ওজু বা পবিত্রতা ছাড়া সালাত কবুল হয় না

Spread the love

ওজুর বর্ণনা

ওজু বা পবিত্রতা – আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ (হে মুমিনগণ!) তোমরা যখন সালাতের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধুবে ও তোমাদের মাথা মাসেহ করবে এবং পা গিরা পর্যন্ত ধুয়ে নিবে। (৫ঃ ৬)।

আবূ ‘আবদুল্লাহ্ বুখারী (রহ.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উযূর ফরয হ’ল এক-একবার ধোয়া। তিনি দু’-দু’বার করে এবং তিন-তিনবার করেও উযূ করেছেন, কিন্তু তিনবারের অধিক ধৌত করেন নি। পানির অপচয় করা এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ‘আমলের সীমা অতিক্রম করাকে ‘উলামায়ে কিরাম মাকরূহ বলেছেন।

ওজুর ফযীলত এবং ওজুর প্রভাবে যাদের ওজুর অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ উজ্জ্বল হবে

ইয়াহিয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) …. নু‘আয়ম মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। তারপর তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে বললেনঃ ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতকে এমন অবস্থায় ডাকা হবে যে, উযূর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল থাকবে উজ্জ্বল। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে।

সন্দেহের কারনে ওজু করতে হয় না যতক্ষণ না (ওজু ভঙ্গের) নিশ্চিত বিশ্বাস জন্মে

‘আলী (রহঃ) …. ‘আব্বাদ ইবনু তামীম (রহঃ) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক ব্যাক্তি সম্পর্কে বলা হল যে, তার মনে হয়েছিল যেন সালাত (নামায/নামাজ)-এর মধ্যে কিছু হয়ে গিয়েছিল। তিনি বললেনঃ সে যেন ফিরে না যায়, যতক্ষণ না শব্দ শোনে বা গন্ধ পায়।

হালকাভাবে ওজু করা

আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমিয়েছিলেন, এমনকি তাঁর নিঃশ্বাসের শব্দ হতে লাগল। এরপর তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। সুফিয়ান (রহঃ) আবার কখনো বলেছেন, তিনি শুয়ে পড়লেন, এমনকি তাঁর নিঃশ্বাসের শব্দ হতে লাগল। এরপর তিনি সালাত আদায় করলেন।

আরো পড়ুন >> দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময় । গুরুত্বপূর্ণ ২০টি হাদিস

পূর্ণরূপে ওজু করা

আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) …. উসামা ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আরাফার ময়দান থেকে রওয়ানা হলেন। গিরিপথে গিয়ে তিনি সওয়ারি থেকে নেমে পেশাব করলেন। এরপর উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন কিন্তু উত্তমরূপে করলেন না। আমি বললাম, ‘ইয়া রাসুল্লাল্লাহ! সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবেন কি?’ তিনি বললেনঃ সালাতের স্থান তোমার সামনে।

তারপর তিনি আবার সওয়ার হলেন। এরপর মুযদালিফায় এসে সওয়ারি থেকে নেমে উযূ করলেন। এবার পূর্ণরূপে ওজু করলেন। তখন সালাতের জন্য ইকামাত দেওয়া হল। তিনি মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। তারপর সকলে তাঁদের অবতরণ স্থলে নিজ নিজ উট বসিয়ে দিল। পুনরায় ঈশার ইকামাত দেওয়া হল। তিনি ঈশার সালাত আদায় করলেন এবং উভয় সালাতের মধ্য অন্য কোন সালাত আদায় করলেন না।

ভিডিও >> মনের সৌন্দর্য চাইতে দেহের সৌন্দর্য্যই আসল | মাওলানা হাবিবুল্লাহ কাওছারী

Check Also

পবিত্র রমজানে

পবিত্র রমজানে আল্লাহর নৈকট্য লাভের 10 আমল

Spread the loveপবিত্র রমজানে আল্লাহর নৈকট্য ও পুণ্য লাভের সর্বোত্তম সময়। কেননা রমজান মাসে আল্লাহ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *