বড়পীর গাউসুল আযম আব্দুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহ আলাইহির কতিপয় মূল্যবান বাণী। গাউসুল আযম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) ছিলেন ইসলামের একজন বিশিষ্ট ওলীআল্লাহ, সুফি সাধক এবং আধ্যাত্মিক নেতা। বড়পীর গাউসুল আযম তাসাউফ ও ইলমে দ্বীনের প্রচারক ছিলেন। বড়পীর গাউসুল আযম জীবন ও শিক্ষায় আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা, তাকওয়া, দানশীলতা এবং মানবকল্যাণের মহিমা অনন্যভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
বড়পীর গাউসুল আযম আব্দুল কাদের জিলানী
১। কোন প্রকার দ্বিধা ও সন্দেহ ব্যতীত ইসলাম ধর্মকে সত্য ও যথার্থ ধর্ম হিসাবে মানুষের সর্বোত্তম জীবন ব্যবস্থা বলিয়া মনে করিবে।
২। বিপদের সময় ধৈর্য্য ধারন করিতে হইবে এবং সকল সময় ও সকল অবস্থায় অটল থাকিবে। কোন বিষয় প্রার্থনা করিলে আল্লাহতায়ালার কাছেই তাহা প্রার্থনা করিবে।
৩। মানুষের সহিত পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের মনােভাব নিয়া বসবাস করিবে।
৪। পাপ কাজ হইতে বাঁচিয়া থাকিবে। কখনও আল্লাহ হইতে বিমূখ হইবে । আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অবাধ্য হইবে না।
৫। পাপের মার্জনা ভিক্ষা করিয়া তওবা করিতে হইবে। তওবার ব্যাপারে তরান্বিত হইতে হইবে।
আরও পড়ুন >> সূরা ইখলাস ও সূরা কাহাফ পাঠের ফজিলতসমুহ
৬। সর্বদা মনে এই আশা পােষন করিতে হইবে যে আল্লাহ পরম দয়ালু ও করুণাময়। তিনি অবশ্যই দয়া করিবেন এবং সৎ স্বভাব দান করিবেন।
৭। আল্লাহতায়ালার আদেশ মানিয়া উহার প্রতিপালনে সচেষ্ট হইতে হইবে। তাঁহার নিষিদ্ধ বিষয় হইতে দূর থাকিতে হইবে।
৮। আল্লাহতায়ালার নামে কোন শপথ করিবে না।
৯। মিথ্যা বলা পরিহার করিবে।
১০। কাহারও কাছে কোন প্রতিশ্রুতি দিয়া উহার ব্যতিক্রম করিবে না।
বড়পীর গাউসুল আযম জীবনী
১১। সৃষ্টির কাহারও প্রতি কোন লানত বা অভিশাপ দেওয়া পরিহার করিবে।
১২। শেরেক কিংবা নেফাক বা ভন্ডামী হইতে দূরে থাকিবে।
১৩। প্রকাশ্য ও গােপনীয় পাপকার্য হইতে বিরত থাকিবে।
১৪। আল্লাহতায়ালার উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল হইতে হইবে।
১৫। বিনয় গুণের অধিকারী হইতে হইবে। বিণয় হইল এই যে কেহ কোন মানুষের সহিত সাক্ষাত হইলেও তাহাকে নিজের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করিবে এবং মনে মনে বলিবে যে, “ হয়ত এই ব্যক্তি আল্লাহতায়ালার কাছে আমার চেয়ে বেশী ভাল এবং উন্নততর পর্যায়ের।
১৬। অদৃষ্টে সন্তুষ্টি ও অল্পে তুষ্টি গুণদ্বয় হইল সংসারে মহান ও অতুলনীয় স্বর্গসুখ। আর উহাই হইল ঈমানদার বান্দার জন্য আল্লাহর ভালােবাসা পাইবার উপায়।
১৭। অপরের সৌভাগ্যে হিংসা করিবে না। হিংসুক কখনও আল্লাহর প্রিয় পাত্র হইতে পারে না।
১৮। আল্লাহতায়ালার কাছে সরল বিশ্বাসী হইতে হইবে। যে ব্যক্তি সরল বিশ্বাসে তাহার প্রভুর কাজ করিবে তাহার মন আল্লাহ ব্যতীত অপরের প্রতি উদাসীন থাকিবে।
১৯। আধ্যাত্মিক সাধনার সংগ্রামে নিজেকে নিয়ােজিত করিতে হইবে। কামনা বাসনা আশা প্রত্যাশা কোন কিছুর চাহিদা যেন তােমার আধ্যাত্মিক সংগ্রামের বিরুদ্ধাচারণ করিতে না পারে।
২০। আল্লাহতায়ালা কখনও তাহার সহিত শরীক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। ইহা ছাড়া বাকী অন্য সব অপরাধ তিনি যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমা করিতে পাবেন
বিস্তারিত জানতে Google News এর সঙ্গে থাকুন
– সূত্র: ফতলুল গয়ব।