নতুন ট্রাফিক আইন জুন ২০২২ ইং সাল থেকে চালু হলো মটরসাইকেল ও গণপরিবহন চালনার নতুন ধারা এবং আইন অমান্য করলে শাস্তি ও জরিমানা। আমরা সকলেই সাবধানে গাড়ি চালাই নিজে নিরাপদ থাকি অন্যকে নিরাপদ রাখি।
৬৬ নং ধারা – ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল ও গণপরিবহন চালনা জন্য
শাস্তি ও জরিমানা- ৬ মাস কারাদন্ড অথবা ২৫০০০ টাকা জরিমানা।
৬৭ নং ধারা – ড্রাইভিং লাইসেন্স হস্তান্তর করার জন্য
শাস্তি ও জরিমানা- ১ মাস কারাদন্ড অথবা ৫০০০ টাকা জরিমানা।
৬৮ নং ধারা – বিদেশী নাগরিক প্রবিধানের কোন বিধান বা লাইসেন্সের শর্ত অমান্য করার জন্য
শাস্তি ও জরিমানা- লাইসেন্স বাতিল,গাড়ি চালাতে পারবেন না অথবা ৩০০০০ টাকা জরিমানা।
৬৯ নং ধারা – কেউ ভূয়া লাইসেন্স প্রস্তুত,প্রদান ও নবায়ন করার জন্য
শাস্তি ও জরিমানা- ৬ মাস হতে ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ১০০,০০০- ৫০০,০০০ টাকা জরিমানা।
৭০ নং ধারা – ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাহার, স্থগিত বা বাতিলকৃত ব্যাক্তি গাড়ি চালানোর জন্য
শাস্তি ও জরিমানা- ৩ মাস কারাদন্ড অথবা ২৫,০০০ টাকা জরিমানা।
৭১ নং ধারা – কন্ডাক্টর লাইসেন্স ব্যাতিত গণপরিবহনে কন্ডাক্টরের দায়িত্ব পালন করার জন্য
শাস্তি ও জরিমানা- ১ মাস কারাদন্ড অথবা ৫০০০ টাকা জরিমানা।
ভিডিও >> সুরাতুল আসর তাফসীর ।। সুন্দর বর্ণনা ।। হাফেজ মোহাম্মদ আলী
৭২ নং ধারা – রেজিস্ট্রেশন ব্যাতিত মোটরযান চালনা (নতুন ট্রাফিক আইন)
শাস্তি ও জরিমানা- ৬ মাস কারাদন্ড অথবা ৫০,০০০ টাকা জরিমানা।
৭৩ নং ধারা – ভূয়া রেজিষ্ট্রেশন নম্বর প্রদর্শন ও ব্যবহার
শাস্তি ও জরিমানা- ৬ মাস হতে ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ১০০,০০০ টাকা -৫০০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
৭৪ নং ধারা – মোটরযানের মালিকানা পরিবর্তন না করিলে
শাস্তি ও জরিমানা- ১ মাস কারাদন্ড অথবা ৫০০০ টাকা জরিমান।
৭৫ নং ধারা – ফিটনেস বিহীন অথবা মেয়াদউত্তীর্ণ মোটরযান চালনা করিলে
শাস্তি ও জরিমানা- ৬ মাস কারাদন্ড অথবা ২৫,০০০ টাকা জরিমানা।
৭৬ নং ধারা – টেক্সটোকেন বিহীন অথবা মেয়াদউত্তীর্ণ মোটরযান চালনা
শাস্তি ও জরিমানা- ১০০০০ টাকা জরিমানা।
৭৭ নং ধারা – রুটপারমিট বিহীন অথবা মেয়াদউত্তীর্ণ মোটরযান চালনা
শাস্তি ও জরিমানা- ৩ মাস কারাদন্ড অথবা ২০,০০০ টাকা জরিমানা।
বিস্তারিত জানতে Google News অনুসরণ করুন
৭৮ নং ধারা – বিদেশী নাগরিক কর্তৃক নিজ দেশের মোটরযানের রুটপারমিট গ্রহণ না করিলে
শাস্তি ও জরিমানা- ৩০০০০ টাকা জরিমানা
৭৯ নং ধারা – ব্যক্তিগত মোটরযান বানিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করিলে,
শাস্তি ও জরিমানা- ৩ মাস কারাদন্ড অথবা ২৫০০০ টাকা জরিমানা এবং ১ পয়েন্ট কর্তন।
৮০ নং ধারা – গণপরিবহনে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শনে ব্যর্থ এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং ১ পয়েন্ট কর্তন।
শাস্তি ও জরিমানা- ১ মাস কারাদন্ড অথবা ১০০০০ টাকা জরিমানা।
৮১ নং ধারা – কন্ট্রাক্ট ক্যারিজের( সিএনজি) মিটার অবৈধভাবে পরিবর্তন,অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা দাবি করা।
শাস্তি ও জরিমানা- ৬ মাস কারাদন্ড অথবা ৫০০০০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১ পয়েন্ট কর্তন।
৮২ নং ধারা – মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে বা তাৎক্ষনিক অপসারণ না করলে।
শাস্তি ও জরিমানা- ২ বছরের কারাদন্ড অথবা ৫০০০০-৫০০,০০০ টাকা জরিমানা
৮৪ নং ধারা – মোটরযানে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যাতিত মোটরযানের আকার পরিবর্তন করলে,
শাস্তি ও জরিমানা- ১ বছর হতে ৩ বছর কারাদন্ড অথবা ৩০০,০০০ টাকা জরিমানা।
৮৫ নং ধারা – ট্রাফিক সাইন বা সংকেত অমান্য করলে
শাস্তি ও জরিমানা- ১ মাস কারাদন্ড অথবা ১০০০০ টাকা জরিমানা।
আরো পড়ুন >> বাংলাদেশর সেরা 5টি মোবাইল ব্যাংকিং। Mobile Banking
৮৬ নং ধারা – অতিরিক্ত ওজন বহন করলে
শাস্তি ও জরিমানা- ১ বছরের কারাদন্ড অথবা ১০০০০০ টাকা জরিমানা।
৮৭ নং ধারা – মোটরযানে নির্দিষ্ট গতিসীমা লংঘন করলে
শাস্তি ও জরিমানা- ৩ মাস কারাদন্ড অথবা ১০০০০ টাকা জরিমানা
৮৮ নং ধারা – নির্দিষ্ট মাত্রার অতিরিক্ত মাত্রার শব্দ সৃষ্টি বা হর্ণ বাজানো বা কোন যন্ত্র স্থাপন
শাস্তি ও জরিমানা- ৩ মাস কারাদন্ড অথবা ১০০০০ টাকা জরিমানা
৮৯ নং ধারা – পরিবেশ দূষনকারী কালো ধোয়া বা এইরূপ গাড়ি ঝুকিপূর্ণ গাড়ি চালনা
শাস্তি ও জরিমানা- ৩ মাস কারাদন্ড অথবা ২৫০০০ টাকা জরিমানা
৯০ নং ধারা – অবৈধ পার্কিং বা নির্দিষ্ট স্থান ব্যাতিত যাত্রী বা পন্য উঠানামা করা
শাস্তি ও জরিমানা- ৫০০০ টাকা জরিমানা।
৯১ নং ধারা – মহাসড়কে দ্রুতগতির বিধিবিধান লংঘন করলে
শাস্তি ও জরিমানা- ৫০০০ টাকা জরিমানা।
৯২ (১) নং ধারা -মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী লংঘন করলে- ( মদ্যপান সেবন,কন্ডাক্টর কর্তৃক গাড়ি চালনা,উল্টো পথে গাড়ি চালনা,মোটরসাইকেলে ৩ জন আরোহন ও হেলমেট বিহীন চালনা,চলন্ত অবস্থায় যাত্রী উঠানামা করা ও ফুটপাতে গাড়ি চালনা)
শাস্তি ও জরিমানা- ৩ মাস কারাদন্ড অথবা ১০০০০ টাকা জরিমানা।
৯২ (২) নং ধারা – মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলীর ২য় অংশের লংঘন (মোবাইল ফোনে কথা,সিটবেল্ট না বাধা,খারাপ আচরণ,অতিরিক্ত যাত্রী বহন,সংরক্ষিত আসনে অন্য যাত্রী বহন)
শাস্তি ও জরিমানা- ১ মাস কারাদন্ড অথবা ৫০০০ টাকা জরিমানা
৯৩ নং ধারা – বিস্ফোরক বা দাহ্য পদার্থ মোটরযানে পরিবহন (নতুন ট্রাফিক আইন)
শাস্তি ও জরিমানা- ১ মাস কারাদন্ড বা ৫০০০ টাকা জরিমানা
১০২ নং ধারা – আদেশ পালন ও তথ্য প্রদানে অপারগতা (নতুন ট্রাফিক আইন)
শাস্তি ও জরিমানা- ১ মাস কারাদন্ড অথবা ১০০০০ হাজার টাকা জরিমানা।
নোটঃ নতুন ট্রাফিক আইন জরিমানার টাকা বিভিন্ন স্থানে কিছুটা কম বেশি আছে। মটর সাইকেল কিংবা গাড়ী চালান সাবধানে চালান। নিজে নিরাপদ থাকুক, সাধারণ যাত্রীদের নিরাপদ রাখুন।