ভীষণ একাকিত্বে আমি
কখনোই তোমায় পাই না,
ঠিক তখনই রাজ্যের সব
ব্যস্ততা তোমার ঘাড়ে চড়ে বসে।
কি অদ্ভুত! কিন্তু তখনই আমার
খুব ইচ্ছে করে একটু কথা বলার
নিঃসঙ্গ আমি অপেক্ষায় থাকি বসে
কখন তোমার ব্যস্ততা একটু ফুরাবে
অভিমানে আমার চোখে জল আসে
বিষণ্ণতায় বিভোর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি
ভাবি এই বুঝি এবার তুমি আসবে ছুটে
আচ্ছা এসব কী ব্যস্ততা নাকি অজুহাত?
আমি সত্যি একদম বুঝতে পারি না
অবহেলায় মোড়ানো এই সম্পর্কের
শেষটা আসলে বলোতো কোথায়?
শেষ কবে তোমার সাথে মন খুলে
কথা হয়েছে মনে নেই আমার জানো!
কত কথা জমেছিলো মনের মাঝে
ভেবেছিলাম তোমায় শোনাবো সবটা
কিন্তু তোমার তো সময় হবে না তাই না!
মন খারাপ করে যখন আমি জানালায়
চোখ রাখি খোলা আকাশের ঐ মেঘে
তখনি ঝরা গোলাপের মতন করেই
চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরে যায় আমার
তবে এখন আর রাগটা তেমন আসে না
অবসরগুলো তোমায় ততটা ভালোবাসে না।
একলা চড়ুইটাকে দেখে আমি শিখেছি
কিভাবে চুপটি করে বসে থাকতে হয়
তাড়িয়ে দেয়া বেড়ালটার যেমন কোনো
অভিযোগ থাকে না কারোর উপর
আমারও তেমনি আর কোন প্রশ্ন নেই।
নারিকেল গাছের ফাঁকে চাঁদটা যেমন
নীরবতায় দিব্যি কাটিয়ে দেয় রাত
আমিও ইদানিং ডুবে থাকি বাকরুদ্ধতায়।
আমাকে এড়িয়ে যদি তুমি ভাল থাকো
তবে তাই হোক,চির মুক্ত হও নাহয় তুমি
কারণ মনটা যখন আর আমাতে নেই
তখন এই মিছে সম্পর্কের মায়ায়
জড়িয়ে আর লাভ কী বলো?
কষ্টগুলো নাহয় কষ্টে করে সয়ে নিব
অবহেলায় লালিত এই সম্পর্কের,
বোঝা বইতে বইতে হাহাকারে আমার
দম ঘুটছে আজকাল বড্ড।