আয়াতুল কুরসির ফজিলতঃ
১। আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে ৭০,০০০ ফেরেস্তা চর্তুদিক থেকে তাকে রক্ষা করে।
২। এটি পড়ে বাড়ি ঢুকলে বাড়িতে দারিদ্রতা প্রবেশ করতে পারেনা।
৩। এটি পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেস্তা তাকে পাহারা দেন।
৪। ফরজ নামাযের পর পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্য একটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে; তা হলো মৃত্য।
এবং মৃত্য আযাব এতই হালকা হয়; যেন একটি পিপড়ার কামড়।
৫। ওজুর পর পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুন মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে।(সহীহ হাদিস)
৬। জান্নাতের দরজা: আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল নুরে মুজাসসাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। [নাসায়ী]
৭। হজরত আলী রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাত প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে,প্রতিবেশির ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। [সুনানে বায়হাকী]
৮। মর্যাদাসম্পন্ন মহান আয়াত: আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ রা. রাসূল সা.-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা. ! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল সা. বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী। [নাসায়ী]
৯। উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম) তারপর রাসূলুল্লাহ্ নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। [সহীহ মুসলিম]
১০। আয়াতুল কুরসি – এই দোয়া পড়লে মৃত্যুর আযাব হবে পিপড়ার কামড়ের সমান। সুবহানাল্লাহ।
আরো পড়ুন :নামাজে আমরা যা বলি,তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা