আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল (সা:) বলেছেন-
অচিরেই এমন ফিতনা আসছে যে -ফিতনায় ঘুমিয়ে থাকা ব্যক্তি জেগে থাকা ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। বসে থাকা ব্যক্তি দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তি পায়ে চলা ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। পায়ে চলা ব্যক্তি দৌড়িয়ে চলা ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। আর যে এই ফিতনার দিকে উকি দিয়ে দেখবে সে এই ফিতনায় পতিত হয়ে যাবে। তোমাদের কারো যদি এই ফিতনা থেকে বাচার মত কোন আশ্রয়স্থল থাকে তাহলে সে যেন সেই আশ্রয়স্থলে গিয়ে আশ্রয় নেয়। (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৫৩৮৪)
আরও পড়ুন >> ১০০/- টাকার প্রাইজবন্ড ড্র ।। Prize Bonds Result
আবু বাকর (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেন,-
অচিরেই ভয়াবহ ফিতনা আসতেছে। সাবধান! কেউ যদি সে ফিতনার যুগ পেয়ে যায় আর তার উট থাকে সে যেন তার উট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কারো যদি ছাগল থাকে সে যেন ছাগল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কারো যদি জমি থাকে সে যেন জমিতে চলে গিয়ে জমি নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
একজন সাহাবী জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহর রাসূল কারো যদি উট, ছাগল ও জমি কিছুই না থাকে তাহলে সে কি করবে?
রাসূল (সাঃ) বললেন, সে যেন তার তরবারীর ধারালো অংশকে পাথর দিয়ে আঘাত করে ভোতা করে দেয়।
একজন ছাহাবী বললেন, কেউ যদি জোর করে টেনে আমাকে কোন গ্রুপে নিয়ে যায় আর আমি নিহত হয়ে যাই তাহলে? রাসূল (সাঃ) বললেন, যে তোমাকে নিয়ে যাবে সে তোমার ও তার পাপ নিয়ে জাহান্নামে যাবে। (ছহীহ মুসলিম, মিশকাত, হা/৫৩৮৫)
আরও একটি হাদিসে এসেছে – হুযায়ফা (রা:) বলেন রাসূল (সাঃ) বলেছেন –
মানুষের অন্তর এমন ধারাবাহিকভাবে ফিতনার মুখোমুখি হবে যেমন শপ বা পাটির বাতাগুলো একটা আরেকটার পর সুন্দরভাবে সাজানো থাকে সেভাবে।যার অন্তর এই ফিতনাগুলো গ্রহণ করে নিবে বা ফিতনায় পতিত হয়ে যাবে তার অন্তরে কালো দাগ পড়ে যাবে। ফলত: তার অন্তর কোন কল্যাণ ধারণ করতে পারবেনা উল্টানো জগ বা পাত্রের মত। তথা উল্টানো জগের অপর পিঠে যেমন পানি ধরার জায়গা নাই তেমনি এই অন্তরে কল্যাণের জন্য কোন জায়গা থাকবেনা। তার অন্তর ভাল-মন্দ এবং সঠিক-বেঠিকের মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেনা।
আর যার অন্তর এই ফিতনাকে অস্বীকার করবে তার অন্তর হয়ে যাবে ধবধবে সাদা এবং তার অন্তর যতদিন আসমান-জমিন থাকবে ততদিন আর কোন ফিতনায় পতিত হবেনা।
(মুসলিম, মিশকাত, হা/৫৩৮০)