ব্যায়াম কিংবা জিম না করে ওজন কমাবেন কিভাবে

Spread the love

ব্যায়াম কিংবা জিম না করে ওজন কমাবেন কিভাবে ওজন কমাবেন কিভাবে

সময়ের অভাবে ওজন কমাতে ব্যায়াম কিংবা জিমে যেতে পারছেন না। আবার বিভিন্ন কারণে ডায়েটও করা হচ্ছে না। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের ভয়ে জিমে যেতেও করছেন দ্বিধা, তাহলে কি মোটাই থেকে যেতে হবে? এমন প্রশ্নের উত্তর হলো, একদম না। ব্যায়াম ছাড়াও ওজন কমানো সম্ভব। ব্যায়াম কিংবা জিম অনেকের মনেই একটা ভ্রান্ত ধারণা থাকে, তা হলো কম খেয়ে ওজন কমানো যায়! কথাটি একদমই সত্য নয়।

কম খেলে ওজন তো কমেই না বরং এর ফলে মোটা তো হবেনই এবং সাথে বোনাস হিসেবে বাড়বে শরীরে বিষ-ব্যাথাও। ঘণ্টার পর ঘণ্টা না খেয়ে থাকার পরিবর্তে, যদি আপনি স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করেন এবং আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসে খানিকটা পরিবর্তন নিয়ে আসেন, তাহলে এই করোনাকালেও ওয়েটলস করতে পারবেন। তার জন্য কিছু টিপস ফলো করুন-

১. ব্যায়াম কিংবা জিম – করোনাকালে বাড়িতে থাকায় প্লেট ভর্তি খাবার খেতে অনেকেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অতিরিক্ত খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণ মেদ জমে। বেশি খাওয়া মানেই কিন্তু বেশি ক্যালরি জমা হওয়া। আর পর পর খাবার খেতেই থাকলে সেই ক্যালরি বার্ন হয় না। ফলে শরীরে জমতে থাকে ফ্যাটের স্তর। যেখান থেকে ওবেসিটি আসতে বাধ্য। তাই বেশি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

পুরাতন কম্পিউটার কিনে আপনি ঠকছেন না তো !!

২. অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে হজমের সমস্যা, হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়। এছাড়াও অনিদ্রা, মাথা ধরা, পালস রেট বেড়ে যাওয়া এসব থাকেই। ব্যায়াম কিংবা জিম খেয়ে যদি বমি, গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয় তাহলে সেখান থেকে হতে পারে বড় কোনও সমস্যা। ওজন কমাতে চাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পানি শুধু তৃষ্ণা নিবারণ করবে না, ক্ষুধাও প্রশমিত করে।

৩. রুটি, সিরিয়াল এবং অন্যান্য স্টার্চ জাতীয় খাবারে যদি সামান্য পরিমানে দারুচিনি দেওয়া যায়, তবে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধা বোধ করবেন না।

৪. ফলের রস স্বাস্থ্যকর কিন্তু যদি গোটা ফল খান তবে আরো ভালো। চিনি মেশানো প্যাকেট ফলের রসের চেয়ে গোটা ফল খাওয়া বেশি উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ক্যালরির মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং অপ্রয়োজনীয় ওজন থেকে রক্ষা করে।

৫. দোকান থেকে কোনো প্রক্রিয়াজাত খাবার কিনতে গেলে বা প্যাকেট ফুড কেনার আগে সাবধানতা অবলম্বন করুন। ফ্যাটলেস লেখা থাকলেই ভরসা করবেন না। ট্রান্স ফ্যাটের কথাটা ভুললে চলবে না। সবচেয়ে ভালো প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলা।

৬. বেশি খাওয়ার অভ্যেস হয়ে গেলে শরীর খিদে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারায়। অর্থাৎ কখন খিদে পাচ্ছে, কতটা খাওয়া প্রয়োজন এই অনুভূতিটাই চলে যায়। সেজন্য কিছুক্ষণ পর পর খান। এতে অহেতুক ক্ষুধা বোধ করবেন না এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে থাকবে ক্যালরিও।

৭. ওজন অনুযায়ী আপনার শরীরে কত ক্যালরির খাবার দরকার সেই পরামর্শটুকু আগেই জেনে নিতে হবে কোনো চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। সেই অনুযায়ী ঠিক করতে হবে আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকা।

ভিডিও দেখুন >> ও মাঝি ভাই || O Majhi Vai || দরদ মাখা নাতে রাসুল

Check Also

মাদকদ্রব্যের কুফল রচনা

মাদকদ্রব্যের কুফল রচনা উন্নয়ন-অগ্রগতির অন্তরায়

Spread the loveমাদকদ্রব্যের কুফল রচনা ভূমিকামাদকদ্রব্যের কুফল  -মানুষের সুস্থ শরীর ও মস্তিষ্কই জীবনের সবচেয়ে বড় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *