বিস্কুটের বদলে মুড়ি
চায়ের সঙ্গে টা মানেই কি বিস্কুট? মুঠো মুঠো বিস্কুট খাচ্ছে কি আপনার সন্তান? জানেন কি, বেশি বিস্কুটে মোটা হওয়া থেকে ডায়াবেটিস পর্যন্ত হতে পারে? বিস্কুটের বদলে মুড়ি খান। মেদ কমায় মুড়ি।
চা খেতে ফাইভ স্টার হোটেল খুঁজুন কিংবা বাড়ির ড্রয়িং রুম, চায়ের সঙ্গে টায়ের বাছাই হতে হবে সাবধানী। নইলে বিপদ।
সম্ভবত, সকালের স্ন্যাকস মানেই আমরা বুঝি, চা-বিস্কুট। কোম্পানির ছোট্ট মিটিং কিংবা বন্ধুর বাড়িতে টি পার্টি, বিস্কুটের অবাধ গতি। আর এই গতিতেই সর্বনাশ।
বিস্কুট মানেই ময়দা। তৈরির সময় ভিটামিনের দফারফা। ফাইবার কমে যাওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য। ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকা।
প্রথমত, বিস্কুটে ট্রান্স ফ্যাটের আধিক্য। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে থাকে। ওজন বাড়ে। অ্যাগ্রেশন বাড়তে থাকে। ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে।
দ্বিতীয়ত, বিস্কুটে মিষ্টির পরিমাণ প্রচুর। রোজ চায়ের সঙ্গে টা মানে যদি বিস্কুট হয়, তাহলে ওবেসিটি নিশ্চিত। হঠাত্ বাড়িয়ে দেয় ব্লাড সুগার লেভেল।এমনটাই বলছেন চিকিত্সকরা।
নিয়মিত বিস্কুট খাওয়ার কারণে শিশুদের অ্যালার্জি হতে পারে। চিনির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে দাঁতের বারোটা বাজার সম্ভাবনা।
সর্বশেষ, তাহলে উপায়? বদলাতে হবে চায়ের সঙ্গে টায়ের সংজ্ঞা। বিস্কুটের বদলে মুড়ি খান। প্রচুর উপকার। এমনটাই বলছেন চিকিত্সকরা।
কম ক্যালরির পেট ভরানোর খাবার মানেই মুড়ি। যাঁদের বার বার খিদে পায়, অথচ সারাদিনে বেশিরভাগ সময়ে অফিসে বা বাড়িতে বসে কাজ করার জন্য শরীরে ক্যালরির চাহিদা কম, তাঁদের জন্য লাঞ্চ ও ডিনারের মাঝখানে বিকেল বা সন্ধের দিকে মুড়ি হতে পারে আদর্শ খাবার।
১ কাপ অর্থাত্ ১৪ গ্রাম মুড়িতে রয়েছে ৫৬ ক্যালরি। কার্বোহাইড্রেটস ১২.৬ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ০.১ গ্রাম, ফাইবার ০.২ গ্রাম, পটাসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪.৪৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৪ মিলিগ্রাম, থিয়ামাইন ০.৩৬ মিলিগ্রাম এবং নিয়াসিন ৪.৯৪ মিলিগ্রাম।
সোডিয়ামের পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকার কারণে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে।
অনেকটা জল টেনে নেয় বলে পেট ভরে থাকে দীর্ঘক্ষণ।
পেটের গোলমালে শুকনো মুড়ি বা জলে ভেজা মুড়ি খেলে উপকার।
ভিটামিন B ও মিনারেল প্রচুর পরিমাণে থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমায়।
সকাল-সন্ধে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট নয়, মুটিয়ে যেতে না চাইলে আরও বেশি মুড়ি খান।