জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুক্রবার শেষ ওয়ানডে হবে মাশরাফির অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ।এর মাধ্যমেই শেষ হতে চলেছে বাংলাদেশের সবথেকে সফলতম অধিনায়কের অধ্যায়।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষে ওয়ানডে দলের অধিনায়কের পদ নিয়ে পুনবিবেচনা করা হবে এমনটাই জানিয়েছিল বিসিবি।কিন্তু তার আগেই অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মাশরাফি।
সিলেটে বৃহস্পতিবার ম্যাচ পূর্ববর্তি নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে এসে এই ঘোষণা দেন তিনি।
নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়ে অনেক আগে থেকেই সব মহলে কানাঘুষা চলছিল তবে এই বিষয়ে এইরকম সোজাসাপ্টা ঘোষণাই দিয়েছেন মাশরাফি।এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তার এই পথ চলায় সবাইকে তার পাশে থাকের জন্য।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি জিতলে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে ৫০ ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পাবেন তিনি।তবে এখনো সেই বিষয়টি ঘটুক বা না ঘটুক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে শেষ টস করতে নামবেন মাশরাফি।
সংবাদ সম্মেলনে মাসরাফি জানান-‘’আজকে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব পদ থেকে সরে জাচ্ছি।জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি অধিনায়ক হিসেবে আমার শেষ ম্যাচ।খেলোয়াড় হিসেবে আমি চেষ্টা করব আমার সেরাটা দেওয়ার,যদি সুযোগ আসে।শুভ কামনা থাকবে পরবর্তী অধিনায়কের জন্য।
সংবাদ সম্মেলনের দীর্ঘ ৩৫ মিনিটে নানা প্রশ্নত্তর র কথাবার্তায় উঠে এসেছে তার দীর্ঘ ক্যারিয়ার র নেতৃতের নানা অধ্যায়।
আরও পড়ুন >> ভয়াবহ ৬০টি কবীরা গুনাহ ।। প্রচলিত কিছু কবীরা গুনাহ
আরও পড়ুন>> সোনালী ব্যাংক এর আমানত স্কিমের নাম ও সুবিধা সমুহ
বাংলাদেশ ক্রিকেটে যখন খারাপ সময় চলছিল ঠিক তখনি ২০০৯ সালে শুরু হয় মাসরাফি অধ্যায়।নানা সময় চোটের কারনে বার বার ছিটকে পরতে হয়েছিল তাকে।ইংল্যান্ড এর বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম জয়ের দেখা পান তিনি। তবে অধিনায়ক হিসেবে স্মরণীয় অধ্যায় সুরু হয় ২০১৪ সালে।সীমিত ওভারের ম্যাচে অধিনায়ক করা হয় তাকে।তার পর থেকে শুরু হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট্বের গৌরবময় অধ্যায়।
তার নেত্রিত্তেই প্রথম বারের মত ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়াটার-ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ ।সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে রেকর্ড ৮৭ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেন মাশরাফি এবং রেকর্ড ৪৯ জয় এসেছে তার অধিনায়কত্তে।
এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশে পরবর্তী অধিনায়কের দায়িত্তে এসে বাংলাদেশের এই জয়যাত্রা চলতে থাকে নাকি থেমে যাবে।সেটি যায় হোক পরবতি অধিনায়কের প্রতি শুভ কামনা জানাতে একটুও ভুলে যাননি মাশরাফি।
আরেকটি মাশরাফি পাওয়ার অপেক্ষাতে থাকল গোটা জাতি।যার সফল অধিনায়কত্তের হাত ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাবে বহুদূর।