সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে- ভাবসম্প্রসারণ Class-9, 10, SSC & HSC
মূলভাব ভাবসম্প্রসারণ :
অপরের উপকার করেই মানবজীবন ধন্য ও সার্থক হয়। অন্যের উপকার সাধনই তাই সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত। কেবল নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলে চলবে না। চারপাশের মানুষের কথাও ভাবতে হবে, ভাবা উচিত । সমাজে বাস করতে হলে একে অপরের সুবিধা-অসুবিধার কথা চিন্তা করে চলতে হবে। কারণ পারস্পরিক সহযোগিতাই মানবজীবনের উন্নতির মূল। এই সহযোগিতা ছাড়া সুস্থ, সুন্দররূপে বাঁচা সম্ভব নয়। অন্যকে বঞ্চিত রেখে কেউ কখনো বেশিদূর অগ্রসর হতে পারে না। তাই সংকীর্ণ ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে বৃহত্তর মানুষের কথা ভাবতে হবে। সেখানেই রয়েছে মানবজীবনের সার্থকতা। অন্যের সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে এগিয়ে যাওয়াই প্রত্যেকের কর্তব্য। প্রয়োজনে নিজের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে অন্যের জন্য জীবন উৎসর্গ করার মহৎ মানসিকতাই দিতে পারে বৃহত্তর মুক্তি। পুষ্পের ন্যায় পরার্থে জীবন উৎসর্গ করার মধ্যেই নিহিত রয়েছে জীবনের সার্থকতা।
স্বার্থপর হয়ে কেউ পৃথিবীতে বাঁচতে পারে না। তাই পরের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করার মাধ্যমেই জীবনকে সার্থক ও ধন্য করা সম্ভব।
আরো পড়ুন :: স্বপ্নে জান্নাত ও জাহান্নাম দেখলে কি হয়?
বিস্তারিত জানতে Google News অনুসরণ করুন
পড়াশোনা নিয়ে উক্তি | মোটিভেশনাল নিয়ে 100 টি সেরা উক্তি
AI Generate ভাবসম্প্রসারণ
সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে
মূলভাব ভাবসম্প্রসারণ :
এই প্রবাদটি মানব সমাজের পারস্পরিক সহানুভূতি ও সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরে। মানুষ সামাজিক জীব; একে অপরের সহায়তা ছাড়া তার অস্তিত্ব অসম্ভব। এই প্রবাদটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সমাজে বসবাসকারী প্রত্যেকের উচিত পরস্পরের কল্যাণে কাজ করা।
মানব সভ্যতা গড়ে উঠেছে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ভিত্তিতে। কেবল নিজের স্বার্থ রক্ষা করাই মানব জীবনের লক্ষ্য নয়; বরং পরের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করাই মানুষের প্রকৃত ধর্ম। যে ব্যক্তি সমাজের মঙ্গলচিন্তায় নিজেকে উৎসর্গ করে, সে-ই প্রকৃত অর্থে মানবতার সেবা করে।
এই প্রবাদটি আমাদের শেখায় যে, সমাজের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য প্রত্যেকের উচিত নিজের স্বার্থের চেয়ে সমাজের বৃহত্তর স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া। পরস্পরের মঙ্গলচিন্তায় নিয়োজিত থাকলেই সমাজে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সৌহার্দ্য বজায় থাকে।
অতএব, “সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে” প্রবাদটি মানব সমাজের পারস্পরিক সহানুভূতি, সহযোগিতা ও নিঃস্বার্থ সেবার আদর্শকে প্রতিফলিত করে। এই আদর্শ অনুসরণ করলেই সমাজে সত্যিকারের মানবতা প্রতিষ্ঠিত হবে।