নিজাম উদ্দিন আউলিয়া জীবনী
শেখ খাজা সৈয়দ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আউলিয়া হলেন ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকার একজন প্রখ্যাত সুফি সাধক। তিনি নিজামউদ্দিন আউলিয়া নামেই বহুল জনপ্রিয়।
খাজা নিজাম উদ্দিন আউলিয়া রহমাতুল্লাহ হিজরী ৬৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং হিজরী ৭২৫ সালে ইহ-ধাম ত্যাগ করেন। ঈসায়ী সালের হিসাব মতে তার জন্ম হয়েছিল ১২৩৮ খ্রিস্টাব্দে এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন ১৩২৫ খ্রিস্টাব্দে। ২০ বছর বয়সে পাকিস্তানের পাকপাত্তান চলে যান এবং সুফি ফরিদউদ্দিন গঞ্জেশকারের বাইয়াত গ্রহণ করেন। তিনবার রমজান মাসে বাবা ফরিদউদ্দিন গঞ্জেশকারের দরবারে অবস্থান করেন।
“দুনিয়া থেকে আমি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি,
তোমার সঙ্গে আমার সম্পর্ক জুড়েছি।
প্রভু,
আমায় তোমারই রঙে রাঙিয়ে নাও
নিজামউদ্দিন আওলিয়া তুমি আমার পীর,
প্রভু রেখে দাও আমার লজ্জাশরম সব,
আমায় তোমারই রঙে রাঙিয়ে নাও প্রভু।”
আরও পড়ুন >> রোজা ও ইফতারের দোয়া এবং ইফতারের আগে ও পরের দোয়া
হযরত খাজা নিজামউদ্দিন আওলিয়া (র) এর উপদেশ সমুহ
১। এলেম গভীর সাগর সাদৃশ্য মারফত উহার তরন্গ্য.
২। দান করলেই খোদায়ী নেয়ামত লাভ সম্ভব.
৩। আরেফ এর নিদর্শন হল-তিনি মৃত্যুকে বন্ধু মনে করবেন.এবং প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাসে তিনি খোদাকে স্বরণ করবেন.
৪। পিতা মাতার দিকে ভক্তি সহকারে তাকানোও ইবাদত.
৫। হতভাগা সেই লোক যে গুনার কাজে লিপ্ত থেকে মনে করে খোদা তাকে কবুল করে নিবেন.
৬। ভাল করার চেয়ে ভালদের সাথে থাকা উত্তম.পাপ করার চেয়ে পাপিদের সাথে থাকা তত খারাপ’
৭। বন্ধুর সাথে ভালবাসার প্রকৃত দাবিদার সে ,যে সর্বদা বন্ধুর সাথে কথা শুনতে ভালবাসে.
শেখ হযরত নিজামউদ্দিন আওলিয়ার বহুল প্রচলিত আর একটি ঘটনা সবার মুখে মুখে। তা সত্য কিনা যানি না। অনেকেই এটাকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছে।
হযরত নিজামউদ্দিন আওলীয়া তখনো সে আওলীয়ার খেতাব পাননি তখন সে ছিলেন একজন খুনী….খুনের নেশায় মন সব সময় ছটফট করত একে একে সে একশ একটি খুন করেন যা সম্পূর্ন না জায়েজ কোরান হাদিসের বিপরীত।সম্ভবতঃ ১০০টি খুন করার পর একশ একটি খুন করতে যাবেন ঠিক তখন ভিকটিম তাকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করে তাকে বেকায়দায় ফেলে দেন…
আরও পড়ুন >> তারাবীর নামাজ পড়ার নিয়ম এবং ফজিলত সমুহ
-আপনি যে একের পর এক মানুষ খুন করছেন যা মহা পাপ তার জন্য আপনার লাভ হচ্ছে
-কেনো তার বিনিময়ে আমি আমার সংসার চালাচ্ছি খেয়ে দেয়ে উত্তম ভাবে
-তাতে আপনার ব্যাক্তিগত কোন লাভ আছে কি? অথবা রোজ হায়সরের ময়দানে যখন আপনার পাপের কারনে আপনি দোজগে যাবেন তখন কি আপনার পরিবার এর দায় ভার নিবেন?
-কেনো নিবেন না আমিতো তাদের জন্য এ পাপ কাজ করছি
-তাহলে একটু পরিক্ষা বা যাচাই করে দেখুনতো
সে খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন….সত্যিইতো আমার পরিবার কি আমার এ পাপের ভার আদৌ নিবেন?চিন্তিত মনে পরিবারের সবাইকে একে একে জিজ্ঞাসা করিলেন হযরত নিজামউদ্দিন আওলীয়া কিন্তু হতাশ হন কেউ তার পাপের ভাগ নিতে রাজী হলেন না।
-পরিবারকে চালানোর দায়ীত্ব তোমার তুমি যে ভাবেই দায়ীত্বপালন করো না কেনো তা তোমার ব্যাপার তাই বলে তোমার পাপের অংশিদার আমরা হবো কেনো তা ছাড়া আমরাতো বলিনি তুমি মানুষ খুন করে সংসার চালাও।মানুষ খুন করা শুধু পাপই নয় মহাপাপ বটে।
তখন হতেই সে খুনের পথ ছেড়ে দিয়ে সাধারন মানুষের মতো জীবন ধারন শুরু করলেন।জগতে দেখার মাঝে স্রষ্টা ধন সম্পদ ক্ষমতা নয় মানুষের মন দেখেন,দেখেন তার নিয়ত।