নাটোরের লালপুরে ৩৩৩ নাম্বারে ফোন করে ত্রাণ চাওয়ায় এক কৃষককে শারীরিক নির্যাতন করে এবি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সহ তিনজনের নামে লালপুর থানায় মারপিটের মামলা করেছে ভুক্তভুগি কৃষক শহিদুল ইসলাম।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে কৃষক শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে লালপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিতকরে লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, ‘কৃষককে মারপিটের ঘটনায় অভিযুক্ত এবি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল প্রাং ও রুবেলের নামে মামলা হয়েছে।’
বুধবার ১৫ এপ্রিল নির্যাতিত কৃষক শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহিন জানান, ‘করোনা ভাইরাসের কারনে তার বাবা কৃষক শহিদুল ইসলাম কাজ কর্ম বন্ধহয়ে বেকার হয়ে পড়েন। তিনি গণমাধ্যমে জানতে পেরে গত ১০ এপ্রিল ৩৩৩ নম্বারে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চাইলে। ফোনের দুইদিন পর (১২ এপ্রিল) স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার চৌকিদার দিয়ে তাকে ডেকে এনে মারধর করেন। তিনি তারা বাবার সুষ্ট বিচার চান।’
মারপিটের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, ‘কৃষককে মারপিটের ঘটনায় অভিযুক্ত এবি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, ‘মারপিটের বিষয়টি মিথ্যা বানোয়াট। তার বিরোধী গ্রæপ তার বিরুদ্ধে সরযন্ত্র করছে।, তবে ত্রাণ চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে একটু উত্তেজনা হয়েছিল পরে ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।’