অল্প বিদ্যা ভয়ংকর
বিদ্যা মানুষের জীবনের আলো। বিদ্যা যত বেশি অর্জন করা যায়, ততই মানুষের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু অল্প বিদ্যা অর্জন করে নিজেকে অনেক কিছু জানে মনে করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। যে মানুষ অল্প জানে, সে প্রায়শই ভুল ধারণা ও ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছে এবং তা অন্যদের জন্যও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অল্প শিক্ষিত মানুষ অহংকারে ভোগে এবং অন্যদের কাছে নিজেকে বড় জ্ঞানী হিসেবে প্রমাণ করতে চায়। এর ফলে তারা অনেক সময় হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে বা বিপদ ডেকে আনে। উদাহরণস্বরূপ, একজন অল্প শিক্ষিত চিকিৎসক রোগীর জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে, আবার অল্প জ্ঞানসম্পন্ন চালক দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
সত্যিকার জ্ঞান মানুষকে বিনয়ী ও বিচক্ষণ করে তোলে, আর অল্প বিদ্যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। তাই বিদ্যা অর্জনের ক্ষেত্রে আমাদের সর্বদা গভীর জ্ঞান লাভের চেষ্টা করা উচিত, কারণ অল্প বিদ্যা সত্যিই ভয়ংকর।
অলসতা সকল অনর্থের মূল ।। ভাবসম্প্রসারণ
শিক্ষার গুরুত্ব একটি প্রবন্ধ/রচনা লিখ। ক্লাস ৮ম থেকে ১০ম
✍️ সংক্ষিপ্ত আকারে (এক প্যারাগ্রাফ)
অল্প বিদ্যা ভয়ংকর
অল্প জ্ঞান মানুষকে অহংকারী করে তোলে এবং ভুল পথে পরিচালিত করে। এতে ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের ক্ষতি হয়। অন্যদিকে, প্রকৃত বিদ্যা মানুষকে বিনয়ী ও জ্ঞানী করে। তাই অল্প বিদ্যা বিপদের কারণ, আর পূর্ণ বিদ্যা জীবনের উন্নতির পথ।
✍️ ছোট আকারে (৪–৫ লাইনের পরীক্ষামুখী)
অল্প বিদ্যা ভয়ংকর
অল্প বিদ্যা মানুষকে বিভ্রান্ত ও অহংকারী করে তোলে। এতে ব্যক্তি ও সমাজ ক্ষতির মুখে পড়ে। প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে বিনয়ী ও আলোকিত করে। তাই অল্প বিদ্যা সর্বদা ভয়ংকর।