পীর বুযুর্গের নামে শিন্নি ও করব জিয়ারত শিরক – শিরক মানে অংশীদার, সমকক্ষ মনে করা। আল্লাহতায়ালা কোরআন ও হাদিসের মাধ্যমে তার নিজের নাম ও গুণাবলী সমূহের যে বর্ণনা দিয়েছেন সেগুলোর কোন ব্যাপারে আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক বা অংশীদার করা বা সমকক্ষ করার করার নামই শিরক।
কতিপয় শিরক
১। কোন বুযুর্গ বা পীর সম্বন্ধে এই আকীদা রাখা যে, তিনি সব সময় আমাদের অবস্থা জানেন। তিনি সর্বত্র হাজির নাযির।
২। কোন পীর বুযুর্গকে দূর দেশ থেকে ডাকা এবং মনে করা যে তিনি সব জানতে পেরেছেন।
৩। কোন পীর বুযুর্গের কবরের নিকট সন্তান বা অন্য কোন উদ্দেশ্য চাওয়া।
৪। পীর বা কবরকে সাজদা করা।
৫। কোন বুযুর্গের নাম অযীফার মত জপ করা।
৬। কোন পীর বুযুর্গের নামে শিন্নি, ছদকা বা মান্নত মানা।
৭। কোন পীর বুযুর্গের নামে জানোয়ার যবেহ করা।
৮। কারও দোহাই দেয়া।
৯। কারও নামের কছম খাওয়া বা কিরা করা।
১০। নক্ষত্রের তাছীর (প্রভাব) মানা বা তিথি পালন করা।
আরও পড়ুন >> ভয়াবহ ৬০টি কবীরা গুনাহ ।। প্রচলিত কিছু কবীরা গুনাহ
১১। জ্যোতির্বিদ, গণক, ঠাকুর বা যার ঘাড়ে জিন এসেছে তার নিকট হাত দেখিয়ে ভাগ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা। তাদের ভবিষ্যদ্বাণী ও গায়েবী খবর বিশ্বাস করা।
১২। কোন জিনিস দেখে কুলক্ষণ ধরা বা কুযাত্রা মনে করা, যেমন অনেকে যাত্রা মুখে কেউ হাঁচি দিলে কুযাত্রা মনে করে থাকে।
১৩। কোন দিন বা মাসকে অশুভ মনে করা।
১৪। মহররমের তাজিয়া বানানো।
১৫। এ রকম বলা যে, খোদা রসূলের মর্জি থাকলে এই কাজ হবে বা খোদা রসূল যদি চায় তাহলে এই কাজ হবে।
১৬। এরকম বলা যে, উপরে খোদা নীচে আমি অথবা আপনি (বা অমুক)।
১৭। কাউকে “পরম পূজনীয়” লেখা।
১৮। “কষ্ট না করলে কেষ্ট (শ্রীকৃষ্ণ} পাওয়া যায় না” বলা বা “জয়কালী নেগাহবান” ইত্যাদি বল।
১৯। কোন পীর বুযুর্গদের পরী বা ভূত ব্রাহ্মণকে লাভ লোকসানের মালিক মনে করা।
২০। কোন পীর বুযুর্গের দরগাহ বা কবরের চতুর্দিক দিয়ে তওয়াফ করা।
২১। কোন পীর বুযুর্গের দরগাহ বা বাড়ীকে কাবা শরীফের ন্যায় আদব-তামীম করা ।