দাড়ি রাখা ও মুন্ডন করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাদিস

Spread the love

মুসলমানদের অন্যতম অলংকার হচ্ছে তার দাড়ি।দাড়ি রাখার বিষয়ে মহানবী (সাঃ) খুব সুন্দর ভাবে বলেছেন।তবে ওলামায়ে কিরামদের মাঝে দাড়ি রাখা ফরজ ,সুন্নত নাকি ওয়াজিব এই বিষয়ে একটু মতবিরোধ রয়েছে।তবে যেহেতু আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দাড়ি রেখেছেন সেহেতু দাড়ি রাখাকে অনেকে সুন্নত বলেছেন। দাড়ি রাখার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস/দলিল গুলো হলঃ

আয়শা সিদ্দিকা (রঃ) বলেন যে, রাসুল (সঃ) বলেন “দশটি কাজ প্রকৃতির অন্তর্গত । গোঁফ খাটো করা, দাড়ি বড় করা বা লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পানি দেওয়া, নখ কাটা, আঙ্গুলের গিরাগুলো ঘষে মেজে ধৌত করা, বগলের পশম উপড়িয়ে ফেলা, নাভির নিচের লোম কাটা, কুলি করা ও মলমুত্র ত্যাগের পর পানি ব্যাবহার করা” । (মুসলিম ১/১২৯; মুসলিম, ২, ৫১১)
‘তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা করো : দাড়ি বড় করো এবং গোঁফ ছোট করো । (বুখারী: ৫৮৯২; মুসলিম: ৬২৫)

আরও পড়ুন >>  ১০০/- টাকার প্রাইজবন্ড ড্র ।। Prize Bonds Result

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করিম (সঃ) থেকে রেওয়ায়েত করেন যে, রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন যে, ” তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর, গোঁফ সমূহ কর্তন কর এবং দাড়ি সমূহ লম্বা কর”। (বুখারী ২/৮৭৫; মুসলিম, ২/৫০৭; সহীহ মুসলিম হাঃ নং ৬০০, ৬০২ , সহীহ বুখারী হাঃ নং ৫৮৯২, ৫৮৯৩)

#আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন, “তোমরা গোঁফ কর্তন কর এবং দাড়ি ছেড়ে দাও (লম্বা কর ) । তোমরা অগ্নিপুজারকদের বিপরীত কর”। (মুসলিম ১/১২৯; মুসলিম ২/৫১০)

পারস্যের সম্রাট কিসরা ইয়েমেনের শাসকের মাধ্যমে রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে দু’জন দূত পাঠান। এদের দাড়ি ছিল কামানো আর গোঁফ ছিল বড় বড়। রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে তাদের এই অবয়ব এতই কুৎসিত লেগেছিল যে তিনি মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তোমাদের ধ্বংস হোক, এমনটি তোমাদের কে করতে বলেছে? তারা উত্তর দিল, আমাদের প্রভু কিসরা।

তিনি (সাঃ) তখন উত্তর দেন, আমার রব্ব, যিনি পবিত্র ও সম্মানিত আদেশ করেছেন যেন আমি দাড়ি ছেড়ে দেই এবং গোঁফ ছোট রাখি। (ইবনে জারির আত তাবারি, ইবন সা’দ ও ইবন বিশরান কর্তৃক নথিকৃত)।(আল গাযালির ফিক্বহুস সিরাহ ৩৫৯ পৃষ্ঠা)

আরও পড়ুন >> সূরা ইখলাস ও সূরা কাহাফ পাঠের ফজিলতসমুহ

Check Also

পবিত্র রমজানে

পবিত্র রমজানে আল্লাহর নৈকট্য লাভের 10 আমল

Spread the loveপবিত্র রমজানে আল্লাহর নৈকট্য ও পুণ্য লাভের সর্বোত্তম সময়। কেননা রমজান মাসে আল্লাহ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *