নাটোরে আত্মসমর্পণকারী ২৩ জন চরমপন্থিদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৮ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইনের ডিল শিডে এই অনুদান বিতরণ করা হয়।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।
এসময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘গত ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত নাটোর তথা উত্তরবঙ্গের যেভাবে সন্ত্রাসীদের রাজত্ব হয়েছিল তা এখন আর নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদেরকে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে যে সুস্থ জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দিয়েছে তা আপনারা কাজে লাগাবেন।
আরও পড়ুন >> ট্রাস্ট ব্যাংক বাড়ী নির্মানের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিচ্ছে সহজেই
তিনি আরো বলেন,‘ আর্থিক অনুদান যে পরিমাণই হোক না কেন আপনারা প্রধানমন্ত্রীর এই অনুদানকে শুধু অনুদান মনে করবেন না এটা কে মায়ের আশীর্বাদ মনে করে সামনে এগিয়ে যাবেন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ, এনএসআই রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান জহির উদ্দিন, নাটোর জেলা এনএসআই এর উপ-পরিচালক ইকবাল হোসেন ।
এসময় আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থিরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় সরকারী সকল সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ সুপার।
আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের লিডার আতাউর রহমান বলেন, ‘বিগত বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকার সময় তাদের উপর অনেক নির্যাতন করা হতো। পরবর্তীতে গতবছর পাবনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে তার দলের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।’
আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থী সদস্য ফয়সাল তার বক্তব্যে বলেন, ‘আত্মসমর্পণের পর তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে রাজশাহী, নওগাঁ ও নাটোর জেলা নিয়ে একটি ’স্বপ্ন চাষ সমিতি’ গঠন করেছেন যার মাধ্যমে তারা পুকুরে মাছ চাষ ও কৃষি কাজ করে সুস্থ জীবন যাপন করছেন। এ সময় তারা সুষ্ঠু জীবনে চলার পথে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন ।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা তার বক্তব্যে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নজর সবদিকে যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। করোনা ভাইরাসের মত এই দূর্যোগকালীন সময় তিনি আপনাদের কে স্মরণ করেছেন যা আমরা চিন্তাও করতে পারি না।
তিনি আরো বলেন,‘পরবর্তীতে তিনি তাদের সকলকে সুস্থ জীবনে ফিরে আসার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং তাদের প্রতিটি কার্যকলাপের প্রতি জেলার পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি অব্যাহত থাকবে বলে সতর্ক করেন।
আরও পড়ুন >> ভয়াবহ ৬০টি কবীরা গুনাহ ।। প্রচলিত কিছু কবীরা গুনাহ
পরে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার ৩জন এবং নলডাঙ্গা উপজেলার ২০জন সহ মোট ২৩জনকে ৫০ হাজার টাকা করে নগদ অনুদানের টাকা তুলে দেওয়া হয়।
২০১৯সালের ৯এপ্রিল পাবনা স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চরমপন্থিদলের সদস্যরা আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।