ভয়াবহ ৬০টি কবীরা গুনাহ
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) বলেন, নবী করীম (সা)-এর ঘোষণায় গুরুতর কবীরা গুনাহ হচ্ছে, আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা, পিতামাতার অবাধ্য হওয়া, কাউকে হত্যা করা, মিথ্যা হলফ করা। (বুখারী)।
হযরত আনাসের বর্ণনায় হাদীসটিতে মিথ্যা হলফের পরিবর্তে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। (বুখারী, মুসলিম)।
মু’আ ইন জাবালের বর্ণনা : নবী কারীম(সা) আমাকে দশটি বিষয়ে উপদেশ দিয়েছেন :
১. আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না যদিও তােমাকে হত্যা করা হয় বা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়
২. পিতামাতার অবাধ্য হবে না যদিও তারা তােমাকে স্ত্রী-পুত্র, ধন-সম্পদ পরিত্যাগ করতে বলেন
৩. ইচ্ছে করে কখনাে ফরয নামায তরক করবে না। কেননা তা করলে আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে হিফাযতের দায়িত্ব উঠে যায়
৪. কখনাে শরাব পান করবে না, কেননা তা হচ্ছে সকল অশ্লীলতার উৎস
৫. সাবধান! গুনাহ থেকে বেঁচে থাকবে
৬. সাবধান! জিহাদের ময়দান হতে পলায়ন করবে না, যদিও সকলে ধ্বংস হয়ে যায়
৭. লােকের মধ্যে মহামারী দেখা দিলে সে স্থান ত্যাগ করবে না
৮. তােমার সামর্থ্যানুযায়ী পিতামাতার জন্য ব্যয় করবে
৯. পরিবারের লােকদের আদব-কায়দা শিক্ষা দিবে, শাসন করতে কখনাে দ্বিধা করবে
১০. তাদেরকে আল্লাহ্ তা’আলার ভয় প্রদর্শন করবে। (মুসনাদে আহমাদ ও মিশকাত)
এক নজরে কবীরা গুনাহসমূহঃ
১. আল্লাহ তা’আলার সাথে কাউকে শরীক করা।
২. কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা।
৩. পিতামাতার অবাধ্য হওয়া ও তাদের কষ্ট দেয়া।
৪. কাউকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা।
৫. ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা।
৬. যিনা-ব্যভিচার করা । পুরুষে পুরুষে, নারীতে নারীতে মৈথুন করা।
৭. ওযনে কম দেয়া
৮. দারিদ্রের আশঙ্কায় সন্তান হত্যা করা।
৯. কোন নির্দোষ মহিলার উপর যিনার অপবাদ দেয়া।
১০, সুদ খাওয়া ও সুদ দেয়া।
আরও পড়ুন >> ব্যায়াম কিংবা জিম না করে ওজন কমাবেন কিভাবে
১১. জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা।
১২. যাদু, বান, টোনা ইত্যাদি করা।
১৩. আমানতের খিয়ানত করা।
১৪. ওয়াদা ভঙ্গ করা।
১৫. মিথ্যা বলা।
১৬. কুরআন শরীফ শিক্ষা করে তা ভুলে যাওয়া ।
১৭. আল্লাহ তাআলার কোন ফরয ইবাদত যেমন : নামায, রােযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি, বিনা কারণে ছেড়ে দেয়া।
১৮. আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সিজদা করা।
১৯. কোন মুসলমানকে কাফির, বেঈমান, আল্লাহর নাফরমান, আল্লাহর দুশমন ইত্যাদি বলা।
২০. চুরি করা।
২১. গীবত করা ও শােনা।
২২. খাদ্যশস্যের দাম বাড়লে খুশি হওয়া।
২৩. কোন বস্তুর দাম সাব্যস্ত হওয়ার পরও জোরপূর্বক তার মূল্য কম দেয়া।
২৪. শরাব পান ও মাদক দ্রব্য সেবন করা।
২৫. জুয়া খেলা।
২৬. গায়ের মাহরাম-এর নিকট নির্জনে বসা।
২৭. আল্লাহর নিয়ামতের না-শেী করা।
২৮. যুলুম-অত্যাচার করা।
২৯. আল্লাহ তা’আলার রহমত থেকে নিরাশ হওয়া।
৩০. কারো প্রতি অহেতুক মন্দ ধারণা পোষণ করা।
৩১. অপরের দোষ অনুসন্ধান করা।
৩২. কারো ঘরে অনুমতি ব্যতীত প্রবেশ করা।
৩৩. বিনা ওযরে জুমু’আর নামায তরক করা।
৩৪. মিথ্যা কসম খাওয়া; আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম খাওয়া।
৩৫, কাফিরদের রীতিনীতি ও প্রথাকে পসন্দ করা।
৩৬, অশ্লীল নৃত্য-গীতি বা গানবাজনা উপভোগ করা।
৩৭. সামথ্য থাকা সত্ত্বেও ন্যায় ও সত্যের পথে আহ্বান না করা ও অন্যায় অসত্য প্রতিরোধের চেষ্টা না করা।
৩৮. মুসলমানের উপর যুলুম করা ও তাকে অপমান করা।
৩৯. কোন পশুর সাথে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়া।
৪০. শূকরের মাংস ভক্ষণ করা।
Best Watch ::
The best 5 digital watch in 2022
৪১. কোন হারাম দ্রব্য ভক্ষণ করা।
৪২. আল্লাহর নাম ব্যতীত অন্য কারো নামে যবেহকৃত পশুপাখির গোশত ভক্ষণ করা।
৪৩. মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া।
৪৪. জ্যোতিষীদের ভবিষ্যদ্বাণীকে বিশ্বাস করা।
৪৫. গর্ব ও অহংকার করা।
৪৬. ঋতুমতী অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা।
৪৭. সত্য ও ন্যায়ের উল্টো ফায়সালা দেয়া বা বিচার করা।
৪৮. যালিম ও অত্যাচারীর প্রশংসা করা ।
৪৯. আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা।
৫০, নামাযের ওয়াক্ত না হওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে ফরয নামায আদায় করা।
৫১. মুসলমানে মুসলমানে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া।
৫২. সাহাবায়ে কিরাম (রা)-কে মন্দ বলা।
৫৩. ঘুষ খাওয়া।
৫৪. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ বাধিয়ে দেয়া ।
৫৫. কোন প্রাণীকে আগুনে পুড়িয়ে মারা।
৫৬. কারণ ছাড়াই স্ত্রীর স্বামী সহবাসে অসম্মত হওয়া।
৫৭. আল্লাহ্র শাস্তি হতে নির্ভয় থাকা।
৫৮. আলিম ও হাফি-কারীদের অসম্মান ও অবজ্ঞা করা।
৫৯. স্ত্রীর সাথে যিহার করা।
৬০. বেপরােয়াভাবে বারবার গুনাহে লিপ্ত হওয়া।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী, আশআতুল সুম’আত, ফাতহুল বারী শরহে বুখারী)
ভিডিও দেখুন >> ইসলামে এখন সবই উল্টা পাল্টা । মাওঃ তৈয়বুর রহমান