আজ ৬জুন লালপুরের ইতিহাসে এক শোকের দিন। আজ নাটোরের লালপুরে জনপ্রিয় আ.লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ মমতাজ উদ্দিনের ১৭তম শাহাদাৎ বার্র্ষিকী।
এই দিনটি লালপুরের মানুষের নিকট শোকাহত রক্তাক্ত ৬জনু হিসেবে খ্যাৎ। গত ২০০৩ সালের ৬ জুন রাত ১০টার দিকে নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ উদ্দিন উপজেলার গোপালপুর থেকে নিজবাড়ি মিল্কিপাড়ায় ফিরছিলেন।পথে গোপালপুর-সালামপুর সড়কের নেঙ্গপাড়া নামক এলাকায় মমতাজ উদ্দিনকে কিছু দুস্কৃতিকারীরা কুপিয়ে হত্যা করে। তার এই অকাল মৃৃত্যুতে লালপুরের আ.লীগ নেতৃত্বশূণ্য হয়ে পরে। জনপ্রিয় এই বর্ষিয়ান নেতাকে হারিয়ে নাটোর-১ আসনের লালপুর-বাগাতিপাড়ার আ.লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে নেমে আসে এক অন্ধকারের ঘনঘটা।
পরে যে স্থানে শহীদ মমতাজ উদ্দিন কে হত্যা করা হয় সেই স্থানে তার স্মৃতির স্মরণে চিরঞ্জিব শহীদ মমতাজ উদ্দিন নামে একটি স্মরণ সৌধ তৈরী করা হয়। তৎকালীন ২০০৪ সালের ৬জুন বাংলাদেশ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল স্মরণ সৌধটি উদ্বোধন করেন। এর পর থেকে প্রতিবছর ৬জুুনে লালপুর-বাগাতিপাড়া উপজেলার আ.লীগও তার সহযোগি সংগঠন ও মমতাজ উদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ, মিলাদমাহফিল, বিশেষ মোনাজাত, স্মরণ সভা, কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্যদিয়ে এই দিনটি পালন করে আসছে।
এদিকে আজ পর্যন্ত লালপুর-বাগাতিপাড়ার আ.লীগ ও তার সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারাণ মানুষেরা ঐ দিনটির কথা ভুলতে পারেন নি। মমতাজ উদ্দিন আজও বেঁচে আছেন লালপুর-বাগাতিপাড়াবাসীর মাঝে আর এভাবেই মমতাজ মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবে চিরোকাল।
লালপুর থানা আ.লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু জানান, ‘বৈস্মিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুুর্ভাব রোধে এবছর থানা আ.লীগের আয়োজনে ছোট পরিসরে সকাল ৮টার সময় স্মৃতি সৌধ প্রাঙ্গনে পুস্পস্তব অর্পন, মিলাদমাহফিল ও পাটি অফিসে দলীয় ও জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত উত্তোলন করা হবে। এছাড়াও উপজেলাসহ প্রতিটি ওয়ার্ডে পোষ্টার লাগানো হয়েছে।’