সাড়ে তিনশো বছরের লৌহ মানব সালমান ফারসী (রাঃ)
হযরত সালমান ফারসী – সাহাবীদের মধ্যে সর্বাধিক বয়স পেয়েছিলেন হযরত সালমান ফারসী (রাঃ)। এ মহান সাহাবী সাড়ে তিনশত বছর বেঁচে ছিলেন।তাই তার জীবনকাল বর্ণাঢ্য সব ঘটনা প্রবাহে ভরপুর।মহান আল্লাহর দীন প্রচারে ও সত্যের ব্যাপারে তিনি ছিলেন আপােষহীন।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর যে সব সাহাবী তার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন, হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।পবিত্র কুরআনের সূরা মুহাম্মাদের শেষ আয়াতটি হযরত সালমান ও তাঁর জাতি অর্থাৎ পারস্যবাসী সম্পর্কেই নাযিল হয়েছে বলে তফসীরে ইবনে কাসীরসহ বিখ্যাত তাফসীরগুলােতে তার জ্বলন্ত প্রমাণ রয়েছে।
আরও পড়ুন>> স্বপ্নে বাড়ী ঘর দেখলে আপনার কি হতে পারে -পড়ুন
আল্লাহর নবীর যুগে সালমান (রাঃ) সারা বিশ্বে ইসলামের পতাকা চিরউডডীন করে রাখার জন্য ৮০ বার বিভিন্ন যুদ্ধে শরিখ হন। আল্লাহর নবী ইন্তেকালের পরে হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর যুগে, আর হযরত উমর (রাঃ)-এর যুগে যত যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল সমস্ত যুদ্ধে তিনি বলবিক্রমের সাথে শরীক ছিলেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর হযরত উমর (রাঃ)-এর যুগ পর্যন্ত তিনি ১২৭ টি যুদ্ধে শরীক হয়েছিলেন।
আল্লাহর নবী বলেন যে, মহান আল্লাহর তৈরী সুখময় জান্নাত তিন ব্যক্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। প্রথম হযরত আলী ইবনে আবি তালিব, দ্বিতীয় হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির এবং তৃতীয় হযরত সালমান ফারসী রাযিয়াল্লাহু আনহুম। (তিরমিযী, মিশকাত ৫৭৮ পৃষ্ঠা)
হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) বিশ্বনবীর যুগেই আহলুল কিতাবায়ন নামে আখ্যায়িত ছিলেন। বিশ্বনবীর আবির্ভাবের পূর্বে তিনি আসমানী কিতাব ইঞ্জিলের উপর ঈমান এনে নবী ঈসার ধর্মমতে ধর্ম পালন করেছেন এবং পরে বিশ্বনবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কুরআন ও বিশ্বনবীর আনীত দীন ইসলামের উপর ইমান এনেছেন। এজন্য তিনি ‘আহলুল কিতাবায়ন অর্থাৎ দুই কিতাবের অনুসারী’ মহান আল্লাহর নিকট তিনি দ্বিগুণ সওয়াবের অধিকারী ও মর্যাদাপ্রাপ্ত। (মিশকাত ৫৭৮ পৃষ্ঠা)