হাদীসে বর্ণিত মুনাজাত সমুহ আলোচনা করার আগে আপনাদের আল্লাহ তার রাসুলের প্রতি বিশ্বাস অটুট রাখতে হবে তবেই মুনাজাত আল্লাহর দরবারে কবুল হবে। কি কি বিষয়ে মুনাজাত কবুল হবে তা আলোচনা করা হলো। (হাদীসে বর্ণিত মুনাজাত)
(১) হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হেদায়েত, তাকওয়া, অন্যায় থেকে বিরত থাকার তওফীক এবং মনের অভাববোধ না থাকা ও সম্পদের স্বচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।
(২) হে আল্লাহ! আমার পূর্বের গোনাহ, পরের গোনাহ, প্রকাশ্যেকৃত গোনাহ এবং গোপনেকৃত গোনাহ আর আমার যত গোনাহ সম্পর্কে তুমি অবহিত আছ. সব ক্ষমা করে দাও। তুমি যাকে চাও আগে রহমতের তওফীক দাও এবং যাকে চাও তাকে পরে দাও। তুমি সব কিছুর ক্ষমতা রাখ ।
Video : মুনাফেক মানুষ আসল নাকি নকল #waz
(৩) হে আল্লাহ! তুমি বড়ই ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে তুমি ভালবাস । অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও ।
(৪) হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকট চাই এমন ইল্ম যা উপকার দিবে, এমন আমল যা কবুল হবে এবং হালাল রিযিক ।
(৫) হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকট সুস্থ্যতা, চারিত্রিক পবিত্রতা, সচ্চরিত্র এবং তাকদীরে রাজি থাকার তওফীক চাই ।
আরও পড়ুন >> সেরা ৫০ টি বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে উক্তি । Top 50 Betrayals
(৬) হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র করে দাও, আমার অন্তরকে মুনাফেকী থেকে, আমলকে রিয়া থেকে, যবানকে মিথ্যা থেকে এবং দৃষ্টিকে অন্যায় নজর থেকে । তুমিতো চোখের ফাঁকি এবং অন্তরের গোপন বিষয় সম্পর্কে খুবই ওয়াকেফহাল । (হাদীসে বর্ণিত মুনাজাত)
(৭) হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে চাই তোমার ভালবাসা এবং তোমাকে যে ভালবাসে তার ভালবাসা। আর এমন আমল, যে আমল আমাকে তোমার ভালবাসায় উপনীত করবে। হে আল্লাহ! আমার জীবন, আমার ধন-সম্পদ এবং আমার পরিবার-পরিজনের চেয়ে এবং ঠাণ্ডা পানির চেয়েও তোমার ভালবাসাকে আমার কাছে অধিক প্রিয় বানিয়ে দাও।
(৮) হে আল্লাহ! আমার জাহিরী অবস্থার চেয়ে আমার বাতিনী অবস্থাকে সুন্দর বানিয়ে দাও আর জাহিরী অবস্থাকে দুরস্ত বানিয়ে দাও।
(৯) হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি দুনিয়া আখেরাত উভয় জাহানেরই মুক্তি ও নিরাপত্তা কামনা করছি।
(১০) হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট পানাহ চাই কুফরী থেকে, অভাব-অনটন থেকে এবং কবরের আযাব থেকে । (হাদীসে বর্ণিত মুনাজাত)