছে। অপব্যয় করা গােনাহে কবীরা।