টাখনু নিচে কাপড় পরা এবং গলায় টাই বাঁধা কি হারাম?

Spread the love

পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রেও ইসলামী বিধি-বিধানের অনুসরণ আবশ্যক। লেবাস পোশাকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দুইটি।
১। সতর ঢাকা
২। সৌন্দর্য।

টাখনু নিচে কাপড় পরা এবং গলায় টাই বাঁধা কি হারাম? এ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে, চলুন দেখে আসি।

 সম্বন্ধে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে –

بني أدم قد أنزلنا علیکم لباسا يواري سوانگم وريشا ولباس التقوى ذلك خير .

হে বনী আদম! তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকার ও বেশভূষার জন্য আমি তোমাদেরকে পরিচ্ছদ দিয়েছি এবং তাকওয়ার পরিচ্ছদই সর্বোৎকৃষ্ট । (সূরা আ’রাফ, ৭: ২৬)।

লেবাস-পোশাকের অন্যতম উদ্দেশ্য হল সৌন্দর্য লাভ। এ প্রসঙ্গে কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে –

بنی ادم دوا زينتكم عند كل مسجد وكلوا واشربوا ولا تسرفوا انه لا يحب المرفين .

হে বনী আদম! তোমরা প্রত্যেক সালাতের সময় সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান করবে। আহার করবে ও পান করবে কিন্তু অপব্যয় করবে না। নিশ্চয়ই তিনি অপব্যয়কারীদেরকে পসন্দ করেন না। (সূরা আরাফ, ৭:৩১)

প্রথমোক্ত আয়াতে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে, “তাকওয়ার পরিচ্ছদই সর্বোৎকৃষ্ট।” কাজেই মুসলমান নর-নারী ও বালক-বালিকা সকলেরই এ পোশাক পরিধান করা বাঞ্ছনীয়।

মুসলমান পুরুষ ও মহিলাদের জন্য উত্তম পোশাক হল, সমাজের নামাযী ও পরহেযগার লােকদের অনুসরণে নিজের পোশাক নির্বাচন করা । যা শালীন, মার্জিত, রুচিশীল ও শোভনীয় । লেবাসের ক্ষেত্রে পুরুষের জন্য মহিলার অনুকরণ ও মহিলাদের জন্য পুরুষের অনুকরণ হারাম। কুসুম ও জাফরানী রঙের কাপড় পরিধান করা পুরুষের জন্য জায়িয নেই। অহংকার প্রকাশ পায় এমন পোশাক পরিধান করা উচিত নয়। এমন কাপড় পরিধান করা, যাতে শরীরের অঙ্গসমূহ দেখা যায়, তা পরিধান করাও সমীচীন নয়। রেশমী কাপড় পরিধান করা পুরুষের জন্য জায়িয নেই।

আরও পড়ুন >> আখিরাত কি । ইসলামী জীবনে আখিরাতে পরিবেশ ও পরিস্থিতি

আরও পড়ুন >> Dhaka Bank Gold Account – গোল্ড হিসাবের সুবিধা

স্বর্ণের আংটি এবং স্বর্ণের চেইন ব্যবহার করাও পুরুষের জন্য হারাম। টাখনু গিরার নিচ পর্যন্ত জামা, পায়জামা ও প্যান্ট পরিধান করা এবং গলায় টাই বাধা বৈধ নয়।

সামর্থ্যবান লোকের জন্য জরাজীর্ণ মানুষের পোশক পরিধান ইসলাম পসন্দ করেনি। ধনীরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক দরিদ্রদের মধ্যে সাদাকা করে দিবে।

কাপড় পরিধান করার সময় ডানদিক থেকে এবং খোলার সময় বামদিক থেকে শুরু করবে। যেমন জামার ডান আস্তিন প্রথমে পরবে। পায়জামার ডান পা প্রথমে পরবে। আর খোনার সময় বাম আস্তিন এবং বাম পা প্রথমে খুলবে।

নতুন কাপড় পরিধান করে নিম্নের দু’আটি পাঠ করেব

الحمد لله الذي کساني هذا ورزقنيه من غير حول مني ولا قوة .

বেশি শান-শওকতের পোশাক পরিধান করা এবং একেবারে ময়লা কাপড় ব্যবহার করা উচিত নয়। বরং সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। চুলের যত্ন করবে। তবে সর্বদাই চুল পৃরিপাটি করার পেছনে লেগে থাকা উচিত নয়। সুরমা ব্যবহার করা মুস্তাহাব। এক পায়ে জুতা পরিধান করে হাঁটা উচিত নয়। হাদীসে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

Check Also

এক অজুতে একাধিক নামাজ

এক অজুতে একাধিক নামাজ পড়া নিয়ম

Spread the loveএক অজুতে একাধিক নামাজ পড়া নিয়ম – অজু থাকলেও প্রত্যেক সালাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *